এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > চাপে মামলায় অভিযুক্ত প্রার্থী থেকে রাজনৈতিক দল – বিজ্ঞাপন দিয়ে জানাতে হবে সবকিছুই

চাপে মামলায় অভিযুক্ত প্রার্থী থেকে রাজনৈতিক দল – বিজ্ঞাপন দিয়ে জানাতে হবে সবকিছুই

ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্তরাও বিধানসভা বা লোকসভা ভোটে প্রার্থী হতে পারবেন। তবে তার জন্য একটি শর্ত জারি করা হয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। অভিযুক্তদের তাঁদের নিজেদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার কথা বড় বড় হরফে বিজ্ঞাপন দিয়ে জনসাধারণকে জানাতে হবে। সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী ক্ষেত্রের সব জনপ্রিয় গনমাধ্যমগুলোকে এই বিজ্ঞাপনের জন্য কাজে লাগাতে হবে।

শুধু তাই নয়, যে রাজনৈতিক দলের হয়ে তিনি লড়বেন সেই দলকেও আলাদা ভাবে টিভি চ্যানেল, সংবাদপত্রগুলোতে বিজ্ঞাপনী প্রচার করতে হবে। এছাড়া নির্দেশিকায় সাফ কথায় বলা আছে, ছোট হরফে বিজ্ঞাপন দিলে চলবে না। বিজ্ঞাপনটি ছাপতে হবে ১২ পয়েন্ট বোল্ড অক্ষরে। ফৌজদারি মামলার বিবরণ সবিস্তারে আলাদাভাবে পাঠকের নজরে আনার লক্ষ্যেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। উল্লেখ্য, সাধারনত সংবাদপত্রে খবর ছাপা হয় ৯.৫ বা ১০ পয়েন্টে।

তবে একবার মাত্র নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্য বিজ্ঞাপন দিয়ে নিস্তার মিলবে না প্রার্থীর। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন থেকে ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তিনটি আলাদা আলাদা দিনে বিজ্ঞাপন দেওয়ার নির্দেশিকা রয়েছে এবং বিজ্ঞাপনের বয়ানে কী থাকবে সেটাও নির্দিষ্ট করে দিয়েছে কমিশন। এই নির্দেশিকা ইতিমধ্যেই পৌছে গিয়েছে রাজ্যগুলির নির্বাচন কমিশনের সিইওদের কাছে। পাঠানো হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছেও। দলীয় প্রার্থীদের বিরুদ্ধে থাকা ফৌজদারি মামলার বিষয়ে দলগুলোর নিজস্ব ওয়েবসাইটেও জানতে চাওয়া হয়েছে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

কোনো সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেলে নির্বাচনী বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হলে তার বিস্তারিত বিবরণ নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষের এক মাসের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে সিইওর দফতরে পাঠাতে হবে। এই নির্দেশ মানা না হলে এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও উল্লেখ রয়েছে নির্দেশিকায় এবং তথ্য পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যেই সিইওর দপ্তর থেকে ওগুলো পাঠানো হবে কমিশনের কাছে। আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরেই ছাত্তীশগড়, মধ্যপ্রদেশ, মিজোরাম, রাজস্থান এবং তেলেঙ্গনায় বিধানসভা ভোট রয়েছে। তখন থেকেই এই নির্দেশিকা কার্যকরী হওয়ার কথা রয়েছে।

তবে কেন ফৌজদারি মামলার অভিযুক্তদেবে নির্বাচনে দাঁড়ানোর সু্যোগ দেওয়া হচ্ছে? এ প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই উঠছে। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্তদের সংখ্যা প্রত্যেক বছরই ক্রমশ বাড়ছে। রাজনীতিতে দুর্বৃত্তদের লাগাম টানতেই এই নতুন ফতোয়া জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। তাছাড়া সেপ্টেম্বরের শেষের দিকেই সুপ্রিম কোর্টও এই দুর্বৃত্তায়ণ রোখায় নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশই কার্যকর করল নির্বাচন কমিশন।

প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালে লোকসভা ভোটে যাঁরা জিতেছিলেন তাঁদের ২৪% এর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা ছিল। ২০০৯ সালে সেটাই এক লাফে বেড়ে হয়েছিল ৩০% এবং ২০১৪ তে দাঁড়িয়েছিল ৩৪%। এই ক্রমবর্ধমান দুর্বৃত্তায়ণে লাগাম টানতেই ফৌজদারি মামলা সংক্রান্ত তথ্য প্রার্থীকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে এখন থেকে। একই সঙ্গে বিজ্ঞাপন দিয়ে ভোটে দাঁড়ানোর প্রচার করার বিষয়টিও যুক্ত হল। ফলে, সবমিলিয়ে নির্বাচনী বিধিনিষেধ নিয়ে যে ক্রমশ কড়া অবস্থান নিতে চলেছে নির্বাচন কমিশন তা আরও একবার স্পষ্ট হল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!