‘বেইমান কে- আমি না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?’প্রশ্ন তুললেন মুকুল রাজ্য March 7, 2018 তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি যাওয়ার পর থেকেই মুকুল রায়ের নামের পাশে ‘গদ্দার’ শব্দটি বসিয়েছে তৃণমূল নেতা নেত্রীরা।দীর্ঘদিন চুপ থাকার পর নেত্রীও জনসমক্ষে নাম না করে ‘গদ্দার’ বলেছেন এককালের তাঁর বিশ্বস্ত সৈনিককে। এদিন ঝাড়গ্রামের সভায় সেই প্রসঙ্গেই তোপ দাগলেন। এদিন সরাসরি প্রশ্ন তুললেন ‘বেইমান কে- আমি না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?’ এদিন তিনি বলেন, ‘আমার থেকেও বড় বেইমান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমে কংগ্রেসের সঙ্গে বেইমানি করেছিলেন, তারপর বিজেপির সঙ্গে। আরও স্পষ্ট করে বললে অটলবিহারী বাজপেয়ীর সঙ্গে বেইমানি করেছিলেন। যে অটলবিহারী বাজপেয়ী তাঁকে কন্যাস্নেহ দিয়েছিলেন, তাঁর মাকে প্রণাম করে এসেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জাতীয় নেত্রী বানিয়েছিলেন, সেই অটলবিহারীর সঙ্গে বেইমানি করেছিলেন তিনি।’পাশাপাশি এদিন ভারতী ঘোষ ও ছাত্রধার মাহাতো প্রসঙ্গও তোলেন তিনি। তিনি বলেন,’তাঁদের সঙ্গেও বেইমানি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একজন হলেন ছত্রধর মাহাতো। আর অপরজন ভারতী ঘোষ। দুজনেই জঙ্গলমহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এবং তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেসকে জায়গা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রয়োজন মিটতেই দুজনের সঙ্গে বেইমানি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’ পাশাপাশি সুব্রত বক্সী প্রসঙ্গে বলেন যে,’আমার দয়াতেই সুব্রত বক্সি সাংসদ হয়েছেন, আরও অনেকে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন, আমি যদি দলটা তৈরি না করতাম, তাহলে এসব কী হত?’ তাঁর এই কথায় পরিষ্কার যে দলটা তিনি তৈরি করেছিলেন, সেই দলে তাঁর জায়গা না হলেও, এখন অনেকেই করে খাচ্ছেন।শেষে অবশ্য তিনি জনগনের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দেন। তিনি বলরন,’আমি সে সময় তৃণমূল কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলাম, তাই আমার থেকে এসব কেউ ভালো জানবে না যে, তৃণমূল কংগ্রেস কাদের সাহায্য নিয়েছে। আজ আমার দিকে আঙুল তুলছে ‘গদ্দার’ বলে, তাহলে আপনারাই বিচার করে দেখুন কে আসলে গদ্দার, কে বেইমান! আমি এই প্রশ্নের উত্তর দেব না। এই প্রশ্নের উত্তর দেবে বাংলার মানুষ।’ আপনার মতামত জানান -