এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > গতকাল ব্রিগেডের মমতার বক্তব্যের পাল্টা দিলেন মুকুল রায়

গতকাল ব্রিগেডের মমতার বক্তব্যের পাল্টা দিলেন মুকুল রায়


গতকাল তৃণমূলের ব্রিগেডে বহু নক্ষত্রের সমাগম হয়। আর সেখানে ২০১৯ এ মোদিবাহিনীকে দিল্লির মসনদ থেকে হটাতে মহাজোটের ডাক দেওয়া হয়। আর সেখানেই মোদী সরকার নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন যে, “মোদি সরকারের এক্সপায়ারি ডেট পার হয়ে গেছে।”

আর এই নিয়েই এদিন বর্তমান বিজেপি নেতা মুকুল রায় পাল্টা দিয়ে প্রশ্ন করেন যে, “তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকারের এক্সপায়ারি ডেটটা কবে? ২০১৯, ২০২০ না ২১? সেটাই এখন বাংলার মানুষ বিচার করবে।”

এখানে শেষ নোই এদিন মুখ্যমন্ত্রী মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে জানান যে, “CBI-কে ব্যবহার করছে BJP পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার।” আর এর পাল্টা দিয়ে মুকুল বাবু জানান যে, “RJD নেতা লালু প্রসাদ যাদব, BSP নেত্রী মায়াবতীর বিরুদ্ধে CBI তদন্ত শুরু হয়েছে কংগ্রেস আমলেই।”
পাশাপাশি তৃণমূলনেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেন যে, “ক্ষমতায় আসার আগে বিভিন্ন ইশুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় CBI তদন্তের দাবি জানাতেন। নন্দীগ্রাম আন্দোলন, সিঙ্গুর আন্দোলন, তাপসী মালিক হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় CBI তদন্তের দাবি জানাতেন। তার রেকর্ড রয়েছে। তবে এখন কেন CBI-কে ভয় পাচ্ছেন?”

এদিন সারদা কান্ড নিয়েও বলেন যে, “সারদার তদন্ত শুরু হয়েছে কংগ্রেস আমলে। তৃণমূল কংগ্রেস বারবার নীরব মোদি, বিজয় মালিয়াকে টেনে আনছে। আমি বলছি কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। এতে ব্যাঙ্কের টাকা ফ্রড হয়েছে ঠিকই কিন্তু গরিব মানুষের ক্ষতি হয়নি। গরিব মানুষ টাকা খুইয়েছ সারদা, রোজ়ভ্যালি, প্রয়াগে টাকা রেখে।”

ব্রিগেডে সভামঞ্চ থেকে বেকার সমস্যা ও কর্মসংস্থান ইশুতে কেন্দ্রীয় সরকারকে একের পর এক আক্রমণ শানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এদিন এর পাল্টা দিয়ে মুকুলবাবু বলেন, “বাংলায় কত কর্মসংস্থান হয়েছে সেটা উনি বলুন আগে। টাকা দিয়ে মানুষকে ধরে রাখার চেষ্টা করছেন উনি।”

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিনের ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে মুখ খোলেন মুকুলবাবু। জোট ও বিরোধীদের অংশগ্রহন নিয়ে এদিন তিনি বলেন যে,
“এই জোটে কারা আছেন? কার সঙ্গে কার জোট? কীসের বিরুদ্ধে জোট? কে নেতা? কেউ জানে না। বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী যে সভা আশা করেছিলেন উনি নিজেও বুঝছেন সেই অনুযায়ী মানুষ আজ আসেনি। ব্রিগেডে যে ভাবে পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজে লাগানো হয়েছে সেটাকে পুলিশরাজ বলে। এটা সারা রাজ্যে চলছে। এই রাজ্যে SP-রা দল চালাচ্ছে। কমিশনার অফ পুলিশ দল চালাচ্ছে। যে ভাবে আজ ওঁরা সভাকে সফল করার চেষ্টা করেছেন সেটা গণতন্ত্রের জন্য কলঙ্কজনক।”

ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে তাঁর আরও কটাক্ষ “তৃণমূল সরকার গতবছর হলফনামা দিয়ে বলছে শাসকদলের হাতে এখন মাত্র ১৫০০ কোটি টাকা আছে। আজকের এই সভায় যে এত কোটি টাকা খরচ হল তার হিসাব কী দেবেন? মুকুলবাবু দাবি করেন, “শ্বেতপত্র প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলুন রাজ্যে শিল্পখাতে কত বিনিয়োগ হয়েছে। আসলে রাজ্যের মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!