এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মোদি-মমতাকে একসাথে বিঁধে রাজ্যের প্রায় 200 আত্মঘাতী কৃষক পরিবারকে নিয়ে বৃহত্তর জমায়েতের পথে বামেরা

মোদি-মমতাকে একসাথে বিঁধে রাজ্যের প্রায় 200 আত্মঘাতী কৃষক পরিবারকে নিয়ে বৃহত্তর জমায়েতের পথে বামেরা

“কে বেশি কৃষকদরদী!” তা নিয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস বনাম কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির মধ্যে তীব্র চাপানউতোর শুরু হলে এবার রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে কেন্দ্র এবং রাজ্যকে চাপে ফেলে দিয়ে রাজনৈতিক ময়দানে নামল বামেরা।

প্রসঙ্গত, সারাদেশে কৃষক আত্মহত্যায় কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে দেশের সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। আর লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রতিনিয়ত বিরোধীদের এই চাপে কার্যত কোণঠাসা হয়ে উঠতে শুরু করেছে মোদি সরকার। সম্প্রতি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের এই কৃষকদের ব্যাপারে অবহেলার দিকটি তুলে ধরে সর্বভারতীয় স্তরে লংমার্চ করেছে বাম দলগুলি। যা প্রবল অস্বস্তিতে ফেলেছিল কেন্দ্রের শাসক দলকে।

কিন্তু এবারে কেন্দ্রের পর সেই কৃষক আত্মহত্যা নিয়েও রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল সরকারকেও চাপে ফেলতে মাঠে নামছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের নেতারা। তাঁদের দাবি, রাজ্যের বর্তমান সরকারের আমলে চাষের জন্য নেওয়া ধারের টাকা শোধ করতে এবং ন্যায্য দামে ফসল না বেচতে পারার কারণে 192 জন কৃষক আত্মঘাতী হয়েছেন। আর তাই এবার সেই আত্মঘাতী কৃষকের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আগামী 3 ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডের পরেই একটি ঐতিহাসিক সমাবেশ করতে চলেছে বামফ্রন্ট।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, আগামী 14 ই জানুয়ারি এই ব্যাপারে কৃষকসভার রাজ্য কাউন্সিলের একটি বৈঠকও ডাকা হয়েছে। একাংশের প্রশ্ন, তাহলে কি এই আত্মঘাতী কৃষক পরিবারকে নিয়ে রাজ্যে আন্দোলনে নেমে লোকসভা নির্বাচনের আগে ঘুরে দাঁড়াতে চায় বামেরা?

এদিন এই প্রসঙ্গে কৃষকসভার সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক অমল হালদার বলেন, “আমরা বারবার বলেছি যে মোদি ও মমতায় কোনো পার্থক্য নেই। আর এই ঘটনা কৃষক আত্মহত্যার মতো বিষয় থেকে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কৃষক আত্মহত্যার কথা কিছুতেই মানতে চাইছেন না। কিন্তু কেন সেই কৃষকরা আত্মহত্যা করলেন তা তাদের পরিবারের সদস্যরা শহরে এসে স্পষ্ট করবেন। আর তারপরও যদি রাজ্য সরকার সেই কথা অস্বীকার করে তাহলে মানুষই তার বিচার করবে।”

রাজনৈতিক মহলের মতে, সামনেই লোকসভা নির্বাচন। সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন নির্বাচনে এই রাজ্যে পর্যুদস্ত হয়ে যেতে হয়েছে বামেদের। ফলে সেই জায়গা থেকে দাঁড়িয়ে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে যাতে ঘুরে দাঁড়ানো যায় তার জন্য এখন থেকেই লড়াই আন্দোলনের পথ বেছে নিচ্ছেন আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের নেতারা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!