এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > বাম কর্মীর মৃত্যুকে খুন বলে অভিহিত বাম নেতার, পাশাপাশি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিল কংগ্রেস

বাম কর্মীর মৃত্যুকে খুন বলে অভিহিত বাম নেতার, পাশাপাশি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিল কংগ্রেস


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিগত বেশ কয়েকদিন যাবৎ বাংলার রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে আছে, বামেদের ডাকা বনধ ঘিরে পুলিশি অত্যাচারের বিরুদ্ধে। বস্তুত, গত 11 ই ফেব্রুয়ারি বামেদের ডাকা নবান্ন অভিযানে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে বাম কর্মী-সমর্থকরা যোগ দিয়েছিলেন। এরকমই এসেছিলেন বাঁকুড়ার কোতুলপুর গ্রামের ডিওয়াইএফআই নেতা মনসুর আলী মিদ্দে। পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে মাথায়, কোমরে, বুকে ও কিডনিতে 32 বছরের মনসুর চোট পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে সোমবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় বাম নেতারা প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। যাদের মধ্যে অন্যতম হলেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী।

তিনি এই মৃত্যুর ঘটনাকে খুনের ঘটনা বলে অভিহিত করেছেন। সিপিএম যুব কর্মীর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে তাঁর পরিবার। জানা গিয়েছে, বাম কর্মী মনসুর পেশায় ছিলেন অটোচালক। এই মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরে তাঁর বাড়ি থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে তাঁর পরিজনেরা রওনা হয়েছেন। এই ঘটনার বিরুদ্ধে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী ছাড়াও প্রতিবাদ করতে গিয়ে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে স্বৈরাচারী সরকার বলে বর্ণনা করেছেন রাজ্যের অন্যতম কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান। তিনি অভিযোগ করেছেন, গণ আন্দোলন দমন করতে গিয়ে সরকার স্বৈরাচারী ও নৃশংস পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি আরও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আরও বড় লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে সুজন চক্রবর্তী 11 ই ফেব্রুয়ারির ঘটনাকে জালিয়ানওয়ালাবাগের ঘটনার সঙ্গে তুলনা করেছেন। মৃত মইদুল ইসলাম মিদ্দে বাম চিকিৎসক ফুয়াদ হালিমের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মইদুলের মৃত্যুর পর তিনি জানিয়েছেন, পুলিশের নির্মম মারের জেরে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। জানা গিয়েছে, পুলিশের মার সহ্য করতে না পেরে মইদুলের শরীরের অভ্যন্তরের প্রোটিন বেরোতে শুরু করে। 13 ই ফেব্রুয়ারি রিপোর্টে দেখা যায় তার শরীরের র‍্যাবডোমাইলোসিস তৈরি হয়েছে।

সোমবার সকালে মইদুল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ডাক্তারি সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা গেছে, মইদুলের শারিরিক অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া বিভিন্নভাবে ব্যাহত হতে থাকে। ফলস্বরূপ তাঁর মৃত্যু। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সামনেই একুশের বিধানসভা নির্বাচন, তার আগে যেভাবে বাম কর্মী সমর্থকের মৃত্যুতে রাজ্য প্রশাসনের ওপর পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়ে চাপ বাড়াচ্ছে বাম-কংগ্রে জোট শিবির, তাতে আগামী দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার চাপে পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!