এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > সুরক্ষার দাবিতে সরকারি কর্মীদের মামলার জটে এবার আরো জটিল পঞ্চায়েত নির্বাচন

সুরক্ষার দাবিতে সরকারি কর্মীদের মামলার জটে এবার আরো জটিল পঞ্চায়েত নির্বাচন

রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন ক্রমশ বিশ বাঁও জলে চলে যাচ্ছে বিভিন্ন মামলার জটে। আজই বিজেপির করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনের নির্দেশনামার উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। অন্যদিকে পঞ্চায়েত ভোটে ভোটকর্মীরূপে অংশগ্রহণকারী সরকারি কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন তুলে গতকাল বিজেপি প্রভাবিত সরকারি কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক দেবাশিস শীল কলকাতা হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন। আজ সেই পিটিশন (W.P.No.4691(W) of 2018) আদালত গ্রহণ করছে এবং মামলার শুনানির দিন আগামী শুক্রবার প্রধান বিচারপতির এজলাসে ধার্য করেছে।

এই প্রসঙ্গে দেবাশিসবাবুর সঙ্গে প্রিয়বন্ধু বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমরা এর আগে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে গিয়ে বিগত দুটি পঞ্চায়েত নির্বাচনের তথ্য তুলে ধরে জানিয়েছিলাম, নির্বাচন চলাকালীন রাজনৈতিক হানাহানিতে কতজন সরকারি কর্মচারী অকালে প্রাণ হারিয়েছেন, তিনি আমাদের সঙ্গে সহমত হলেও যেহেতু সুরক্ষার বিষয়টি সরাসরি কমিশনের হাতে নেই, তিনি তা গুরুত্ত্বের সঙ্গে রাজ্য সরকারকে জানাবেন বলে জানিয়েছিলেন এবং আমাদের কাছে ১০ দিনের সময় চেয়েছিলেন। সেই ১০ দিনের সময়সীমা গত শুক্রবার পেরিয়ে যায়, কিন্তু আমরা নির্বাচন কমিশনারের কাছ থেকে কোনো নির্দেশ এই নিয়ে পাই নি এখনো। তার উপরে মনোনয়ন পর্ব চলাকালীন রাজ্যজুড়ে যে সন্ত্রাসের ছবি উঠে এসেছে তাতে আমরা সরকারি কর্মীরা রীতিমত ভীত। এমনকি স্বয়ং নির্বাচন কমিশনার স্বীকার করে নিয়েছেন, বর্তমানে রাজ্যে নৈরাজ্যের পরিবেশ চলছে। আর তাই সবমিলিয়ে ভোটকর্মীদের সুরক্ষা দেওয়ার মত প্রশিক্ষণ রাজ্য পুলিশের না থাকায় আমরা সমগ্র নির্বাচন প্রক্রিয়া কেন্দ্রিয়বাহিনীর সুরক্ষা বলয়ে থেকে করতে চাই।

তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যেই সরকারি কর্মীদের উপর হামলা শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক কর্মীরা। আজই বর্ধমানে বিরোধী মনে করে এক সরকারি কর্মী, দেবাশিস মুখার্জির উপর চূড়ান্ত আক্রমন হয়েছে। তাঁকে লাঠি করে মারা হয়েছে, এমনকি তাঁকে চড়ও খেতে হয়েছে। দেবাশিসবাবুর মাথায় ও মুখে গুরুতর ছোট লেগেছে, সময়মত অন্যান্য সহকর্মীরা গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করায় বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে তিনি বেঁচে গেছেন। এই যদি মনোনয়ন পর্বের পরিস্থিতি হয়, তাহলে নির্বাচনের দিনগুলিতে কি হবে? তাই আমরা সমস্ত রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের, যাঁরা এই ভোট প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে বাধ্য হবেন, তাঁদের সুরক্ষার দাবিতে কেন্দ্রিয়বাহিনীর দাবি জানিয়ে মাননীয় আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছি। আগামী শুক্রবার প্রধান বিচারপতির এজলাসে এই মামলার শুনানি আছে। বর্তমান শাসকদলের মদতে যেভাবে প্রশাসনকে ঠুঁটো করে রেখে চারিদিকে রাজনৈতিক সন্ত্রাস চলছে তার হাত থেকে সরকারি কর্মীদের বাঁচানোর জন্য এ ছাড়া অন্য উপায় আমাদের সামনে খোলা ছিল না। আশা করি আমাদের প্রাণ রক্ষার্থে মাননীয় আদালত আমাদের দাবিকে মান্যতা দেবেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!