রাজনীতির লড়াইয়ে কাকা লেবুকে হারিয়েছিলেন বিধানসভায়, লোকসভায় বোন মৌসমকে হারাতেও আত্মপ্রত্যয়ী ঈশা খান মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য March 25, 2019 এতদিন একই দালানে বসবাস করে একই দলের হয়ে লড়েছিলেন তারা। কিন্তু আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রতীকে দাদা ঈশা খান চৌধুরীর দাড়ালে তাঁর বিরুদ্ধে তৃনমূলের হয়ে দাঁড়িয়েছেন মৌসম বেনজির নূর। আর যাকে ঘিরে এখন মালদহের কোতোয়ালি পরিবারেও চলে এসেছে শাসক বনাম বিরোধীর রাজনীতির ছোঁয়া। প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের প্রয়াত বরকত গনি খান চৌধুরীর খাসতালুক হিসেবে পরিচিত এই কোতোয়ালি ভবন থেকেই প্রচুর এমপি এবং এমএলএ দিলেও গত 2006 সালে এই গনি খান চৌধুরীর মৃত্যুর পরই এই পরিবার থেকে প্রথম তৃণমূলে যোগ দেন সেই গনিখানের ভাগ্নী শেহনাজ কাদরি। আর এরপর সেই গনিখানের ভাই আবু নাসের খান চৌধুরী তৃণমূলে যোগ দিলে কংগ্রেস বনাম তৃণমূলের লড়াইয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যায় সেই গনি পরিবার। এদিকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মালদহ জেলা কংগ্রেসের সভানেত্রী তথায় গনি পরিবারে অন্যতম সদস্য মৌসম বেনজির নূর কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করে উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হলে তার বিরুদ্ধে এবার নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রতীকে দাঁড়িয়েছেন সেই মৌসমেরই মামাতো ভাই ঈশা খান চৌধুরী। ফলে ভাই কংগ্রেস এবং বোন তৃণমূলের হয়ে উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্র নিজেদের দলের পক্ষে রাখতে মরিয়া হয়ে জোর প্রচারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কিন্তু বোন তৃনমূলের প্রতীকে যখন লড়ছেন তখন পারিবারিক দিক থেকে তার সাথে সম্পর্কে কোনোরূপ ফাটল ধরেনি তো? আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রশ্নের উত্তরে গনি পরিবারের অন্যতম সদস্য তথা উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী ইশা খান চৌধুরী বলেন, “আমরা দুজনেই এখন নির্বাচন নিয়ে প্রচন্ড ব্যস্ত। ওর সঙ্গে এখন দেখা হচ্ছে না বললেই চলে। তবে পরিবারের লোকের বিরুদ্ধে লড়াই আমার প্রথম নয়, গত 2016 সালে লেবু কাকাকে হারিয়ে আমি বিধানসভায় জিতেছি। আসলে এই জেলার মানুষ বরকত সাহেব এবং হাত প্রতীককেই চেনেন। তাই এখানে অন্য কোন দল গুরুত্ব পাবে না।” কিন্তু দাদার বিরুদ্ধে লড়তে তিনি কি প্রস্তুত? এদিন এই প্রসঙ্গে উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মৌসম বেনজির নূর বলেন, “উনি আমার দাদা। আমরা একই ভবনে থাকি। কিন্তু আমরা দুজনেই প্রচার নিয়ে প্রচন্ড ব্যস্ত। এখন কথা বলতে শুধু হাই হ্যালো। বরকত সাহেব সারা জীবন যে ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে ছিলেন তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করে সেটাকে বজায় রাখাই আমার প্রধান দায়িত্ব।” সব মিলিয়ে এবার গনি পরিবারের দুই সদস্য অর্থাৎ দাদা ঈশা এবং বোন মৌসম কংগ্রেস এবং তৃণমূলের প্রতীকে ভিন্নভাবে লড়লেও শেষ পর্যন্ত এখানে শেষ হাসি কে হাসে এখন সেদিকেই তাকিয়ে গোটা মালদহবাসী। আপনার মতামত জানান -