এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > এবার কি সিবিআই হানার মুখে মহুয়া? দোষ করলে রেহাই নেই, কড়া আক্রমণ বিজেপির!

এবার কি সিবিআই হানার মুখে মহুয়া? দোষ করলে রেহাই নেই, কড়া আক্রমণ বিজেপির!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- যেমনটা আশঙ্কা করা হচ্ছিল, তেমনটাই হয়েছে। অর্থের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগে এথিক্স কমিটির যে রিপোর্ট জমা পড়েছে, তার ভিত্তিতে আজ সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে মহুয়া মৈত্রের। আর তারপরেই বিরোধী মহলে বড়সড় ধাক্কা লক্ষ্য করা গিয়েছে। এদিকে গোটা ঘটনায় দুঃখ চেপে রাখতে না পেরে মহুয়া মৈত্র বিজেপির বিরুদ্ধে যা ইচ্ছে তাই বলা শুরু করেছেন। এমনকি তার মুখে শোনা গিয়েছে বড়সড় আশঙ্কার কথা। তিনি এবার তার বাড়িতে সিবিআই হানা দিতে পারে বলে একটি সম্ভাবনাময় মন্তব্য করেছেন। আর তার এই মন্তব্য নিয়েই নানা মহলে তৈরি হয়েছে গুঞ্জন। অনেকে বলছেন, হয়ত এমন কিছু করেছেন এই মহুয়া মৈত্র, যার কারণে তার মুখ থেকে এই সিবিআই হানার কথা শোনা গেল। তাহলে কি এবার আরও বড় জালে ফাঁসতে চলেছেন সদ্য প্রাক্তন এই সাংসদ?

প্রসঙ্গত আজ এথিক্স কমিটির রিপোর্ট সংসদে জমা হওয়ার পর তা নিয়ে বিস্তার আলোচনা হয় আর তারপরেই স্পিকার সিদ্ধান্ত নেন মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পথ খারিজ করার এদিকে এই ঘোষণা হওয়ার পরেই রীতিমতো হতাশ হয়ে সংসদ থেকে বেরিয়ে আসেন মহুয়া মৈত্র। যেখানে তিনি বলেন, “আজকে আমার সাংসদ পদ খারিজ। আমি নিশ্চিত, কালই আমার বাড়িতে সিবিআই যাবে। আগামী ছয় মাস আমাকে হেনস্থা করবে।” আর এখানেই অনেকে বলছেন, দেশে তো অনেক সাংসদ রয়েছেন। অনেকের বিরুদ্ধেই তো সংসদে অনেক কথা বলেন বিজেপির সাংসদ, মন্ত্রীরা। কিন্তু তাদের প্রত্যেকের বাড়িতে তো সিবিআই যায় না। হঠাৎ করে মহুয়া মৈত্র কেন এই ধরনের কথা বললেন? তাহলে নিশ্চয়ই তিনি এমন কোনো দুর্নীতির ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, যার জন্য তিনি এই ধরনের হানা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন! আসলে এটা ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি তো কলা খাইনির মত ব্যাপার বলেই দাবি একাংশের।

ইতিমধ্যেই মহুয়া মৈত্রের এই বক্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপিও। তাদের দাবি, গোটা তৃণমূল দলটাই তো দুর্নীতিগ্রস্ত। মহুয়া মৈত্র বুঝতে পেরেছেন যে, তার বিরুদ্ধে বড় কোনো অভিযোগ জমা পড়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে। চাকরি চুরি হোক বা কয়লা চুরি, সব ঘটনার তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের নাম জড়াচ্ছে। অনেকে জেলে গিয়েছেন। হয়ত সেই তালিকায় যুক্ত হওয়ার ভয় রয়েছে মহুয়া মৈত্রের মনে। তাই আগেভাগেই এই ধরনের কথা বলে প্রতিহিংসার তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন এই তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু এসব করে লাভ হবে না। দোষ করলে কেউ রেহাই পাবে না বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নিরপেক্ষভাবেই কাজ করে। তাই সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যাওয়ার পর হয়ত এমন কোনো বিষয় মহুয়া মৈত্রকে ঘিরে ধরেছে, যা নিয়ে তিনি ভয় পাচ্ছেন। আর সেই কারণেই আগেভাগেই সিবিআই রেট করতে পারে বলে নিজের মুখ রক্ষা করার চেষ্টা করলেন। কিন্তু দুর্নীতি করে থাকলে তো তাকে কেউ রেহাই দেবে না। চুরি করে ধরা পড়ার ভয় গ্রাস করলে এমন অভিব্যক্তি হওয়াটাই স্বাভাবিক। বিরোধীদের পক্ষ থেকে তেমনটাই বলা হচ্ছে। তবে তৃণমূল যেভাবে বিভিন্ন ঘটনায় জড়াচ্ছে এবং তাদের নেতা-মন্ত্রীদের নাম আসছে, তাতে কোনো এক কেলেঙ্কারিতে হয়তো মহুয়া মৈত্রের নাম রয়েছে, এটা তিনি ভালো মতো জানেন। আর সেই কারণেই সাংসদ পদ খারিজ হতেই তিনি আবার নয়া সম্ভাবনার কথা বলে বিজেপি প্রতিহিংসা করছে, এরকম একটা বিষয় সামনে আনতে চাইলেন। কিন্তু এসব করে আর যাই হোক চুরির ঘটনায় জড়িত থাকলে তিনি রেহাই পাবেন না। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!