এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > নেতার সুপারিশেই পদ! আগামী ৫০ বছর বিরোধী আসনে বসতে হবে! শীর্ষনেতার বিস্ফোরক দাবিতে চাঞ্চল্য

নেতার সুপারিশেই পদ! আগামী ৫০ বছর বিরোধী আসনে বসতে হবে! শীর্ষনেতার বিস্ফোরক দাবিতে চাঞ্চল্য


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি কংগ্রেসের সভাপতি বাছাই নিয়ে জোরদার আলোড়ন শুরু হয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে কংগ্রেসের ভেতরের দ্বন্দ্ব। ইতিমধ্যে সোনিয়া গান্ধীও বিদ্রোহীদের শায়েস্তা করতে আসরে নামলেন। বৃহস্পতিবার তিনি দুটি কমিটি গঠন করেছেন। আর সেখানেই দেখা যাচ্ছে, বিদ্রোহী নেতারা এবার পুরোপুরি গুরুত্বহীন হয়ে গিয়েছেন কংগ্রেসে। বরাবরই কংগ্রেসের বিদ্রোহী নেতাদের স্থান হয় সবার শেষে। ক্ষমতাহীন হয়েই রয়ে যান তাঁরা দলে। এবারেও তার অন্যথা হচ্ছেনা বলেই মনে হচ্ছে।

আর তাই নিয়েই এবার মুখ খুলেছেন কংগ্রেসের বিদ্রোহী নেতাদের অন্যতম গুলাম নবি আজাদ। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি সাংবাদিকদের সামনে বলেন, কংগ্রেসের অন্দরে যদি নির্বাচন না হয় তাহলে দিল্লির মসনদে আগামী 50 বছরেও ক্ষমতায় ফিরবে না কংগ্রেস। গুলাম নবী আজাদ -এর মতে, কংগ্রেসের ব্লকস্তর থেকে শুরু করে জেলা কমিটি, রাজ্য কমিটি এবং ওয়ার্কিং কমিটি- প্রত্যেকটি স্তরের নির্বাচন হওয়া উচিত। তাঁর মতে নির্বাচনের জয়-পরাজয় নির্ভর করবে কর্মী সমর্থনের ওপর।

আর সে ক্ষেত্রে দলের কাজে গতি বাড়বে। কিন্তু সোনিয়া গান্ধী যেভাবে কমিটি গঠন করলেন, তা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখযোগ্যভাবে অভিযোগ করেন তিনি, বর্তমানে কংগ্রেস শিবিরে চলছে তোষামোদের রাজত্ব। তাঁর মতে বর্তমানে এমন নেতা প্রদেশ সভাপতি হচ্ছেন, যারা দিল্লিতে যোগাযোগ রাখছেন। বর্ষিয়ান কংগ্রেস নেতা গুলাম নবী আজাদ পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, নির্বাচনের বিরোধিতা করা মানে সস্তার রাজনীতি করা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গুলাম নবি আজাদ -এর মতে, নতুন সভাপতি যদি নির্বাচিত না হয়ে মনোনীত হয়, তাহলে তাঁর গুণমান এবং গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকবে। আর সেক্ষেত্রে তিনি দাবি করেন, কংগ্রেসের ভেতরে যদি আভ্যন্তরীণ নির্বাচন না হয়, তাহলে আগামী 50 বছরেও কংগ্রেস আর জাতীয় রাজনীতিতে ক্ষমতা দখল করতে পারবেনা। মনে করা হচ্ছে কংগ্রেসের দীর্ঘদিনের নেতা গুলাম নবী আজাদ কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সেই সব নেতাদের কটাক্ষ করেছেন, যারা দীর্ঘদিন ধরেই নিজেদের পদ আঁকড়ে বসে আছেন এবং যারা নির্বাচনের বিরোধিতা করেছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কংগ্রেসে বর্তমানে প্রবীণ ভার্সেস নবীনের যুদ্ধ চলছে। আর এই যুদ্ধে বলাইবাহুল্য গান্ধী পরিবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করছে। অন্যদিকে কংগ্রেস শিবিরের অনেকেরই মত, যে 23 জন নেতা সোনিয়া গান্ধীর কাছে চিঠি লিখেছিলেন, তাঁরা প্রায় প্রত্যেকেই প্রবীণ এবং অনেকেই লোকসভা নির্বাচনে হেরে গিয়ে বা ভোটে না লড়েই রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছেন। তবে রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে কংগ্রেসে টিকে থাকা যে যথেষ্ট সমস্যাজনক সে কথাই কিন্তু প্রমাণ করে দিলেন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। তিনি পরিষ্কার বুঝিয়ে দিলেন কংগ্রেসে থাকতে হলে দলের নীতি নিয়ম মেনে চলতে হবে। তা সে যতই মান্ধাতা আমলেরই হোক না কেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!