প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – যেখানে বিধানসভা নির্বাচনের আগে চলছে দলবদলের পালা, সেখানেই লোকসভা নির্বাচনের পরে বনগাঁ এর বর্তমান বিধায়কের বিজেপিতে যোগদানের পরেই নতুন প্রার্থী হতে মিছিল করতে দেখা গেছে প্রভাবশালী তৃণমূল নেতাকে। সেখানে সম্প্রতি বনগাঁ পুরসভার প্রশাসক শঙ্কর আঢ্যকে প্রার্থী চেয়ে ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক পোস্ট করতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের একাংশকে।

অন্যদিকে, স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বনগাঁ উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে এতদিন শাসক দলের বিধায়ক ছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। কিন্তু লোকসভা ভোটের পর তিনি দলবদল করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এরপর বনগাঁ পুরসভাতেও অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়। যার পর তীব্র রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে শেষপর্যন্ত শাসকদল বনগাঁ পুরসভা কোনওমতে ধরে রাখতে সক্ষম হয়।

কিন্তু লোকসভা ভোটের দিকে দেখলে বোঝা গেছে, এই বিধানসভা কেন্দ্রে শাসকদের বেশ কয়েক হাজার ভোটে পিছিয়ে রয়েছে। এরই সঙ্গে বনগাঁর রাজনীতিতে তাই শাসকদের তরফে একজন জোরদার প্রতিদ্বন্দ্বী আনার ভাবনা ছিল বলেই জানা গেছে। তাই সেক্ষেত্রে বিশ্বজিৎবাবুর চরম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে উঠে এসেছে শঙ্কর আঢ্যর নাম। এই পরিস্থিতিতে বনগাঁ উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে শাসক দলের প্রার্থী কে হবেন তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে।

সেইসঙ্গে শঙ্করকে বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক হিসেবে পেতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক পোস্ট করা হয়েছে বলেও জানা গেছে। তথ্য সূত্রে জানা গেছে, সেই পোস্টে লেখা হচ্ছে, বনগাঁ শহরের উন্নয়ন এখন সকলে দেখতে পাচ্ছে। সুইমিং পুল, মাল্টি জিম, ঝাঁ চকচকে রাস্তাঘাট, চিকিৎসা পরিষেবার মতো নানা জনহিতকর কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সীমান্তবর্তী বনগাঁ শহর সেজে উঠেছে।

আর এই সমস্ত কর্মকাণ্ডের হোতা হিসেবে বনগাঁ পুরসভার প্রশাসককেই তুলে ধরা হয়েছে। সেইসঙ্গে এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে আগামী নির্বাচনে তাঁকে বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক হিসাবে দেখতে তাঁকে বেছে নেওয়ার কথাই বলা হয়েছে। যদিও তাঁর কথায়, জনপ্রতিনিধি হিসেবে বনগাঁর উন্নয়নের কাজ করা তাঁর নৈতিক দায়িত্ব বলেই মনে করছেন তিনি।

যদিও সেই সঙ্গে দলনেত্রীর কথা বলে তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন বলেই বনগাঁর উন্নতি সম্ভব হয়েছে। তাঁর মতে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে নেত্রী যাঁকে প্রার্থী করবেন তিনিই প্রার্থী হবেন। যদিও দলের একাংশের মতে এভাবেই কৌশল করে দলীয় কর্মীদের মাধ্যমে নিজের প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছাকে শঙ্করবাবু দলীয় নেতৃত্বের কাছে জানিয়ে রাখলেন।