নাম বিভ্রাটের জের! জলজ্যান্ত মন্ত্রী নিমেষের মধ্যে মৃত! শোরগোল রাজ্যে ! নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য October 15, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভুয়ো খবরের শিকার হলেন এবার ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়ক ডাঃ আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা। বিভিন্ন সময় বিশিষ্ট মানুষের সম্বন্ধে নানান ভুয়ো খবর ছড়ায়। বর্তমানে ভুয়ো খবরের আধিক্য আরো বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। অনেক সময় বিশিষ্টজনের মৃত্যু খবর ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি প্রবীণ অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে নিয়েও এ ধরনের বিভ্রান্তিকর খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। আর এবার ভাঙ্গনের প্রাক্তন বিধায়ক ডঃ আব্দুর রেজ্জাক মোল্লার মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়ল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমনকি বার্ধক্যজনিত কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলেও খবর রটে। শুধু তাই নয়, এমনও রটে যে বুধবার আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা সকাল বেলা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন এবং তাঁর বাড়িতে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে গেছেন সিপিএম নেতা রশিদ গাজী, তুষার ঘোষ সহ অন্যান্যরা। নিজের মৃত্যু সংবাদ নিজে শোনার পর রেজ্জাক মোল্লা নিজেই আচম্বিত হয়ে গেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁর মৃত্যু সংবাদে চারদিক থেকে প্রচুর ফোন আসছে। পার্টির নেতারা যেরকম ফোন করছে, ঠিক সেরকম গ্রামের লোকেরাও খবর নিতে আসছে। কেন এরকম ঘটলো তার সন্ধান করতে গিয়ে উঠে এলো আসল ঘটনা। আসলে মৃত্যু হয়েছে ভাঙ্গরের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক ডাক্তার আব্দুর রাজ্জাক মোল্লার। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় রটেছে রাজ্যের মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লার মৃত্যু ঘটেছে। নাম বিভ্রাটই এই গন্ডগোলের পিছনের আসল কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। বঙ্গ রাজনীতির বহু পুরনো মানুষ হলেন রেজ্জাক মোল্লা। প্রথম দিকে তিনি বামফ্রন্ট রাজনীতিতে যোগ দেন। সেসময় জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর মন্ত্রিসভায় সদস্য ছিলেন তিনি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এরপর তিনি তৃণমূলের আসেন এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভাতেও জায়গা করে নেন। 1972 সালে প্রথম তিনি ভাঙ্গড় থেকে বিধায়ক পদে জয়ী হন। এরপর 1977 সালে ক্যানিং পূর্ব থেকে আবারও জয়ী হন তিনি এবং তার পরের ভোটে জিতে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর এর মন্ত্রীর দায়িত্ব নেন মাননীয় রেজ্জাক মোল্লা। কিন্তু বাম সরকারের সঙ্গে তাঁর মতবিরোধ ঘটে সিঙ্গুরের জমি অধিগ্রহণের সময়। এবং দল বিরোধী কথা বলার জন্য সিপিএম থেকে পরবর্তীকালে বহিস্কৃত হন রেজ্জাক মোল্লা। বাম শিবির থেকে বিতাড়িত হয়ে রেজ্জাক মোল্লা নিজেই ভারতীয় ন্যায়বিচার পার্টি নামে একটি নতুন দল তৈরি করেন। যদিও তাঁর সেই দল বিশেষ সাড়া ফেলতে পারেনি। অবশেষে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি তৃণমূল সরকারের অন্যতম মন্ত্রী। কিছুদিন আগেও এ ধরনের মৃত্যুসংবাদ রটে গিয়েছিল সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা সম্পর্কে। মন্টুরাম পাখিরার মৃত্যুসংবাদ এতোটাই নিশ্চিত ভাবে ছড়ানো হয়েছিল যেখানে নবান্নের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ থেকেও মন্টুরামের মৃত্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর শোক বার্তা প্রকাশ করা হয়। কিছুক্ষণ পর অবশ্য দপ্তরের আধিকারিকদের ভুল ভাঙে। সঙ্গে সঙ্গে সেই শোক বার্তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের ভুয়ো খবর রটানোর ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই যার সম্পর্কে খবর রটে, তাঁর পরিবারের ওপর অত্যন্ত মানসিক চাপ পড়ে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভ্রান্ত খবর আটকানোর একটাই উপায়, মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি। সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভর না করে আসল খবর খতিয়ে দেখা। কিন্তু তাতে যে ভুয়ো খবর ছড়ানোয় দাঁড়ি পড়বে, তা অবশ্য নিশ্চিত করে বলতে পারেনি কেউই। আপনার মতামত জানান -