এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মুকুল-অনুপম এলাকায় যেতেই বাড়ল চাপ! গভীর রাতে ছাড়া পেলেন হেভিওয়েট নেতা সহ ৪২ জন বিজেপি কর্মী

মুকুল-অনুপম এলাকায় যেতেই বাড়ল চাপ! গভীর রাতে ছাড়া পেলেন হেভিওয়েট নেতা সহ ৪২ জন বিজেপি কর্মী


রাজ্যে আইনের শাসন নেই বলে দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেছে বিজেপিকে। তবে বিজেপির এই আন্দোলনে এবার রীতিমতো পিছু হটতে দেখা গেল রাজ্য প্রশাসনকে। সূত্রের খবর, সিউড়িতে ধর্না মঞ্চে গ্রেপ্তার হওয়া বিজেপির ৪২ জন নেতা-কর্মীকে শনিবার গভীর রাতে ছেড়ে দেয় পুলিশ। যেখানে ধৃতদের ব্যক্তিগত বন্ডে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার অভিযোগে গত শনিবার এসপি অফিসের সামনে থেকে বীরভূম বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল, জেলা নেতা কালোসোনা মণ্ডল সহ ৪২ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। তবে রবিবার নানুরের রামকৃষ্ণপুরে মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে দেখা করতে যান বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তাঁর সঙ্গে এদিন বীরভূমের জেলাস্তরের নেতাদের পাশাপাশি প্রাক্তন সংসদ সদস্য অনুপম হাজরাও ছিলেন।

জানা যায়, নানুরে বিজেপি সমর্থক স্বরূপ গড়াইকে গুলি করে খুনের ঘটনায় গত সোমবার থেকে বিজেপি এসপি অফিসের সামনে ধর্নায় বসে। শনিবার তাঁদের ধর্না ষষ্ঠদিনে পড়লে রবিবার পর্যন্ত ওই ধর্না মঞ্চ চলার কথা থাকলেও সেদিনই পুলিস ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে বলে তাঁদের সেখান থেকেউঠে যেতে আবেদন জানায়। কিন্তু তাতেও বিজেপি নেতৃত্ব সাড়া দেয়নি। উল্টে পুলিসের কর্তাদের সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বের তীব্র বচসা বাধে। আর তার ফলেই পুলিস বিজেপির ৪২ জনকে গ্রেপ্তার করে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, পুলিশের পক্ষ থেকে ধৃতদের সিউড়ি ও সদাইপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হলে দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত সেখানেই রাখা হয়। আর বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে সিউড়ির বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দীর্ঘ সময় ধরে রাস্তা অবরোধ করেন বিজেপি। যার ফলে সিউড়ি-বোলপুর, সিউড়ি-দুবরাজপুর ও সিউড়ি-রামপুরহাট রাস্তায় যান চলাচল সম্পূর্ণরুপে বন্ধ হয়ে যায়। আর দলের এই অবরোধে শামিল হতে দেখা যায় রাজ্য বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়।

পরে পুলিসের আশ্বাসে বিজেপি সেই অবরোধ তুলে নিলে এই গোটা ঘটনার খবর পেয়ে বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ সদাইপুর থানায় দেখা করতে যান। পরে সেখান থেকে তিনি কলকাতায় ফিরে যান। আর এরপরই গভীর রাতে বিজেপির জেলা সভাপতি এবং অন্য নেতা-কর্মীদের সদাইপুর থেকে সিউড়ি থানায় নিয়ে আসা হলে সেখান থেকেই ৪২ জনকে ব্যক্তিগত বন্ডে ছেড়ে দেওয়া হয়। আর দলীয় কর্মীরা মুক্ত হওয়ার পরই থানায় তাদের অভ্যর্থনা জানান বিজেপির বিষ্ণুপুর কেন্দ্রের সাংসদ সদস্য সৌমিত্র খাঁ।

এদিন এই প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা বিজেপির সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, “পুলিস আমাদের অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করে। ধর্না মঞ্চ যাতে আর চালাতে না পারি সেজন্যই পুলিস আমাদের গ্রেপ্তার করে আটকে রাখে। সদাইপুর থানায় এই ঘটনার প্রতিবাদে অনশন করেছি। পরে গভীর রাতে ছাড়া হয়েছে। যাতে আমরা আর কোনও কর্মসূচি না করতে পারি। তবে, আমাদের আন্দোলন চলবে।”

এদিকে বিজেপির জেলা সভাপতি যখন পুলিশের বিরুদ্ধে হুংকার ছাড়ছেন, ঠিক তখনই রাজ্য প্রশাসনের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়ে এদিন দুপুরে রামকৃষ্ণপুরে গিয়ে মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। যেখানে মৃতের বাবা ভুবনেশ্বর গড়াই সহ পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। যেখানে বিজেপি নেতৃত্বের তরফে সেই পরিবারকে আর্থিক সাহায্যও দেওয়া হয়েছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে মৃতের স্ত্রী চায়না গড়াই বলেন, “আমার স্বামীর খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চাই। দল আমার পাশে রয়েছে। তাই আমিও দলের সঙ্গেই থাকব।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে মুকুল রায় বলেন, “বীরভূম জেলায় গত এক বছরে ন’জন বিজেপি কর্মী তৃণমূলের হাতে খুন হয়েছেন। এই জেলায় আইনের শাসন বলবৎ নেই।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, যত দিন যাচ্ছে, ততই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা প্রশ্নে রাজ্য সরকারকে চেপে ধরছে বিরোধী দল বিজেপি। আর এবার বীরভূমের এই ঘটনায় বিজেপি হাতে নতুন অস্ত্র পেয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রবল ভাবে সোচ্চার হতে শুরু করল বলেই মত একাংশের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!