এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মৃত বাম কর্মীর স্ত্রীকে চাকরি দিয়ে কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী, তবে বাম সমালোচনা কিন্তু চলছেই

মৃত বাম কর্মীর স্ত্রীকে চাকরি দিয়ে কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী, তবে বাম সমালোচনা কিন্তু চলছেই


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিগত বেশ কয়েকদিন যাবৎ সিপিএমের যুব শ্রমিক সংগঠনের ডাকা নবান্ন ঘেরাও অভিযানে নিহত ডিওয়াইএফআই কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্দার মৃত্যু নিয়ে চলছে ব্যাপক রাজনৈতিক শোরগোল। বামেদের পক্ষ থেকে এই মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হয়েছে রাজ্য প্রশাসনকে। প্রসঙ্গত, বামেদের ডাকা নবান্ন ঘেরাও অভিযানে রাজ্য পুলিশের তৎপরতা ছিল তুঙ্গে। বাম যুব কর্মীদের নবান্ন অভিযান ঠেকাতে পুলিশের পক্ষ থেকে সেদিন লাঠি থেকে জলকামান সবরকম ব্যবস্থা ছিল। অভিযোগ উঠেছে, মৃত ডিওয়াইএফআই কর্মী পুলিশের মার সহ্য করতে না পেরে দুদিন হাসপাতালে থেকে মারা যায়। তবে কথা অনুযায়ী মৃতের স্ত্রী এদিন পেলেন সরকারী চাকুরী।

স্বাভাবিকভাবেই একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই মৃত্যু তৃণমূল শিবিরকে তথা রাজ্য প্রশাসনকে বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু পরিস্থিতি সামাল দিতে তৃণমূল নেত্রী ঘোষণা করেন, মৃত মইদুলের স্ত্রীকে চাকরি দেবার কথা। যদিও প্রাথমিকভাবে চাকরি নিতে মোটেই ইচ্ছুক ছিলেননা মৃতের পরিবার। পাশাপাশি যোগ্য চাকরির দাবি করা হয় মৃতের পরিবার থেকে। আর সেই কথা রেখেই এবার মৃত মইদুলের স্ত্রীকে হোম গার্ডের চাকরি দেওয়া হল রাজ্য সরকারের তরফে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন বিকেলে কোতুলপুর এর চোরকোলা গ্রামে মঈদুলের বাড়িতে মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা, বাঁকুড়া জেলা প্রশাসক কে রাধিকা আইয়ার, পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও এবং পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা একসাথে উপস্থিত হয়ে মৃত মইদুল ইসলাম মিদ্দার স্ত্রীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন। মিদ্দার মৃত্যুতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে যখন চলছে ব্যাপক রাজনৈতিক চাপানউতোর, ঠিক সেসময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে পরিস্থিতি সামাল দিতে যুবনেতার পরিবারের সদস্যকে চাকরি দেওয়ার কথা বলেন। এবং এদিন সত্যি সত্যি রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাকরি দেওয়া হল প্রতিশ্রুতিমত। পাশাপাশি এদিন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা সবরকমভাবে মৃতর পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

জানা গিয়েছে, চাকরিপ্রার্থী আলিয়া বিবি খুব তাড়াতাড়ি চাকরিতে যোগ দিতে পারেন। ইতিমধ্যেই অবশ্য জানা যাচ্ছে, মৃত মইদুলের দুই সন্তানের পড়াশোনার দায়িত্ব তুলে নিয়েছে বাম সংগঠনগুলি। খুব স্বাভাবিক ভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর এই চাকরি দেওয়ার ঘটনা বামেদের যে বেশ কিছুটা পিছিয়ে দিল, তা এককথায় মেনে নিচ্ছে রাজনৈতিক মহলের অনেকেই। তবে দেখার প্রশাসনের চাকরি পেয়ে মৃত মঈদুলের স্ত্রী এবং পরিবার কতটা উপকৃত হন! পাশাপাশি, এতদিন পর্যন্ত প্রশাসনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করে আসছিলেন তাঁরা, তা এক নিমিষে বদলে ফেলেন কিনা! তবে বাম শিবির অবশ্য এত তাড়াতাড়ি রাজ্য প্রশাসনের ওপর থেকে অভিযোগের তীর সরাচ্ছেনা বলেই জানা গেছে।

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!