প্রশ্নপত্র ফাঁস কাণ্ডে চরম অসুবিধার মুখে শুধু বাংলার শিক্ষকরা, বড়সড় পদক্ষেপের পথে আতঙ্কিত শিক্ষকরা কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য December 26, 2018 বড়সড় ধাক্কা রাজ্যের শিক্ষকদের জন্য – পশ্চিমবঙ্গে নবনিযুক্ত ও অবশিষ্ট প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য ন্যাশনাল ইন্সটিউট অফ ওপেন স্কুলিং-এর (এনআইওএস) যে প্রশিক্ষণের পরীক্ষা (ডিএলএড) হয়েছিল – তাতে অভিযোগ ওঠে প্রশ্নফাঁসের। কিন্তু, সর্বভারতীয় পরীক্ষা হলেও, প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ার দরুন শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এনআইওএস কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, ওই পরীক্ষার ৫০৬ (আন্ডারস্ট্যান্ডিং চিলড্রেন ইন ইনক্লুসিভ কনটেক্সট) ও ৫০৭ (কমিউনিটি অ্যান্ড এলিমেন্টারি এডুকেশন) প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায়। ফলে, শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে ওই পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু, শিক্ষক মহলে প্রশ্ন উঠেছে – পরীক্ষা যেহেতু সর্বভারতীয়, সেক্ষত্রে বিশেষ একটি রাজ্যের ক্ষেত্রে কেন পরীক্ষা বাতিল হচ্ছে। প্রথমত, প্রশ্ন ফাঁসের দায় কোনোমতেই পরীক্ষার্থীদের হতে পারে না, দ্বিতীয়ত আজকের হোয়াটস্যাপ বা ফেসবুকের যুগে পৃথিবীর একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে খবর যেতে সময় লাগে কয়েক মুহূর্ত। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সেক্ষত্রে, ভারতবর্ষের বিভিন্ন কোনায় সেই ফাঁস হয়ে যাওয়া প্রশ্ন ছড়িয়ে যায় নি তার নিশ্চয়তা কোথায়? আর এই সিদ্ধান্তের ফলে একপ্রকার বাংলার শিক্ষকদেরই কি সরাসরি অপমান করা হচ্ছে না? প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৩-১৪ সালে দিল্লি থেকে সিজিএল-এর প্রশ্নপত্র ফাঁসে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে পুরো পরীক্ষা বাতিল করা হয় এবং তা সমগ্ৰ দেশের ক্ষেত্রে বলবৎ করা হয়। কিন্তু, এক্ষেত্রে কেন শুধু বাংলার শিক্ষকদের এইভাবে অসুবিধার মুখে ঠেলে দেওয়া হল – প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েই। তা, ছাড়াও প্রশ্নপত্র যখন ফাঁস হয়েছে, যার ভিত্তিতে এই বাতিলের নির্দেশিকা সামনে এসেছে – সেই নিয়ে কোন তদন্ত হয়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয়। সবমিলিয়ে, প্রশ্নপত্র ফাঁস কাণ্ডে রীতিমত অপমানিত ও আতঙ্কিত বঙ্গের নবনিযুক্ত ও অবশিষ্ট প্রাথমিক শিক্ষকরা। যা নিয়ে আগামীদিনে বৃহত্তর আন্দোলন ও আইনি ব্যবস্থার পথে যাওয়ার কথা ভাবছেন তাঁরা। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকদের সংগঠন শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের শীর্ষনেতা তথা প্রতিবাদী শিক্ষক মইদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়ে জানান, এই প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় শুধুমাত্র বাংলার শিক্ষকদের সঙ্গে যা করা হচ্ছে তা অন্যায়। এটা বাংলার শিক্ষক সমাজের কাছে চরম অপমানকর। আমরা এই ব্যাপারে রাস্তায় নেমে আন্দোলন ও আইনি ব্যবস্থায় যতদূর যেতে হয় – তার জন্য প্রস্তুত। কোনো অবস্থাতেই বাংলার শিক্ষকদের প্রতি এই অপমান ও বঞ্চনা মেনে নেব না। আপনার মতামত জানান -