এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মহুয়াকে নিয়ে মর্মাহত মমতা! শুভেন্দুর সঙ্গে কি করেন? প্রশ্নে খোঁচা বিজেপির!

মহুয়াকে নিয়ে মর্মাহত মমতা! শুভেন্দুর সঙ্গে কি করেন? প্রশ্নে খোঁচা বিজেপির!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-পশ্চিমবঙ্গে না হয় আইনের শাসন নেই। কিন্তু গোটা দেশে তো তা রয়েছে। তাই সেই আইনের শাসন কতটা শক্তিশালী, আজ তা দেখিয়ে দিল লোকসভা। যেখানে অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন করার অভিযোগে সাংসদ পদ খারিজ হয়ে গেল তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রের। আর তারপরেই নাটুকে কথা বলা শুরু করে দিয়েছেন সেই তৃণমূল দলের নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহুয়া মৈত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার, এইরকম অনেক বড় বড় কথা বলেছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক প্রধান। কিন্তু মহুয়া মৈত্র অন্যায় করেছে, তার ফল পেয়েছে। তবে বিরোধী কণ্ঠস্বরকে দমন করতে এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে স্পিকারকে দিয়ে তিনি যেভাবে সাসপেন্ড করিয়েছেন বিধানসভা থেকে, তা কি খুব ভালো কাজ করা হয়েছে? সেই প্রশ্ন তুলে এবার মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা চাপে ফেলে দিচ্ছে বিরোধীরা।

প্রসঙ্গত, আজ ধ্বনি ভোটে লোকসভায় মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায়। আর তারপরেই সাংবাদিক বৈঠক করে গোটা ঘটনায় তিনি অত্যন্ত মর্মাহত বলে দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, মহুয়া মৈত্রের সঙ্গে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তৃণমূল নেত্রী। আর এখানেই অনেকে বলছেন যে, কিছুদিন আগেই রাজ্য বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারী শুধু প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন বলে তার সঙ্গে কি অন্যায় করা হয়েছে, সেটা কি ভুলে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! তিনি তো গোটা দেশে গণতন্ত্র নেই, গণতন্ত্র নেই বলে চেঁচামেচি করেন। তাহলে এই রাজ্যে যদি গণতন্ত্র থাকত, শুভেন্দু অধিকারী তো কোন ঘুষ নেননি, তারপরেও কেন তাকে বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড করা হলো? এর উত্তর দেওয়ার মতো ক্ষমতা সেই মহুয়া মৈত্রের ঘটনায় প্রতিহিংসার আওয়াজ তোলা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে রয়েছে তো?

ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনায় সোচ্চার হতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, ঘুষ নিয়ে প্রশ্ন করার অভিযোগ উঠেছে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে। তারপরে তার সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যাওয়ার পরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এত বড় বড় কথা বলেন কি করে? বিন্দুমাত্র লজ্জা থাকলে তিনি এই নিয়ে কথা বলতেন না। এই রাজ্যে তিনি কি করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছেন, তা গোটা দেশের মানুষ জানে। শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী কণ্ঠস্বর হয়ে বিধানসভার ভেতরে আওয়াজ তুলতে পারছেন না। স্পিকারকে দিয়ে তাকে সাসপেন্ড করিয়েছেন এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই যিনি নিজের রাজ্যে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেন, তার মুখ থেকে অন্তত প্রতিহিংসার কথা মানায় না বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে তো তাও মারাত্মক অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তো সেটাও নেই। সেখানে নির্লজ্জের মত এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ঘুষ নিয়ে প্রশ্ন করার অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন মহুয়া মৈত্রের পাশে দাঁড়াবেন? তার তো এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করা উচিত ছিল। মহুয়া মৈত্রকে দলের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত ছিল। তাহলেই তো তৃণমূল নেত্রীকে সবাই সাধুবাদ জানাত। কিন্তু তা না করে বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলে নিজের রাজ্যের শুভেন্দু অধিকারীকে কথা বলতে না দেওয়ার যে চেষ্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করছেন, তা গণতন্ত্র ধ্বংস করা ছাড়া আর কিছুই নয়। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!