এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > অমিত শাহের কথাতেই ‘লুকোনো’ তৃণমূলের জয়ের স্পষ্ট ইঙ্গিত? মুখ্যমন্ত্রী মমতার হ্যাটট্রিক হচ্ছেই?

অমিত শাহের কথাতেই ‘লুকোনো’ তৃণমূলের জয়ের স্পষ্ট ইঙ্গিত? মুখ্যমন্ত্রী মমতার হ্যাটট্রিক হচ্ছেই?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে দলের নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে বঙ্গ সফরে এসেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গত ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের পূর্বেও তিনি বঙ্গ সফরে এসেছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কেন্দ্র করে বিরূপ মন্তব্য ও তীব্র কটাক্ষ করল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল ও বিরোধী বাম-কংগ্রেস জোট। তৃণমূলের বক্তব্য, মিথ্যের ঝুড়ি নিয়ে বাংলায় এসেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তৃণমূল অভিযোগ করেছে যে, দুদিনের সফরে এসে বাংলার বদনাম করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

অন্যদিকে বাম-কংগ্রেস শিবিরের অভিযোগ, ধর্ম ও জাতপাতের নামে মানুষের মধ্যে বিভাজন করতে চাইছেন স্বরাষ্টমন্ত্রী। বাম-কংগ্রেস জোট অভিযোগ করেছে যে, লকডাউনের কারণে অভুক্ত পরিবারের বাড়িতে গিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। গতকাল কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে কলকাতা শহরের রাজপথে মিছিল করতে দেখা গেল কংগ্রেসকে। গতকাল, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বঙ্গ সফরকে কেন্দ্র করে যেমন একাধিক বিরূপ মন্তব্য করেছে, তেমনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা শাসক দল বিজেপির প্রতিও একাধিক বক্তব্য রেখেছে।

শাসক দল তৃণমূল অভিযোগ করেছে যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে ভিত্তিহীন কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পুত্র জয় শাহের বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট পদ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা গেল শাসকদল তৃণমূলকে। আবার এই বঙ্গ সফরে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ক্ষমতায় আসার কথা জানিয়েছিলেন দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তৃণমূলের দাবি, পূর্বে বিহার, দিল্লি, ছত্রিশগড়ের নির্বাচন নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি ভুল প্রমাণিত হয়েছিল। এবার পশ্চিমবঙ্গের মানুষও তাঁকে ভুল প্রমাণ করেই ছাড়বেন।

তৃণমূল শিবিরে এখন কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, অমিত শাহ নাকি নির্বাচনের যে ফল দাবি করেন, বাস্তবে তার উল্টো ফল হয়! আর তাই বাংলায় এসে যখন বলেছেন, বিজেপি ক্ষমতায় আসছে, তখন নিশ্চিতভাবেই তৃণমূল জিততে চলেছে! মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হ্যাটট্রিক হওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা! তৃণমূল অভিযোগ করেছে যে, কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে ব্যবহার করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিহিংসার রাজনীতি করছেন পশ্চিমবঙ্গে। এভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনতে দেখা গেল শাসকদল তৃণমূলকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে গতকাল কেন্দ্রীয় নয়া কৃষি আইনের প্রতিবাদ জানিয়ে কলকাতার রাজপথে ট্রাক্টার নিয়ে মিছিল করতে দেখা গেল কংগ্রেসকে। কংগ্রেসের এই প্রতিবাদ মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনতে দেখা গেল কংগ্রেসকে। অধীর চৌধুরী অভিযোগ করেছেন যে, নয়া কৃষি আইন প্রণয়ন করলে কৃষকেরা চলে যাবেন বহুজাতিক কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে, সেই সঙ্গে বাজারে চাল, ডাল, সব্জির দাম ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাবে।

তিনি জানিয়েছেন যে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্যান্যরা কারোর বাড়িতে না খেয়ে যদি নিজেরা বাজারে যেতেন, তাহলেই বুঝতে পারতেন দেশের অবস্থা কিরকম চলছে। এ ছাড়াও তিনি অভিযোগ করেছেন যে, ভোটের আগে ধর্মীয় মেরুকরণ করতে রাজ্যে বারবার আসবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্যান্যরা। গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সঙ্গে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড একেবারে ভেঙে পড়েছে। সাধারণ মানুষ চরম বিপদের সম্মুখীন হচ্ছেন। রাজ্যের বেকারদের পরিস্থিতিও দুর্বিষহ।

তিনি অভিযোগ করেছেন যে, পশ্চিমবঙ্গের যুবকদের ভবিষ্যতে তৃণমূল সরকার লটারি ও মদের প্রতি আসক্তি বাড়িয়ে দিয়ে তাদের সর্বনাশ করছে। অধীর চৌধুরী দাবি করেছেন যে, পশ্চিমবঙ্গে আগামী দিনে বিকল্প শক্তি হয়ে উঠবে বাম ও কংগ্রেস জোট। এই জোট ধর্মীয় মেরুকরণ বাইরে গিয়ে, তৃণমূলের অপশাসন থেকে মুক্ত করবে এই রাজ্যকে। অন্যদিকে, বাম শিবিরের পক্ষ থেকেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নামে একাধিক অভিযোগ করা হলো। সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম অভিযোগ করেছেন যে, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ কখনই বিজেপি ও তৃণমূলের সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে মেনে নেবে না।

তিনি অভিযোগ করেছেন যে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সরকারি অর্থে দলের কর্মসূচি পালন করতে এসেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, এমন কর্মসূচি এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বারবার করে থাকেন। এর সঙ্গেই তিনি লকডাউনের সময় যে সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিক রাস্তায় আটকে পড়েছিলেন, যাঁরা সেসময় দিনের পর দিন অভুক্ত অবস্থায় ছিলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তাদের বাড়ি গিয়ে তাদের সঙ্গে খাবার নিদান দিলেন বাম নেতা মোহাম্মদ সেলিম। এভাবেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা কেন্দ্রীয় সরকারের নামে একাধিক অভিযোগ আনতে দেখা গেল রাজ্যের বিভিন্ন দলকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!