এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মোদীকে সরাতে সংগঠনে বড় পরিবর্তন আনলেন মমতা, জেনে নিন তৃণমূলের নয়া রণকৌশল!

মোদীকে সরাতে সংগঠনে বড় পরিবর্তন আনলেন মমতা, জেনে নিন তৃণমূলের নয়া রণকৌশল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃতীয়বার রাজ্যের ক্ষমতা তৃণমূল কংগ্রেস দখল করার পরেই সংগঠনকে আরও ঢেলে সাজাতে শুরু করেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যারা মন্ত্রী রয়েছেন, তারা আর সংগঠনের কোনো বড় পদে থাকতে পারবেন না বলে সম্প্রতি তৃণমূলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এক্ষেত্রে দলীয় সংগঠনে ‘এক ব্যাক্তি, এক পদ’ নিয়ম চালু করেছে ঘাসফুল শিবির।

তবে শুধু সংগঠনের পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে বদল আনাই নয়, এবার সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে দলকে আরও গ্রহণযোগ্য জায়গায় পৌঁছে দিতে লোকসভা এবং রাজ্যসভার জনপ্রতিনিধিদের ক্ষেত্রে এই “এক ব্যক্তি এক পদ” নীতি গ্রহণ করতে চলেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এক্ষেত্রে এতদিন যারা লোকসভা এবং রাজ্যসভার তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি, তাদের মধ্যে অনেকেই একাধিক দায়িত্বে রয়েছেন। তাই প্রত্যেকের ক্ষেত্রে দায়িত্ব বন্টন করে দেওয়ার পাশাপাশি যাতে একজন সমস্ত দায়িত্ব পালন না করেন, তার জন্যই শাসক দলের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষ সূত্র মারফত খবর, লোকসভার অধিবেশন শুরুর আগে এই ব্যাপারে তৃণমূল তাদের ঘোষণা করে দিতে পারে। এক্ষেত্রে সংসদে তৃণমূলের যে সমস্ত সাংসদরা রয়েছেন, তাদের দায়িত্ব বন্টন করার ক্ষেত্রে বড় বিষয় সামনে আসতে পারে। জানা গিয়েছে, বর্তমানে লোকসভার তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক সংসদীয় কমিটির দায়িত্বে রয়েছেন। তাই হয় তাকে তৃণমূলের দলনেতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে, আর তা না হলে তাকে যে সমস্ত কমিটির দায়িত্বে আছেন তিনি, সেই সমস্ত দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে অন্য কোনো সাংসদকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। এক্ষেত্রে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় যে দায়িত্ব থেকে সরে যাবেন, সেখানে বড় দায়িত্ব পেতে পারেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে তাকে দলনেতা করে দেওয়া হতে পারে। এক্ষেত্রে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এতদিন মুখ্য সচেতক ছিলেন। সেদিক থেকে তার বদলে মুখ্য সচেতক করা হতে পারে তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সংগঠনের সর্বস্তরেই পরিবর্তন আনতে চাইছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা জয়ের পর থেকেই সংগঠনে এই নিয়ম চালু করা হয়েছে। তবে লোকসভা এবং রাজ্যসভার এই ব্যাপারে বাড়তি মনোযোগ দিয়ে “এক ব্যক্তি এক পদ” দিতে খুব তাড়াতাড়ি লাগু করতে পারে শাসক দল।

অনেকে বলতে শুরু করেছেন, তৃণমূলকে “প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি” বলে একটি বৃত্তের মধ্যে আটকে রাখা হয়েছে, এই অভিযোগ বিরোধীদের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত করা হয়। তবে সেই অভিযোগকে কার্যত খন্ডন করে দিয়ে দল যে কোনোমতেই একটি গণ্ডির মধ্যে আটকে থাকবে না, সেই বার্তা দিতেই লোকসভা নির্বাচনের আগে দলকে ঢেলে সাজানোর জন্যই তৃণমূল নেতৃত্বের এই পরিকল্পনা বলে মনে করা হচ্ছে। তবে শেষপর্যন্ত লোকসভা এবং রাজ্যসভার দলীয় গঠনতন্ত্রের মধ্যে “এক ব্যক্তি এক পদ” নীতি লাগু হলে কোন কোন তৃণমূল সাংসদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে এবং কাদের ডানা ছাটা যায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!