এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > বিজেপি বিধায়ককে আক্রমণ তৃণমূল নেতার, তীব্র সমালোচনা রাজনৈতিক মহলে

বিজেপি বিধায়ককে আক্রমণ তৃণমূল নেতার, তীব্র সমালোচনা রাজনৈতিক মহলে


তৃণমূলের অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্টা বরাবরই বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য বিখ্যাত রাজনৈতিক মহলে। আর এবার তৃণমূল নেতার খুনের ঘটনায় তৃণমূলের বীরভূমের জেলা সভাপতির নিশানায় বিধায়ক মনিরুল ইসলাম। একদা ঘনিষ্ঠ মনিরুল ইসলামের উপর ক্ষেপে গিয়ে বেলাগাম হয়ে গেলেন অনুব্রত মণ্ডল। যে ভাষাতে তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বিধায়ক মনিরুল ইসলামকে আক্রমন করেছেন তা শুনে রীতিমতো হতবাক রাজনৈতিক মহল। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজনৈতিক হত্যা সবসময়ই অত্যন্ত দুঃখজনক ধরনের ঘটনা। তা না হওয়াই কাম্য সবসময়।

কিন্তু যে ঘটনা ঘটে গেছে, তাকে নিয়ে নজিরবিহীন ভাষায় অন্যজনকে আক্রমণ যথেষ্ট নিন্দাজনক বলে দাবী করেন বিশেষজ্ঞরা। এদিন লাভপুরে বাঘা গ্রামে তৃণমূল নেতা সুফল বাগদির খুনের ঘটনায় একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর সাথে ছিলেন মৎস্য মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। আর এই সভামঞ্চ থেকেই তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বিধায়ক মনিরুল ইসলামের দিকে নজিরবিহীন ভাষায় আক্রমণ শানান।

সূত্রের খবর, তৃণমূল নেতার খুনের ঘটনায় বিধায়ক মনিরুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে এদিন কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “লাভপুর থেকে নির্বাচনে দাঁড়ালে কুকুরের মত তাড়াব। আর এরপর তৃণমূল কর্মীর উপর আক্রমণ হলে বাড়ি মাঠে পরিণত হবে।” আর শুধু এইটুকু বলেই থামেননি অনুব্রত মণ্ডল। এর পরেও ক্রমাগত বিতর্কিত মন্তব্য করে গেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, “ভালো কর্মী থাকলে বিজেপি ভয় পাচ্ছে। এক মাথা মোটা, ডাস্টবিন থেকে তুলে এনে বিধায়ক করেছিলাম। ডাস্টবিন জানেন তো? অনেক ময়লা পড়ে থাকে। সেই ময়লাটা পুকুরে ধুয়ে বিধায়ক করেছিলাম… ছাড়ব না, আগেও ছাড়িনি। আজকেও ছাড়ব না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পুরসভা নির্বাচনের আগে বীরভূমের তৃণমূল শিবিরে আত্মবিশ্বাস ছড়িয়ে দিতে এদিন অনুব্রত মণ্ডল দাবি করেন,”লাভপুরে যেই দাঁড়াবে, ৬০ হাজার ভোটে জিতব। উন্নয়ন করেছি যে। মানুষের ভোট চাওয়ার আমাদের অধিকার আছে যে।” এরপর ওই সভা থেকেই বিজেপি বিধায়ক মনিরুল ইসলামের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে সভা থেকে কেউ বলেন, “মণিরুল ইসলাম যদি বিজেপির হয়ে এখান থেকে দাঁড়ায়?” এরপরেই তৃণমূল সভাপতি তাঁর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে ফেলেন। রীতিমত কড়া হুঁশিয়ারির সুরে নজিরবিহীন ভাষায় বিজেপি বিধায়কের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “ভালো হয়। ও দাঁড়ালে খুব ভালো হয়। আমি তো চাই ও দাঁড়াক। সাহায্য লাগলে করব। কুকুরের মত তাড়াব। এরপরেও তৃণমূল কর্মী আক্রমণ হলে দেখব। সে পালিয়ে যাবে, কিন্তু বাড়িটা তো থাকবে। সকালে দেখবে বাড়িটা মাঠ হয়ে গেছে। এই এলাকার মানুষ তো ছেড়ে দেবে না।”

আর এই মন্তব্যকে ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়েছে। তবে এদিন লাভপুরের সভা থেকে অনুব্রত মন্ডলের কথা থেকে অনুমান করা হচ্ছে, লাভপুরে তিনি বিজেপির সঙ্গে মুখোমুখি লড়াই চাইছেন। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, সামনেই পুরসভার নির্বাচন এবং তার সাথেই ফের চাঙ্গা বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। পুরসভার নির্বাচনের আগে তিনি আবার রাজনৈতিক ময়দানে নেমে পড়েছেন আর দলকে চাঙ্গা করতে বিভিন্ন বিতর্কিত মন্তব্য করছেন।

ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভোটের সময় গরমাগরম বক্তৃতার মধ্য দিয়ে বিরোধীদের বাক্সবন্দি করে রাখতে অনুব্রত মণ্ডল এর জুড়ি মেলা ভার। সামনেই রাজ্যের পুরসভা নির্বাচন আর সে কথা মাথায় রেখেই বিভিন্ন সময় বিতর্কিত মন্তব্য করছেন অনুব্রত মণ্ডল। যদিও সূত্রের খবর, এ ধরনের বেলাগাম মন্তব্য না করার জন্য কড়া নির্দেশ আছে তৃণমূল নেত্রীর। তাই এবার দেখার অনুব্রত মণ্ডলের বারংবার বেলাগাম মন্তব্যের ফলে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোন শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহন করেন কিনা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!