এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়নে অসুবিধা ঠিক কোথায়? বুঝতে মমতার সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করবে কেন্দ্র!

জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়নে অসুবিধা ঠিক কোথায়? বুঝতে মমতার সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করবে কেন্দ্র!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি জাতীয় শিক্ষানীতির খসড়া ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর তারপরেই নানা মহলে শিক্ষা নীতির প্রস্তাব নিয়ে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে। জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রের সাথে সব সময় প্রতিটি ব্যাপারে দ্বৈরথ তৈরি হতে দেখা যায় রাজ্যের তৃণমূল সরকারের। সম্প্রতি শিক্ষানীতি ঘোষণার পর ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের কাছে একটি প্রতিবাদ পত্র পাঠিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় এমনিতেই ব্যাকফুটে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

রাজ্য বনাম কেন্দ্রের মধ্যে শিক্ষানীতি নিয়ে এই দ্বৈরথ চরম আকার ধারণ করতে পারে বলে মনে করছে একাংশ। আর এমত পরিস্থিতিতে এবার জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনায় বসার সম্ভাবনার কথা জানালেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক। সূত্রের খবর, এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “জাতীয় শিক্ষানীতিতে কোনো ভাষাই কারও উপর চাপিয়ে দেওয়া হবে না। কোন ভাষায় পড়ানো হবে, তা রাজ্য ঠিক করবে। একই সঙ্গে পড়ুয়া এবং অঞ্চলের অধিকার থাকবে, কি ভাষায় স্কুলে তারা পড়াবে। দেশ এবং জাতির ভবিষ্যতের স্বার্থে নয়। শিক্ষানীতি নিয়ে সব রাজ্যকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

দরকারে মমতাজির সঙ্গেও কথা বলব।” স্বভাবতই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথা এবার নতুন করে জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে। শিক্ষানীতি নিয়ে ভাষার ক্ষেত্রে তীব্র আপত্তি ছিল রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। এদিন এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলা হবে বলে জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। অর্থাৎ রাজ্যের যে ব্যাপারে ক্ষোভ রয়েছে সেই ব্যাপারে মন্তব্য করে তিনি বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন, গোটা সমস্যার সমাধান করতে কিন্তু অত্যন্ত উদ্যোগী। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন, “কিভাবে ধাপে ধাপে রাজ্যকে এড়িয়ে বা অন্ধকারে রেখে কিছুই করা হবে না।

2025 সালের মধ্যে তিন থেকে ছয় বছরের শিশুদের সম্পূর্ণ শিক্ষা টার্গেট নেওয়া হয়েছে। দেখা হবে শিশু মনের উপর যাতে চাপ না পড়ে।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে কেন্দ্র বনাম রাজ্যে যে গন্ডগোল, তা চরম আকার ধারণ করতে পারে। যার ফলে প্রভাব পড়তে পারে শিক্ষাক্ষেত্রে। তাই সেই সমস্ত বিষয় যাতে বেশি সমস্যার কারণ হয়ে না দাড়ায়, তার জন্যই এই উদ্যোগ গ্রহণ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। অর্থাৎ আলোচনার ভিত্তিতে সমস্যার সমাধান করতে উদ্যোগী হলেন তিনি। এখন গোটা পরিস্থিতির কবে সমাধান হয়, সেদিকেই নজর থাকবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!