এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বাড়ি-গাড়ি সহ হঠাৎ করেই চোখ ধাঁধানো ঠাঁটবাট! পুলিশের চিন্তা বাড়াচ্ছে জয়প্রকাশ!

বাড়ি-গাড়ি সহ হঠাৎ করেই চোখ ধাঁধানো ঠাঁটবাট! পুলিশের চিন্তা বাড়াচ্ছে জয়প্রকাশ!


গোটা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে এখন চর্চার চর্চিত কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন জয়প্রকাশ সরকার। না ইনি কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা নন, সাধারণের এক ব্যক্তি। আর এই সাধারণ ব্যক্তির অসাধারণ হয়ে ওঠার পেছনে প্রবল রহস্য তৈরি হয়েছে। প্রায় এক বছরের কিছু সময় আগে বোল্লা গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়পুর এলাকায় নিজের বাড়ির কাছেই একটি বড় মন্দির তৈরি করেছিলেন এই জয়প্রকাশ সরকার। মন্দির তৈরীর সময় ঘটা করে অনেক লোক নেমন্তন্ন করে খাইয়ে ছিলেন তিনি।

তবে প্রতিবেশীরা জয়প্রকাশবাবুর তৈরি সেই মন্দিরে খুব একটা প্রবেশ করতে পারতেন না। বেশিরভাগ সময় সেই মন্দির বন্ধ থাকত। কি কাজ চলত মন্দিরের ভেতরে? তা নিয়ে দীর্ঘদিনের কৌতুহল স্থানীয় বাসিন্দাদের। সম্প্রতি জয়প্রকাশ সরকারের তৈরি মন্দিরে হানা দেয় পুলিশ। সেখান থেকেই এক কেজি সোনা, মোটা নগদ টাকা সহ নানা সামগ্রী উদ্ধার হয়। আর সাধারণ একজন ছাপোষা ব্যক্তির তৈরি মন্দির থেকে রাশি রাশি শোনা এবং নগদ টাকা উদ্ধার হওয়ায় এখন তা জেলা প্রশাসনের কাছে প্রবল চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কে এই জয়প্রকাশ সরকার? জানা গেছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের পতিরামের দীর্ঘদিনের বাসিন্দা জয়প্রকাশবাবু এলাকায় তার বাবার একটি ওষুধের দোকান রয়েছে। তবে পতিরামের বাসিন্দা হলেও, তাকে এলাকার মানুষ ঠিকমত চেনেন না। আর তার মন্দির থেকেই উদ্ধার হল রাশি রাশি সোনা এবং টাকা। আশ্চর্যজনক ব্যাপার হল, গত দু’বছরে এই জয়প্রকাশ সরকারের সম্পত্তি ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। তিনতলা বাড়ি, গ্যারেজ সহ নিজের ব্যক্তিত্ব রাতারাতি বদলে ফেলেছিলেন এই জয়প্রকাশবাবু।

সম্প্রতি ভিন রাজ্যের বাসিন্দাদের অপহরণের ঘটনায় নাম জড়িয়ে পড়ে এই ব্যক্তির। আর তারপরেই গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। আর এই ঘটনার তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলার ডিএসপি ধীমান মিত্র বলেন, “ভিনরাজ্যের চারজনকে অপহরণের ঘটনায় পতিরাম থেকে মূল অভিযুক্ত জয়প্রকাশ সরকার সহ আরও 3 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে‌। তাদের পুলিশ রিমান্ডে রাখা হয়েছে। পুরো বিষয় খতিয়ে দেখে তদন্ত চলছে।” একাংশের অভিযোগ, মন্দিরের ভিতরে অনেক সমাজ বিরোধী কার্যকলাপ চলছে। যার পেছনে রয়েছে জয়প্রকাশ সরকার।

আর সেই কারণেই মন্দির ঠিকমতো খোলা হত না। নিজের সম্পত্তি এভাবেই আড়ালে-আবডালে বৃদ্ধি করেছিলেন তিনি। এদিন এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “আমি সেভাবে মন্দিরে যেতাম না। শুনেছি এই মন্দিরের কর্তৃপক্ষকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু কী কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা জানি না। জয়প্রকাশ কি কাজ করত, বাইরে কোথায় থাকত, সেটাও জানি না।” সব মিলিয়ে এখন রাতারাতি সম্পত্তি বৃদ্ধি করে নেওয়া জয়প্রকাশ সরকারের গ্রেপ্তারের পরেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!