এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নাড্ডার ডাকা বিধানসভা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বৈঠকে গরহাজির মুকুল, কারণ নিয়ে শুরু জল্পনা!

নাড্ডার ডাকা বিধানসভা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বৈঠকে গরহাজির মুকুল, কারণ নিয়ে শুরু জল্পনা!


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একসময় তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিয়ে ঘাসফুল শিবিরের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছিলেন মুকুল রায়। তৃণমূল থেকে নেতা ভাঙ্গানো থেকে শুরু করে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে 18 টি আসন পাইয়ে দেওয়ার পেছনে মূল কৃতিত্ব মুকুল রায়ের রয়েছে বলেই দাবি করেন সকলে। তবে তার পরেও দীর্ঘদিন পদ ছাড়াই বিজেপিতে থাকতে দেখা গেছে তাকে। কিন্তু কিছুদিন আগেই দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির জায়গা পেয়েছেন তিনি।

আর মুকুল রায় এত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পাওয়ার পরেই বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলেছিলেন, মুকুলবাবুর সঙ্গে রাজ্য নেতৃত্বের একাংশের বনিবনা না হলেও, তার সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তাই তাকে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বড় দায়িত্ব দেওয়া হল। কিন্তু বুধবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বঙ্গ সফরে আসলেও তার কোনো কর্মসূচিতে মুকুল রায়কে দেখতে না পাওয়ায় নতুন করে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে বঙ্গ বিজেপির অন্দরমহলে। যা নিয়ে এখন ব্যাপক প্রশ্ন তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বুধবার দুপুরে কলকাতায় পা রাখেন জেপি নাড্ডা। যেখানে বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন মুকুল রায়। পরবর্তীতে দক্ষিণ কলকাতায় বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন কর্মসূচিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি উপস্থিত থাকলে সেখানেও অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে উপস্থিত থাকতে দেখা যায় মুকুল রায়কে। কিন্তু বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির ডাকা বিধানসভা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে দেখা যায়নি দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতিকে।

শুধু তাই নয়, বস্তিবাসীদের নিয়ে জেপি নাড্ডা একটি সভা করলেও সেই সভায় উপস্থিত হয়ে তা শুরু হওয়ার আগেই সেখান থেকে চলে যান মুকুল রায়। স্বাভাবিকভাবেই দলের সর্বভারতীয় সভাপতি উপস্থিত থাকলেও, কেন তিনি সেখানে অনুপস্থিত! এখন তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন চিহ্ন তৈরি হয়েছে। তাহলে কি মুকুল রায়ের সঙ্গে বিজেপির দূরত্ব আবার বাড়তে শুরু করেছে! আর তাই বিজেপির মত সাংগঠনিক শৃঙ্খলাপরায়ন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি নানা কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকলেও, সেখানে অনুপস্থিত থেকে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলেন মুকুল রায়!

জানা গেছে, এদিন বৈঠক শেষে মুকুল রায়ের মান ভাঙানোর চেষ্টা করা হয়। বিজেপির তরফ থেকে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ছাড়াও একাধিক কেন্দ্র এবং রাজ্যের নেতারা একের পর এক মুকুল রায়কে ফোন করতে শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত রাত দশটায় বরফ গলার খবর পাওয়া যায়। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ডায়মন্ড হারবারে জেপি নাড্ডার কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন মুকুল রায়।

কিন্তু হঠাৎ করে এমন কি হল, যার কারণে মুকুল রায় দলের সর্বভারতীয় সভাপতির কর্মসূচিতে পর্যন্ত অনুপস্থিত থাকলেন? জানা গেছে, জেপি নাড্ডা আসার অনেক আগেই আইসিসিআরে চলে এসেছিলেন মুকুল রায়। যেখানে নিজের অনুগামীদের নিয়ে ক্যাফেটেরিয়ার একটা কোণে বসে থাকতে দেখা যায় তাকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে মুকুল রায়ের এক অনুগামী বলেন, “একজন সর্বভারতীয় সহ-সভাপতিকে যেভাবে স্বাগত জানানো উচিত, তা করা হয়নি। সভা ও বৈঠক আয়োজনের দায়িত্বে যারা ছিলেন, তারা ভেতরে দাদাকে ডাকেননি। চূড়ান্ত অব্যবস্থা ছিল‌। বেশ কিছুক্ষণ ক্যাফেটেরিয়ায় বসে থাকার পর তিনি চলে যান।” বিশ্লেষকরা বলছেন, বিজেপির রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব খুব ভালো করেই জানেন, রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভাঙতে গেলে মুকুল রায়ের মত দক্ষ সাংগঠনিক ব্যক্তিকে দরকার। তাই কিছুদিন আগেই তার গুরুত্ব অনুভব করে তাকে দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি করা হয়েছে।

কিন্তু এদিন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি রাজ্যে উপস্থিত হলেও মুকুল রায়কে সম্মান না দেওয়ার কারণেই তিনি গোঁসা করেছেন এবং সেখান থেকে চলে গিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে পরবর্তীতে তার মান ভাঙানোর চেষ্টা করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। যার পরিপ্রেক্ষিতে আজ জেপি নাড্ডার কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকতে পারেন মুকুল রায়। তবে এভাবেই যদি মুকুল রায়ের সঙ্গে নানা সময় দূরত্ব বাড়তে শুরু করে বঙ্গ বিজেপির, তাহলে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে উঠবে বলেই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

কেননা সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে মুকুল রায়ের মত সাংগঠনিক ব্যক্তিকে গুরুত্ব না দিয়ে যদি বিজেপি নিজেদের মতো করে পথ চলতে শুরু করে, তাহলে মুকুলবাবু বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। যা কোনোমতেই বিজেপির ক্ষেত্রে সুখকর হবে না বলেই দাবি করছেন সমালোচক মহল। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, আজকের কর্মসূচিতে কি করেন মুকুল রায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!