গেরুয়া গড়ে বিজেপি-সিপিএমকে জোড়া ধাক্কা তৃণমূলের! মমতার দলে যোগ দিলেন হাজার হাজার নেতা কর্মী তৃণমূল পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া বামফ্রন্ট বিজেপি রাজনীতি রাজ্য June 16, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন হতে হাতে আর মাত্র এক বছর। আর তার মধ্যেই এবার নিজেদের ঘর গুছিয়ে নেওয়ার কাজে হাত দিয়েছে রাজ্যের প্রতিটি রাজনৈতিক দল। ইতিমধ্যে রাজ্যের বিরোধী দল গেরুয়া শিবির নিজেদের সংগঠনের ভিত শক্ত করতে বিভিন্ন পরিবর্তন এনেছে নিজেদের দলে। তবে 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্যে কিছুটা জমি শক্ত করতে পেরেছিল গেরুয়া শিবির বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ সেইসময় প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও বিজেপি 18 টি সিট জিতে নেয় রাজ্যে, যার মধ্যে জঙ্গলমহল অন্যতম। কিন্তু এবার সেই জঙ্গলমহলের গেরুয়া শিবিরে জোর ধাক্কা দিল ঘাসফুল শিবির বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি বাঁকুড়া সোনামুখী ব্লক এলাকায় গেরুয়া শিবির এবং কাস্তে-হাতুড়ি শিবির থেকে প্রায় আড়াই হাজার নেতা ও কর্মী ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের। রবিবার এই দলবদল হয় সোনামুখী শহর ব্লক তৃণমূলের কার্যালয়ে বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, এই ধরনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা, তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি শুভাশিস বটব্যাল, তৃণমূল নেত্রী ও প্রাক্তন বিধায়ক দিপালী সাহা, জয়ন্ত মিত্র প্রমুখ। যদিও ইতিমধ্যে করোনা পরিস্থিতিতে এই জমায়েত ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। তবে তৃণমূল যেভাবে আড়াই হাজার কর্মী তাঁদের দলে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি করছে, সে কথা কিন্তু গেরুয়া শিবির থেকে সম্পূর্ণ নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে। এ সম্পর্কে সোনামুখী নগর মন্ডলের সভানেত্রী সম্পা গোস্বামী জানিয়েছেন, তৃণমূল শিবিরের লোকেরাই নতুন করে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। আর সেটাই বাইরে ঘাসফুল শিবির প্রচার চালাচ্ছে বিরোধী শিবির থেকে যোগ দিচ্ছে বলে। অন্যদিকে স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্বের কাছেও এধরনের দলবদলের কোনো খবর নেই বলে জানা গেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের পর বাঁকুড়া বিজেপি শিবিরের শক্ত জমি বলেই মনে করা হয়। তবে দলবদল প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বিজেপি শিবির থেকে মানুষ এখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তাই দলে দলে সবাই তৃণমূল শিবিরে এসে যোগ দিচ্ছে। এমনকি গেরুয়া শিবিরে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, আগামী দিনে বিজেপি বলে বাঁকুড়াতে আর কোন দল অবশিষ্ট থাকবে না। যদিও এই সব কিছুকেই ফাঁকা আওয়াজ বলে ঘোষণা করেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মত, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে যদি কথা মতো এত বিপুল দলবদল ঘটে তৃণমূল শিবিরে, তাতে যেরকম উজ্জীবিত হবে ঘাসফুল শিবির, ঠিক সেভাবেই কিন্তু নিজেদের সংগঠন ভেঙে পড়বে গেরুয়া শিবিরের। তাই জঙ্গলমহলের গেরুয়া সংগঠন যাতে কোনো মতেই ভেঙে না পড়ে সেদিকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখা উচিত রাজ্যের বিজেপি দলের। আপাতত 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন এর আগে আরো বহু দলবদলের সাক্ষী হতে হবে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। আপনার মতামত জানান -