এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > মুখ্যমন্ত্রীর সাধের প্রকল্পকে ‘ভাঁওতাবাজির প্রকল্প’ বলে তীব্র কটাক্ষ বিজেপি সাংসদের

মুখ্যমন্ত্রীর সাধের প্রকল্পকে ‘ভাঁওতাবাজির প্রকল্প’ বলে তীব্র কটাক্ষ বিজেপি সাংসদের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আজ রানাঘাটের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পতে শতকরা ৪০ শতাংশ টাকা দিতে হয়, কিন্তু রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে কোন অর্থই দিতে হয়না। এরপর জনগণের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে, কোন প্রকল্প বেশি ভালো? তা জনগণই ঠিক করে নেবেন। এর সঙ্গে সঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী জানান যে, কোন নার্সিংহোমে যদি স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প না নেওয়া হয়, তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এরপর স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প বিষয়ে রাজ্য সরকারের তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রকল্পকে ‘ভাঁওতাবাজির প্রকল্প’ বলে তীব্র কটাক্ষ করলেন তিনি।

বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় জানালেন যে, স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প হলো প্রকৃতপক্ষে ভাঁওতাবাজির প্রকল্প। কন্যাশ্রী, যুবশ্রী প্রকল্পের মত এটিও একটি ভাঁওতাবাজির প্রকল্প। রাজ্যের মুখ্যসচিবের কথা থেকেই তিনি তার প্রমাণ পেয়েছেন। তিনি জানালেন কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চাইছেন রাজ্যবাসী। বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় জানালেন যে, স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের কার্ড নিয়ে গেলে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে জানিয়ে দেয়া হয় যে, সেখানে সে চিকিৎসা হয় না।

এরপর রাস্তায় রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে হয় রোগীকে। অনেক ক্ষেত্রে হয়তো মৃত্যুই হয় রোগীর। এমন অভিযোগ সংবাদমাধ্যমে বহুবার তিনি দেখেছেন। তিনি জানালেন স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প একটা ভাঁওতাবাজির প্রকল্প। যেখানে স্বাস্থ্যের নামে মানুষকে ভাঁওতা দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়ে পড়ার মত অবস্থা তৈরি হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় জানালেন যে, রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় একবার এক কথায় বলেছিলেন যে, বেসরকারি হাসপাতাল গুলোকে অনুরোধ করা হচ্ছে, অন্তত দু-তিন মাসের জন্য তাপ্পি দিতে। স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পকে ফিরিয়ে না দিতে দু-তিন মাসের জন্য। বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে অনুরোধ করা হয়েছে, দু- তিন মাসের জন্য স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের চিকিৎসা করে দিতে। যা থেকে পরিষ্কার, দু- তিন মাস পরে ভোট মিটলে এই প্রকল্প বন্ধ করে দেয়া হবে।

লকেট চট্টোপাধ্যায় জানালেন যে, স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে পুরোটাই ভাঁওতাবাজি, কিন্তু আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে একজন মানুষ ৫ লক্ষ টাকা করে চিকিৎসার সুবিধা পাবেন। স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প একটা পরিবারের জন্য, কিন্তু আয়ুষ্মান ভারত সকলের জন্য, একটা পরিবারের সকলেই এই সুবিধা পাবেন। বিজেপি সাংসদ জানালেন , চিকিৎসার জন্য রাজ্যের বাইরে গিয়েও এই প্রকল্পের সুবিধা লাভ করা যাবে। যা থেকে পরিষ্কার মানুষ কোন প্রকল্পটি বেছে নেবেন।

লকেট চট্টোপাধ্যায় জানান, প্রত্যেকটি পরিবারের জন্য দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প। পশ্চিমবঙ্গে ১০ কোটি বাসিন্দা। জনসংখ্যার ১০ ভাগ মানুষ যদি ১ লক্ষ টাকা করে চিকিৎসা করাতে যান, তাহলে যে অর্থের প্রয়োজন হবে, রাজ্যর স্বাস্থ্য বাজেটে সেই অর্থ বরাদ্দ করেন নি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই বিষয়টি পুরো ভাঁওতাবাজি। কন্যাশ্রী, যুবশ্রী সহ অন্যান্য সরকারি প্রকল্পের মতো এটিও একটি ভাঁওতাবাজির প্রকল্প।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!