এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মহুয়ার দাপাদাপি শেষ, সাংসদ পদ খোয়ালেন মমতা ঘনিষ্ঠ! উজ্জীবিত বিজেপি!

মহুয়ার দাপাদাপি শেষ, সাংসদ পদ খোয়ালেন মমতা ঘনিষ্ঠ! উজ্জীবিত বিজেপি!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সংসদে একের পর এক বক্তব্য রেখে বিরোধীদের নয়নমনি হয়ে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু ভেতরে ভেতরে যে এত বড় কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েছিলেন মহুয়া মৈত্র, তা কেউ জানত না। তবে দীর্ঘ টানাপোড়েন এবং আলোচনার পর সেই তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে চরম পদক্ষেপ নিলেন লোকসভার অধ্যক্ষ। সংসদ থেকে বহিষ্কার করা হলো কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদকে। অর্থাৎ এক কথায় এত দাপাদাপি শেষ হয়ে গেল মহুয়া মৈত্রের। এখন থেকে তিনি আর এই সংসদে একজন সাংসদ হিসেবে প্রবেশ করতে পারবেন না। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতে এথিক্স কমিটির রিপোর্ট পেশ এবং তা নিয়ে যাবতীয় আলোচনার পর অবশেষে সংসদকে বিদায় জানাতে হলো এই তৃণমূল নেত্রীকে।

প্রসঙ্গত, অর্থের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে। আজ এথিক্স কমিটি সেই রিপোর্ট জমা দেন লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে। যা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। বিরোধীদের পক্ষ থেকে মহুয়া মৈত্রকে যাতে বহিষ্কার করা না হয়, তার জন্য আওয়াজ তোলা হয়। কিন্তু কোনো কিছুই ঢোপে টিকলো না। শেষ পর্যন্ত অধ্যক্ষ ওম বিড়লা জানিয়ে দিলেন, বহিষ্কার করা হচ্ছে মহুয়া মৈত্রকে। একাংশ বলছেন, যে মারাত্মক অভিযোগ এই তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে উঠেছিল, তা একজন সাংসদের কাছ থেকে কাম্য নয়। তাই তার বিরুদ্ধে হালকা পদক্ষেপ নিলে দেশের মানুষের কাছে ভুল বার্তা যেত। সেদিক থেকে লোকসভার অধ্যক্ষের পদক্ষেপ প্রশংসার যোগ্য বলেই মনে করছেন একাংশ।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয় উজ্জীবিত হতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, যোগ্য জবাব পেয়েছেন মহুয়া মৈত্র। এতদিন সংসদে তিনি কিভাবে প্রশ্ন করতেন, তা এথিক্স কমিটির তদন্তেই স্পষ্ট। টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন করার যে অভিযোগ তার বিরুদ্ধে উঠেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতেই তাকে সংসদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংসদের গরিমাকে নষ্ট করে দেশের মানুষকে অপমান করেছেন এই মহুয়া মৈত্র। তাই তার বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা সঠিক বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মহুয়া মৈত্র সংসদে যা খুশি তাই বলতেন। এমন একটা ভাব তিনি দেখাতেন, যেন তার বক্তব্য নিয়ে বিজেপি অত্যন্ত অস্বস্তিতে রয়েছে। এমনকি তৃণমূল থেকে শুরু করে অন্যান্য বিজেপি বিরোধী দলগুলোও মহুয়া মৈত্র পাশে দাঁড়াতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু তাদের জারিজুরি বেশিক্ষণ টিকলো না। পশ্চিমবঙ্গে হয়তো তৃণমূলের দৌলতে আইনের সর্বনাশ হয়েছে। কিন্তু দেশে তো আইন আদালত বলে কিছু একটা রয়েছে। তাই অন্যায় করলে কেউ ছাড়া পায় না। ফলে উচিত শিক্ষা পেলেন মহুয়া মৈত্র। সেদিক থেকে আইনকে ধ্বংস করার আগে তৃণমূলের নেতারা এই ঘটনা থেকে অন্তত শিক্ষা নিক। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!