প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সামনে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন তার আগে এখন তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা। দিনকে দিন ঘাসফুল শিবিরের প্রভাব রাজ্যে বাড়াতে শুরু করেছেন। বিভিন্ন রকম কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে মানুষের কাছাকাছি পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে তার টিম। এবার প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা হাই প্যাকেট তত্ত্বাবধানে রাজনীতিতে আসার আবেদন করেছেন বাংলার এক ঝাঁক তরুণ মুখ।

জানা গেছে, মিসড কলের মাধ্যমে সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করে প্রায় ছয় লক্ষ যুবক যুবতীকে বাংলার রাজনীতিতে শামিল করার চেষ্টা শুরু হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে এক লক্ষ যুবক যুবতীকে নিয়োগ করার পরিকল্পনা করেছে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা। জানা গেছে, রবিবার দমদম, বারুইপুর এবং বহরমপুর থেকে এই কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। তার পরেই ধীরে ধীরে রাজ্যের 294 বিধানসভা কেন্দ্রে যারা আবেদন করেছেন, তাদের নিয়োগ করা হবে।

মূলত প্রশান্ত কিশোরের নেতৃত্বে টানা প্রশিক্ষণ শিবির করে তৃণমূলের তরুন ব্রিগেডের এই সমস্ত সদস্যদের মধ্য থেকেই তৈরি করা হবে বলে খবর। একাংশ বলছেন, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে এই সমস্ত যুবক যুবতীদের দিয়েই তৃণমূল কংগ্রেসের উন্নয়নের প্রচার করানো হতে পারে। অনেকের মতে, বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা হিসেবে প্রশান্ত কিশোরের মতামত অনুযায়ী তৃণমূল কংগ্রেস বিভিন্ন জেলায় সংগঠনে পরিবর্তন এনেছে। শুধু তাই নয়, দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের সরিয়ে দিয়ে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাদের সামনের সারিতে আনা হয়েছে।

অর্থাৎ কোনোমতেই দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণকে যে দল প্রশ্রয় দেবে না, তা মানুষের কাছে বার্তা সহকারে প্রেরণ করতে শুরু করেছে শাসক দল। আর তার মাঝে যখন বিজেপি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিজেদের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে তৎপর, ঠিক তখনই প্রশান্ত কিশোর নিজের দিকে সদস্য বাড়িয়ে তা তৃণমূলের সমর্থনের কাজে ব্যবহার করতে শুরু করে দিলেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে এর ফলে তৃণমূল কংগ্রেস ঠিক কতটা লাভবান হবে? কি বলছেন তৃণমূলের নেতারা? এদিন এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী এবং মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল সভাপতি আবু তাহের খান বলেন, “রাজনীতির ভবিষ্যত নির্ভর করে বর্তমান প্রজন্মের ওপর। তরুণরা যত বেশি রাজনীতিতে আসবে, তত বেশি শক্তিশালী হবে। তাদের কাছে এমন একজন নেতা-নেত্রীকে তুলে ধরতে হবে, যার নীতি ও আদর্শকে পাথেয় করতে পারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে বাংলার নতুন প্রজন্ম তৃণমূলের উপর আস্থা রাখছে।”

অনেকে বলছেন, প্রায় প্রতিটি সভা থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রাজনীতিতে আসার বার্তা দেন। এমনকি তিনি এটাও বলেন যে, তিনি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তৈরি করে দিয়ে যাচ্ছেন। স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিস্থিতিতে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা যেভাবে তার সংস্থায় ব্যাপক যুবক-যুবতীদের নিয়োগের জন্য উদ্যোগী হলেন, তা তৃণমূলকে অনেকটাই লাভবান করবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।