করোনা আবহে উত্তরবঙ্গবাসীর জন্য বড়সড় উপহারের ডালিতে মাস্টারস্ট্রোক অশোকের? চাপ বাড়ল তৃণমূলের? উত্তরবঙ্গ তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য November 2, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একদিকে করোনা ভাইরাস এবং অন্যদিকে লকডাউন, এই দুইয়ের জেরে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছে সাধারণ মানুষ। অনেকেরই ভাড়ারে টান পড়তে শুরু করেছে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার জনমুখী সিদ্ধান্ত নেওয়ার উদ্যোগ নিল শিলিগুড়ি পৌরসভা। জানা গেছে, বকেয়া সম্পত্তি কর আদায় করতে এবার সুদের উপর 50 শতাংশ ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিলিগুড়ি পৌরসভা। ইতিমধ্যেই পৌরসভার এই অনুমোদনের জন্য রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরে একটি আবেদন পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, সোমবার অফিস খুললে এই প্রস্তাব অনুমোদন করে দেওয়া হবে। কিন্তু ঠিক কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে? জানা গেছে, বকেয়া সম্পত্তি করের উপর যে পরিমাণ সুদ যুক্ত রয়েছে, সেই সুদের 50 শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া যাবে। অর্থাৎ বকেয়া সম্পত্তির পরিমাণ যদি কোনো ব্যক্তির 1000 টাকা হয়, তাহলে শুধু তাকে 500 টাকা দিতে হবে। আর শিলিগুড়ি পৌরসভার পক্ষ থেকে যদি এলাকার মানুষদের এই সুবিধা দেওয়া যায়, তাহলে প্রচুর টাকার সম্পত্তি করা রয়েছে যে সমস্ত ব্যক্তিদের, তারা অনেকটাই উৎসাহিত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমানে শিলিগুড়ি পৌরসভা এলাকায় প্রায় 15 থেকে 16 কোটি টাকা বছরে সম্পত্তি কর আদায় করা হয়। কিন্তু মার্চ মাসের শেষ দিক থেকে লকডাউন হওয়ার কারণে সেই আয় অনেকটাই কমতে শুরু করেছিল। গত ছয় মাসে প্রায় 5 থেকে 6 কোটি টাকার মত সম্পত্তি কর আদায় হয়েছে। অর্থাৎ প্রায় তিন কোটি টাকা ঘাটতি রয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে বেতন দেওয়া সহ একাধিক ব্যাপারে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছে শিলিগুড়ি পৌরসভা। এমত পরিস্থিতিতে সম্পত্তি কর আদায় করতে সুদের উপর 50 শতাংশ ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হল শিলিগুড়ি পৌর কর্তৃপক্ষকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে শিলিগুড়ি পৌরসভার পৌর প্রশাসক অশোক ভট্টাচার্য বলেন, “ভাড়ারে টান পড়ায় বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষকে করোনার কারণে গত মার্চ মাস থেকে পৌরসভার সম্পত্তি কর আদায় কমেছে। আনুষঙ্গিক খরচ বেড়েছে। দৈনন্দিন পৌর পরিষেবা দেওয়ার জন্য খরচ তো আছেই। সেই ধাক্কা সামলাতে এবার বকেয়া সম্পত্তির উপর সুদের ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের অনুমোদন নিয়ে তা করতে হবে। সেই বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে কথা বলেছি। তার পরেই আমরা আমাদের প্রস্তাব সরকারের কাছে পাঠিয়েছি।” এদিকে শিলিগুড়ি পৌরসভার পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব গিয়েছে, তা কি অনুমোদন করবে রাজ্য সরকার? এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “শিলিগুড়ি পৌরসভার প্রস্তাব পেয়েছি। পুজোর ছুটির জন্য অনুমোদন করা যায়নি। সোমবার অফিস খুললেই ওই প্রস্তাব অনুমোদন করে দেওয়া হবে।” সব মিলিয়ে শিলিগুড়ি পৌর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকেই সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকরী হয়, সেদিকে অবশ্যই নজর থাকবে সকলের। পাশাপাশি এই জনমোহিনী সিদ্ধান্তের জেরে শিলিগুড়ি পৌরসভার পৌর প্রশাসক তথা বাম নেতা অশোক ভট্টাচার্য মানুষের সঙ্গে আরও বেশি করে জনসংযোগ স্থাপন করলেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যার ফলে আগামী নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে তৃণমূলকে কিছুটা হলেও বেকায়দায় পড়তে হতে পারে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -