এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মুকুলকে চাপে রাখতে শুভেন্দুর তৎপরতা, তৃণমূলে পা বাড়ানো জনপ্রতিনিধিদের বার্তা, বড় পদক্ষেপের ইঙ্গিত!

মুকুলকে চাপে রাখতে শুভেন্দুর তৎপরতা, তৃণমূলে পা বাড়ানো জনপ্রতিনিধিদের বার্তা, বড় পদক্ষেপের ইঙ্গিত!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বহু চেষ্টা করেও ভারতীয় জনতা পার্টি এবার পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা দখল করতে পারেনি। 200 আসনের টার্গেট দিয়ে শেষ পর্যন্ত 77 টি আসন দখল করতে সমর্থ হয়েছে তারা। তবে গুটিকয়েক আসন নিয়ে রাজ্য বিধানসভায় কয়েকটি আসনে থাকা বিজেপি বিধায়করা এখন রীতিমত বিরোধী আসন দখল করে তৃণমূলের বিরোধী শক্তি হিসেবে বিধানসভায় নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামে পরাজিত করে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে বিরোধী দলের ক্ষমতায় বসার পর থেকেই গেরুয়া শিবিরের অনেক নেতা, নেত্রীরা বেসুরো হতে শুরু করেছেন। এমনকি অনেক জনপ্রতিনিধিরাও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। তবে গণতন্ত্রের নিয়মানুযায়ী, যদি কোনো রাজনৈতিক দলের টিকিটে জিতে কোনো বিধায়ক আবার পরবর্তীতে জয়লাভ করার পর অন্য কোনো শিবিরে নাম লেখান, তাহলে তাকে বিধায়ক পদে ইস্তফা দিতে হয়।

কিন্তু তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর এরকম বহু নজির রয়েছে, যেখানে বিরোধী দলের অনেক বিধায়ক বিধায়ক পদে ইস্তফা না দিয়েই যোগ দিয়েছেন শাসক শিবিরে। এমনকি এর জন্য তৎকালীন বিরোধী দল বামও কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করতে বলা হলেও তা শোনা হয়নি। যার ফলে তৃণমূল সরকার এবং রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষের ভূমিকা নিয়ে মাঝেমধ্যেই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে বিজেপি বিরোধী আসনে বসার পর থেকেই গেরুয়া শিবিরের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই বিষয়টিকে পাখির চোখ করে নিয়েছেন। কোনো বিধায়ক দলত্যাগ করলে তিনি যে ছেড়ে কথা বলবেন না এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি যে আইন কার্যকর করে দেখাবেন, তা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায় ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লিখিয়েছেন।

আর এরপরই দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করতে এবং তার দলের বিধায়কদের যাতে তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের দিকে টানতে না পারে, তার জন্য রাজ্যপালের দ্বারস্থ হলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সূত্রের খবর, সোমবার দলীয় বিধায়কদের নিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর তারপর থেকেই তৈরি হয়েছে জল্পনা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলছেন, মুকুল রায়ের উপর চাপ বাড়ানোর জন্য এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে বার্তা দিতেই শুভেন্দু অধিকারী এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। কেননা মুকুল রায়কে দিয়ে শুরু হলেও পরবর্তীতে বিজেপির অনেক বিধায়ককে তৃণমূল কংগ্রেস ভাঙিয়ে নিয়ে যেতে পারে। সেদিক থেকে যদি এখন থেকেই দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করা না যায়, তাহলে বিজেপি ব্যাপক চাপের মুখে পড়তে পারে। তাদের ঘর শূন্য হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তাই প্রথম থেকেই এই ব্যাপারে হাল ধরে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের চাপ বাড়িয়ে দিতে চাইছেন নন্দীগ্রামের বিজেপির বিধায়ক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিজেপি বিরোধী দলের জায়গা দখল করার সাথে সাথেই গেরুয়া শিবিরের অনেক নেতা নেত্রীরা বেসুরো হতে শুরু করেছেন। প্রচুর নেতা-নেত্রী তৃণমূলে আসার জন্য মুখিয়ে আছেন বলে খবর। সাথে সাথে অনেক জনপ্রতিনিধিও গেরুয়া শিবির ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে শামিল হতে পারেন।

এদিকে মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করতে না করতেই তার সঙ্গে বিজেপির অনেক বিধায়ক যোগাযোগ রাখছেন। আর এই পরিস্থিতিতে যদি নিজেদের জনপ্রতিনিধিদের আটকে রাখতে না পারে গেরুয়া শিবির, তাহলে তারা বিধানসভার অন্দরে আরও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে যাবে। তাই দলত্যাগ বিরোধী আইন তিনি কার্যকর করে দেখাবেন বলে হুঁশিয়ারি দেওয়ার সাথে সাথেই তাকে বাস্তবে রূপ দিতে তৎপরতা গ্রহণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী।

 এক্ষেত্রে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলে সদলবলে দলীয় বিধায়কদের নিয়ে তার রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে রাজ্যপালের সাক্ষাত এবং আলোচনার পর কি বিষয় উঠে আসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!