মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নজিরবিহীন আক্রমণ দলীয় নেতার, জোর শোরগোল! তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য December 8, 2020 আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে। আপনার মতামত জানান - প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –তৃণমূলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শেষ কথা বলেন, এমনটাই জানতেন সকলে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও তৃণমূল কংগ্রেসের যে বেশ কিছু নেতার যথেষ্ট ব্যক্তিগত আধিপত্য রয়েছে, তা শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনার মাঝেই কার্যত স্পষ্ট হয়ে গেল। বর্তমানে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অধিকারী করে সম্রাট তথা তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতার শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে। মন্ত্রীপদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর তিনি দলত্যাগ করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারী কি করেন, তার দিকে নজর রয়েছে সকলেরই। একাংশ বলেন, নেতার দিকে তখনই সকলের নজর থাকে, যখন নেতার সাথে অনুগামী থাকে। সেদিকে শুভেন্দু অধিকারীর গোটা রাজ্যজুড়ে ব্যাপক অনুগামী রয়েছে বলে মনে করা হয়। তাই তিনি যদি দলত্যাগ করেন, তাহলে তার পথ ধরে অনেকেই তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করবেন বলে আশঙ্কা রয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে সেই শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষ অবলম্বন করে এবার স্বয়ং নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কনিষ্ক পান্ডা। যে ঘটনায় কার্যত শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। জানা গেছে, এদিন কনিষ্কবাবু দাবি করেন, তৃণমূলের সবথেকে বেশি দলবিরোধী কাজ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই স্বয়ং দলনেত্রী সম্পর্কে একজন তৃণমূল নেতা যেভাবে এইরূপ মন্তব্য করলেন, তাতে তৃণমূলের অন্দরমহলে এখন টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা নতুন কিছু নয়। এই নেতার সঙ্গে ওই নেতার দ্বন্দ্ব তৃণমূলের অন্দরমহলে কান পাতলেই শোনা যায়। কিন্তু এই সমস্ত সামাল দিতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যখন তিনি মাঠে নামেন, তখন সব পক্ষ তার আনুগত্য পোষণ করতে প্রস্তুত থাকেন। তবে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনার মাঝে যেভাবে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে দেওয়ার সাহস দেখালেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তৃণমূল নেতা, তাতে রীতিমতো শাসকদলের শীর্ষস্তরে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। সূত্রের খবর, এদিন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কনিষ্ক পান্ডা বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করে বলেছেন, তার নাকি মৃত্যু কামনা করছেন শুভেন্দুবাবুঋ শুভেন্দু বাবু আর কি করবেন আপনাদের জন্য! নন্দীগ্রামে গলির মুখে দাঁড়িয়ে লড়াই করেছেন, সব পদ ছেড়ে দিয়েছেন, মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিয়েছেন। এবার কি আপনারা জীবন নিতে চান? দলের মধ্যে শুভেন্দুবাবুকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে। তাকে চক্রব্যূহে ঢুকিয়ে দিতে চেয়েছেন ওরা। কিন্তু মনে রাখবেন, শুভেন্দু বাবু অভিমুন্য নন, উনি বেরোনোর রাস্তা জানেন। কাকে ইন্ডিকেট করে সব কথা বলা হচ্ছে! শুধু শুভেন্দুবাবু নয়, যুবরাজ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের সঙ্গে আছেন। সবাই মিলে উন্নয়নের কাজ করব। পারলে আমাদের তাড়িয়ে দিন। শুভেন্দুবাবু যেখানে থাকবেন, আমরা তার সঙ্গে আছি।” এদিকে ফিরহাদ হাকিম এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে নানা সময় নানা কথা বললেও, এদিন তারও জবাব দিয়েছেন কনিষ্কবাবু। তিনি বলেন, “এখন দলবদল নিয়ে তারা অনেক কথা বলছেন। রাজনীতিতে রং পরিবর্তন আমরা দিদির কাছ থেকে শিখেছি। উনি হাত চিহ্নে ছিলেন, এখন জোড়া ফুলে গেছেন। আগামীদিনে আবার কোন ফুলে যান দেখুন।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পর্যবেক্ষকদের মতে, শুভেন্দু অধিকারী কি করবেন, তা এখনও কেউ জানেন না। তবে যেভাবে তার এক অনুগামী স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে এরকম বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন, তাতে শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে দলের দূরত্ব এবং বিচ্ছেদ শুধু সময়ের অপেক্ষা বলে দাবি করছেন একাংশ। কেননা তৃণমূলে প্রায় প্রতিটি নেতা একে অপরের সঙ্গে দ্বন্দ্বে লিপ্ত থাকলেও, সকলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলতে শেষকথা নিজেদের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বুঝিয়ে দেন। কিন্তু জেলা তৃণমূলের অন্যতম পদাধিকারী হয়েও যেভাবে স্বয়ং দলনেত্রী তথা সুপ্রিমোকে আক্রমন করে বসলেন শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী, তাতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রাজনৈতিক মহলে রীতিমত আলোড়ন পড়তে শুরু করেছে। তৃণমূল গঠন হওয়ার পর থেকে সেভাবে দলে থেকে কেউ এভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা করেননি। কিন্তু দলের একজন জেলার নেতা হয়ে যেভাবে কনিষ্কবাবু শুভেন্দু অধিকারীর প্রতি আনুগত্য পোষণ করে তার হয়ে ব্যাটিং করে স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন, তাতে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব ব্যাপকভাবে চাপে পড়ল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান - একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – # মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল – # উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল – # জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল – # কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল – আপনার মতামত জানান - আপনার মতামত জানান -