ভোটের রাজনীতিতে ছাড় পেলেন না স্বয়ং রাম, রাম-বামের কাদা ছোড়াছুড়িতে মহাকাব্যের অপমান কলকাতা রাজ্য May 11, 2019 লোকসভা নির্বাচনের মরসুমে বর্তমানে ধর্ম রাজনীতির বড় অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ভারতবর্ষে। রামায়ণের পর সেই রাজনীতিতে মহাভারত প্রবেশ করলেও তা সেই রামায়ণের মত জায়গা করে নিতে পারেনি। কিন্তু এবার রামায়ণ এবং মহাভারত – পুরো মহাকাব্যকেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দুই রাজনৈতিক দলের সমর্থকরা কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির পর্যায়ে নিয়ে চলে এল। প্রসঙ্গত, মাঝেমধ্যেই বাম এবং রাম এই দুই দলের মধ্যে সমঝোতার অভিযোগ তুলে সরব হতে দেখা গেছে তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই বিজেপি এবং বামপন্থী সমর্থকদের মধ্যে মহাভারতের বিভিন্ন অংশ তুলে ধরে ব্যাপক তরজা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্র পিনাকী চট্টোপাধ্যায় নামে এক যুবক সোশ্যাল মিডিয়ায় “মহাভারতীয় রেপ” শীর্ষক পোস্টে লিখেছে, “রেপ কালচার, শ্লীলতাহানি, নারীর অসম্মান মহাভারতীয় মানসিকতার পরোতে পরোতে।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পাশাপাশি ওই যুবক তার পোস্টে আরও দাবি করেছে যে, “গান্ধারী প্রথম নারী যিনি ছেলেদেরকে মেয়েদের সম্মান দিতে শেখাননি এবং সূর্পনখার পর দ্রৌপদি দ্বিতীয় নারী যিনি শ্লীলতাহানির শিকার। নারীদের প্রতি মহাভারতীয় শ্রদ্ধার শ্রাদ্ধ।” অন্যদিকে অবাম সোশাল ফেসবুক পেজ “বাম পতনের শব্দ হয়” থেকে পোস্ট শেয়ার করে লেখা হয়েছে, “শুরুটা করেছিলেন সর্বভারতীয় নেতা সীতারাম ইয়েচুরি। মহাভারতে জঘন্য কুৎসা করছে ডিপিতে লেলিন কভার ফটো এসএআই ঝুলিয়ে রাখা কলকাতার কমিউনিস্টরা। অথচ আমরা সকলেই জানি এদের এইসব প্রগতির বাণী কোনদিন কোরান-হাদিস নিয়ে আসবে না। নোংরামি হবে শুধু ভারতীয়দের ঐতিহ্য নিয়ে। এখনও 17 টা লোকসভার ভোট বাকি। ভারত বিদ্বেষী কমিউনিস্টদের একটি ভারতীয় ভোট নয়। যাদের টাকা নিয়ে এসব লিখছে সেই ভোটে জিততে পারলে, আসুক।” অন্যদিকে মহাভারতে নিয়ে এহেন তরজার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ খুলেছেন শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার। এদিন তিনি বলেন, “সোশ্যাল মাধ্যমে এসব কুরুচিকর বিষয় নিয়ে যারা বক্তব্য রাখেন তারা নিজেরাও শিক্ষার পরিচয় দেয়। এখনকার রাজনীতি এমনিতেই নিম্নমানের। তার ওপর সোশ্যাল মিডিয়া হওয়ার ফলে তা আরও নোংরা জায়গায় পৌঁছেছে।” আপনার মতামত জানান -