এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য সংখ্যালঘু মহিলারা যা করলেন জানলে অবাক হয়ে যাবেন!

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য সংখ্যালঘু মহিলারা যা করলেন জানলে অবাক হয়ে যাবেন!


ইসলাম ধর্মের অভ্যুত্থানের শুরু থেকেই ধর্মীয় আইনের অর্থাৎ শরিয়তি মাধ্যমে সংখ্যালঘু মেয়েদের বিভিন্ন অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে। একাধিক বিয়ে, সম্পত্তির মালিকানা, সন্তানের অভিভাবকত্ব ইত্যাদির মাধ্যমে পুরুষকে দেওয়া হয়েছে স্বেচ্ছাচারিতার অধিকার বলে বারেবারেই অভিযোগ উঠেছে। পরিবর্তনশীল সমাজে সময়ের দাবি মেনে অনেক কিছুই বদলে ফেলতে হয়।

আর সেভাবেই সংখ্যালঘু মহিলারা ধর্মীয় আইনের পরিবর্তনের মাধ্যমে পুরুষের সমান না হলেও – তালাক, খোরপোষ, সম্পত্তির অধিকারের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা লাভ করেছেন। সম্প্রতি কেন্দ্র সরকারের হাত ধরে বিতর্কিত তিন তালাক বাতিল হয়েছে। যার ফলে সংখ্যালঘু মহিলারা ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি কৃতজ্ঞ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন‌।

প্রসঙ্গত, বিতর্কিত তিন তালাক বাতিল হলেও এর জেরে বিভিন্ন মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। কিন্তু ভারতে বসবাসকারী সংখ্যালঘু মহিলারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতি প্রকাশ্যে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলেন। আর এবার আরও একধাপ এগিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নামে একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করলেন উত্তর প্রদেশের মুজফফরনগরে একদল সংখ্যালঘু মহিলা। যা রীতিমত চমকে দিয়েছে জাতীয় রাজনীতিকে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিন তালাক বাতিল হওয়ার খুশিতে কৃতজ্ঞতাবোধ থেকে একটি সংখ্যালঘু মহিলা সংগঠন নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে, প্রধানমন্ত্রীর নামে একটি মন্দির বানাবার সিদ্ধান্ত নেন। আর তারপর নিজেদেরই জমানো টাকা খরচ করে এই মন্দির তৈরীর কাজ শুরু করেন। এ প্রসঙ্গে মুজাফফরনগরের জেলা শাসকের কাছে একটি স্মারকলিপিও জমা দেন তাঁরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ওই মহিলা সংগঠনের সদস্যরা জানিয়েছেন, উন্নত চিন্তাধারা ও দেশবাসীর প্রতি উন্নত কর্তব্যের জন্য সারা বিশ্ব নরেন্দ্র মোদিকে সম্মান জানিয়েছেন এবং এখনও জানাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার দ্বারা পুরস্কৃত হয়েছেন ইতিমধ‍্যেই, তাঁর কর্মকান্ডের জন‍্য। তাই ওই সংখ্যালঘু মহিলা সংগঠনের তরফ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানাতে নিজেদের খরচায় প্রধানমন্ত্রীর নামে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর নামে মন্দির হওয়ার পেছনে যাঁর ভূমিকা সবথেকে বেশি, তিনি হলেন মুজাফফরনগরের এক সাধারণ গৃহবধূ রুবি গজনির। এই মন্দির প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে রুবি গজনি বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুসলিম মহিলাদের কথা ভেবেছেন। সম্প্রতি তিন তালাক বাতিল করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুসলিম মহিলাদের মুক্তির পথ দেখিয়েছেন। তাঁদের জীবনছবি বদলে গেছে।

তিনি আরও বলেন, শুধু তাই নয়, বিনা পয়সার গ্যাস-সংযোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই সম্মান জানানোর জন্যই প্রধানমন্ত্রী নামাঙ্কিত এই মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়েছে। রুবি গজনি আরো জানান, দেশের প্রতিটি মুসলিম মহিলা প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির সাথে আছেন। সুতরাং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে মুসলিম বিরোধি বলে যদি কেউ অ্যাখ‍্যা দেন, তাহলে তার পেছনে কোনো ষড়যন্ত্রের কারণ অবশ্যই আছে।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা, এই ঘটনা থেকে প্রমাণ হচ্ছে, বিরোধীরা যেভাবে বিজেপিকে হিন্দুত্ববাদী বলে আখ্যা দিয়েছে তা সম্পূর্ণ ভুয়ো। কারণ বিজেপি শুধুমাত্র হিন্দুর রক্ষাকবচ নয়। তাঁরা সংখ্যালঘুদেরও একই রকম ভাবে রক্ষাকবচ হয়ে উঠতে চায়। যদিও বিরোধীদের দাবি, হিন্দু মুসলমানকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসা বিজেপির ভোট রণকৌশলের একটি অঙ্গ ছাড়া কিছুই নয়। সংখ্যালঘু বিরোধিতা তাঁদের এজেন্ডা, কিছুতেই সে জায়গা থেকে বিজেপি বেরোতে পারবে না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!