প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এখনও পর্যন্ত তিনি রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী। বর্তমানে নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। রাত পোহালেই প্রথম দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু তার আগে কমিশনের পক্ষ থেকে রাজ্যের একাধিক পুলিশ প্রশাসনের ক্ষেত্রে বদলানো হয়েছে পাশাপাশি অন্যান্য রাজ্য থেকে আসতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন পর্যন্ত পুলিশ মন্ত্রী থাকলেও তিনি এবার যেভাবে অন্য রাজ্য থেকে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন, তাতে তার ভূমিকা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

একটি রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী হয়ে অন্য রাজ্যের বাহিনী বা পুলিশ সম্পর্কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধরনের প্রশ্ন এখন রীতিমত চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। আজ দাসপুরের সভা থেকে বাংলার নির্বাচনের জন্য অন্য রাজ্য থেকে যে সমস্ত পুলিশ আসছে, তাদের ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেন তৃনমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই বিষয়টিকে নিয়েই এখন রীতিমত সরগরম রাজ্য রাজনীতি।

এদিন এই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মনে রাখবেন, ইউপি বিহারের পুলিশ আসবে। ওরা করতে পারে না, এমন কোনো কাজ নেই। নিজের এলাকা ছেড়ে যাবেন না। যদি কেউ বিরিয়ানি দেয়, খাবেন না। ওতে বিষ মিশিয়ে দেবে। খেলে অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকবেন। আর ওরা ইভিএম নিয়ে পালিয়ে যাবে।” অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক্ষেত্রে অন্য রাজ্য থেকে আসা পুলিশ নিয়ে যে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে, তা এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে পরিষ্কার হয়ে গেল।

আর একটি রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়ে অন্য রাজ্যের পুলিশদের নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে এই বিরূপ মন্তব্য সামনে আসায় এখন রাজনৈতিক মহলে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কেন একজন প্রশাসনিক প্রধান হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ধরনের কথা বললেন? তাহলে কি তার কাছে ভোট বাক্স সবার আগে! এক্ষেত্রে নিজের স্বার্থ পূরণ করতে কেন রাজধর্ম ভুলে যাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী, এখন তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোও।

একাংশের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের পুলিশমন্ত্রী ঠিকই। কিন্তু তিনি কোনোকালেই রাজধর্ম পালন করেননি। বরঞ্চ তার কাছে ভোট সবার আগে। তাই নির্বাচনের সময় অন্য রাজ্য থেকে আসা পুলিশ প্রশাসনদের নিয়ে এই রকম বিরূপ মন্তব্য করতে দেখা যাচ্ছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে। যা দুর্ভাগ্যজনক বলেই দাবি করতে শুরু করেছেন একাংশ।

তবে তৃণমূলের পাল্টা যুক্তি, বিজেপি শাসিত রাজ্য থেকে পুলিশ প্রশাসনের নিয়ে এসে বিজেপি নানা চেষ্টা এখন থেকেই করতে শুরু করেছে। এক্ষেত্রে মানুষকে ভয় দেখানো থেকে শুরু করে নানা ক্ষেত্রে ভীতি প্রদর্শনের চেষ্টা চলছে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেকথা তুলে ধরেছেন। সব মিলিয়ে ভোটের প্রচারে তৃণমূল নেত্রীর এই মন্তব্য এখন রীতিমত ঝড় তুলে দিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।