এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > ধূমপায়ীদের জন্য করোনা ভাইরাস সাক্ষাৎ যমদূত! বড়সড় সতর্কতা জারি করল কেন্দ্র সরকার!

ধূমপায়ীদের জন্য করোনা ভাইরাস সাক্ষাৎ যমদূত! বড়সড় সতর্কতা জারি করল কেন্দ্র সরকার!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  ‘ধূমপান ছাড়ুন’, ‘ধূমপান ক্যান্সারের কারণ’- এই ধরণের বহু হিতোপদেশ আমরা অহরহ ট্রাম, বাস, স্টেশন কিংবা সিনেমাহল, প্রেক্ষাগৃহের দেওয়ালে দেখে থাকি। তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেটেও লেখা থাকে ‘বিধিসম্মত সতর্কীকরণ’। প্রকাশ্য স্থানে ধূমপান বন্ধ করতে পুলিশের তাৎপরতাও আমরা কম লক্ষ্য করি না, ধূমপান হ্রাসে তামাকজাত দ্রব্যের দামও বৃদ্ধির পথেও হেঁটেছে কেন্দ্র সরকার। কিন্তু এতো করেও ধূমপান কিন্তু সেভাবে হ্রাস করা সম্ভব হয় নি।

ধূমপানের সমস্ত কুদিক গুলো ভালোভাবে জেনেও ধূমপান ছাড়তে নারাজ বহু ধূমপায়ীরা। অম্লান বদনে তাঁরা তাঁদের দৈনন্দিন জীবনে ধূমপানের কার্যকারীতা বর্ণনা করে যান। কিন্তু এবার করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফ থেকে জারি করা একটি ঘোষণা ধূমপায়ীদের জন্য বিরাট দুঃসংবাদ নিয়ে এলো।কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ধূপপায়ীদের কাছে করোনা সাক্ষাৎ মৃত্যুদূত।

কারণ, একদিকে যেমন তামাকজাত দ্রব্য থেকে করোনা ভাইরাস দ্রুত সংক্রামিত হতে পারে, তেমনি কোন ধূমপায়ী যদি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন, তাহলে রোগ জটিল আকার ধারণ করে, এমনকি যা থেকে মৃত্যুও হতে পারে। কারণ, ধূমপায়ী ব্যক্তি যদি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার ফুসফুসে সংক্রমণ ব্যাপক হারে বেড়ে যায়। সংবাদসূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক করোনা সংক্রমণ ও তামাক সেবন বিষয়ে ‘কোভিড-১৯ প্যান্ডেমিক অ্যান্ড টোবাকো ইউজ ইন ইন্ডিয়া’ নামে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।

আর এখানে কিছু বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য উদ্ধৃত করে স্বাস্থ্যমন্ত্রক এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, ধুমপানকারীদের মধ্যে কোরোনার উপসর্গ তথা করোনা রোগের সংক্রমণ ভয়ানক রূপ লাভ করেছে। সেই সঙ্গে করোনা আক্রান্ত হয়ে ধূমপায়ীদের মৃত্যুও ঘটছে ব্যাপক ভাবে। কারণ, করোনা ভাইরাস প্রথমেই বাসা বাধে ও আক্রমণ করে ফুসফুসে, করোনার ক্রমাগত আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পরে শ্বাসঅঙ্গ ফুসফুস। একারণেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে তামাক জাত দ্রব্য সেবনের ব্যাপারে দেশবাসীকে সতর্ক করে দিয়ে, তামাক সেবন বর্জনের আবেদন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, শুধু সংক্রামক রোগ করোনাই নয়, তামাক সেবনের ফলে সংক্রামক নয় এরকম বেশ কিছু রোগের ঝুঁকিও ব্যাপক হরে বেড়ে যায়। যেমন, কার্ডিওভাসকুলার ডিজিস, ক্যান্সার, ফুসফুসের ক্রনিক রোগ, সুগার ইত্যাদি। আর এই সমস্ত রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের যদি করোনার সংক্রমণ হয়, তাহলে তাঁদের করোনাতে মৃত্যুর সম্ভাবনা ব্যাপক আকারে বৃদ্ধি পায়। তার উপরে তামাক সেবনের ফলে, তামাকস্থিত রাসায়নিক সেবনকারীর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও যথেষ্টভাবে কমিয়ে দেয়, একারণে , করোনা সহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হবার ঝুঁকিও তাদের বহুগুনে বৃদ্ধি পায়। প্রসঙ্গত, ভারতে মোট যত সংখ্যক মানুষ বিভিন্ন রোগাক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারান, তাঁদের মধ্যে প্রায় ৬৩ % মানুষ প্রাণ হারান সংক্রামক নয় এমন রোগে আক্রান্ত হয়ে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!