প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূলের প্রতিনিধিদল, জোর জল্পনা জাতীয় July 25, 2019 লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে নানা কথা বলতে শোনা গিয়েছিল তৃণমূলের নানা নেতা মন্ত্রীদের। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়েছিল যে ময়দানে নেমে নির্বাচনী প্রচারে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিষোদগার করতে দেখা গিয়েছিল খোদ তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। এমনকি সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের পর দ্বিতীয়বারের জন্য ফের নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সঙ্গে শত্রুতাকে জিইয়ে রেখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান খারিজ করা থেকে শুরু করে নীতি আয়োগের বৈঠক খারিজ করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে নিজের বিরোধী ভাবমূর্তিকে জিইয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। তবে এবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে বাধ্য হল ঘাসফুল শিবির। সূত্রের খবর, রাজ্যের নাম বাংলা করা নিয়ে কেন্দ্র যাতে গড়িমসি না করে তার জন্য তৃণমূলের প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে। জানা যায়, আজ অধিবেশন চলাকালীন সংসদেই তৃণমূলের এই প্রতিনিধিদলকে সময় দেন প্রধানমন্ত্রী। আর এরপরই সেইখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে গিয়ে দেখা করে নিজেদের বিষয় তুলে ধরেন তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও ব্রায়েন, সৌগত রায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা। মূলত, রাজ্যের নাম পশ্চিমবঙ্গ থেকে যাতে দ্রুত বাংলা করা যায়, তার জন্যই এদিন প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন তারা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রসঙ্গত, গত 2016 সালের অক্টোবর মাসে রাজ্যের নাম বদল করার প্রস্তাব রাজ্য বিধানসভায় গৃহীত হয়। যেখানে পশ্চিমবঙ্গ নাম বদলে বাংলা, ইংরেজি ও হিন্দি ভাষায় বঙ্গ, বেঙ্গল ও বঙ্গাল নামকে বাছা হয়। তবে রাজ্যের তরফে এই প্রস্তাব কেন্দ্রের কাছে পাঠানো হলে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে তিনটি ভাষাকে এক করে একটি নাম করা হোক বলে রাজ্যকে জানিয়ে দেওয়া হয়। আর তারপরই বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজিতে পশ্চিমবঙ্গের নাম “বাংলা” রাখার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। জানা যায়, সম্প্রতি এই ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গের নাম বদলে বাংলা করা যাবে না বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে রাজ্যকে জানিয়ে দেওয়া হয়। আর এতেই গোটা বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে কেন্দ্রকে একটি চিঠি দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।যার ফলে রাজ্য বনাম কেন্দ্রের সম্পর্ক আরও করুন হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছিলেন অনেকে। আর এবার রাজনৈতিক বৈরিতাকে দূরে সরিয়ে রেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে রাজ্যের নাম বাংলা করা নিয়ে যাতে কেন্দ্র দ্রুত তাদের পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেই ব্যাপারে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আবেদন জানাল। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, রাজ্য এবং কেন্দ্রের মধ্যে সমন্বয় থাকাটা অত্যন্ত জরুরী। কিন্তু যেভাবে বাংলার রাজ্য সরকারের সঙ্গে প্রায়শই কেন্দ্রের দূরত্ব বেড়েছে, এবং তার জন্য রাজ্যের শাসকদলকে রাজনৈতিক বৈরিতা ভুলে অনেক আগেই কেন্দ্রের ডাকা সমস্ত বৈঠকে আসা উচিত ছিল। কিন্তু তা না করে যেভাবে রাজ্য বিভিন্ন ইস্যুতে ঢিলেমি করেছে, তাতে রাজ্যের উন্নয়নে অনেকটাই সমস্যা দেখা দিয়েছে। ফলে দেরিতে হলেও এখন পশ্চিমবঙ্গের নাম “বাংলা” করা নিয়ে তৃণমূলের সংসদীয় দল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করায় কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হলে বরফ ঠিক কতটা গলে, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -