মিটতে চলেছে বিবাদ? বিশ্বভারতী সমাবর্তনে আমন্ত্রণ মমতাকে! মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজনীতি রাজ্য February 15, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –অবশেষে কি এবার দূরত্ব মিটতে চলেছে? বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানোর উদ্যোগ নেওয়ার পরে রীতিমতো জল্পনা বাড়তে শুরু করল। সূত্রের খবর, সম্প্রতি একটি বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, আগামী সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। স্বাভাবিক ভাবেই যে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কার্যত দূরত্ব তৈরি হয়েছিল সরকারের, এবার সেই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বাংলার প্রশাসনিক প্রধানকে আমন্ত্রণ জানানোর উদ্যোগ নেওয়ায় রীতিমতো গুঞ্জন তৈরি হয়েছে নানা মহলে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামী 19 ফেব্রুয়ারি সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। মূলত বিশ্বভারতীর আম্রকুঞ্জে সমাবর্তন অনুষ্ঠান হবে। যেখানে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী এবং পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকারের। রাজ্যের এই ঐতিহ্যমণ্ডিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক প্রধানকে আমন্ত্রণ জানানো হবে কিনা, তা নিয়ে প্রথম থেকেই জল্পনা তৈরি হয়েছিল। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কেননা কিছুদিন আগেই নবান্নের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। সেদিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিজেপি ঘনিষ্ঠতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে তৃণমূলের একাংশ। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয় কিনা, তার দিকে নজর ছিল সকলেরই। তবে অবশেষে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হল। পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এই বিষয় নিয়ে যাতে বিতর্ক তৈরি হয়, তা আর কোনোমতেই চাইছে না। তাই শেষ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ করে সমস্ত রকম বিতর্ক থেকে দূরে সরে যেতে চাইলেন উপাচার্য। স্বাভাবিকভাবেই গোটা ঘটনায় এখন প্রশ্ন তৈরি হয়েছে যে, এতদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রাজ্য সরকারের দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এবার সেই দূরত্বকে মিটিয়ে দিয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক প্রধানকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হবেন, নাকি শেষ পর্যন্ত আমন্ত্রণ জানানো সত্ত্বেও তিনি অনুপস্থিত থেকে সংঘাতকে জিইয়ে রাখবেন? সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -