এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > জাল নোটে গরু-কয়লা পাচার? NIA-এর তদন্তে মালদা-মুর্শিদাবাদে উঠে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক কান্ড

জাল নোটে গরু-কয়লা পাচার? NIA-এর তদন্তে মালদা-মুর্শিদাবাদে উঠে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক কান্ড


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কিছুদিন আগে মুম্বাই থেকে গোরু পাচারের মূল চক্রী এনামুলকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। তবে সম্প্রতি সে করোনা সংক্রামিত হওয়ায় আপাতত সে জামিন পেয়ে গৃহবন্দি রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে গৃহবন্দি থাকা অবস্থাতেই এরই মধ্যে ভিডিও কলে তিন-চারবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।

সিবিআই তরফে জানা গেছে, তার দেওয়া তথ্যের সঙ্গে কিছুক্ষেত্রে বাস্তবে মিল না পাওয়াতে এরপর তাকে সামনাসামনি জেরা করার কথা ঠিক করেছেন গোয়েন্দারা। তবে এরই মধ্যে সামনে এসেছে আরো এক এনামুলের কাহিনী। জানা গেছে তার বাড়ি মালদহ জেলায়।

তবে সে জালনোট পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিল। দীর্ঘদিন ধরে ফেরার থাকার পর চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে তাকে মালদহ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জেরা করে গোয়েন্দারা একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য জানতে পেরেছেন বলে জানা গেছে। তাঁদের কথায় শুধু গরু বা কয়লা নয়, জালনোটের একটা বড় অংশও গোরু এবং কয়লা পাচারে লেনদেন হতো।

এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি অবৈধ কারবারে এই ধরনের নোট কাজে লাগানো হতো বলে জানা গেছে। কোনো কাজে মোটা অঙ্কের টাকার বান্ডিলের সঙ্গে এই ধরনের জালনোট ঢুকিয়ে দেওয়া হত বলেও জানা গেছে। আর সেক্ষেত্রে অবৈধ কারবারিদের কাছে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এনামুল বা তার সহযোগীরা জালনোট পৌঁছে দিত বলেও জানিয়েছে সে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, সে দীর্ঘদিন ধরেই সে এভাবেই জালনোটের কারবার করে আসছে। শুধু বাংলা নয়, বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ সহ বিভিন্ন রাজ্যে সে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলেও জানা গেছে। আর তাই সম্প্রতি এরাজ্যে এতদিন যেখানে গরু ও কয়লা পাচার হত, সেখানে এর পাশাপাশি জালনোটের কারবার নিয়েও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত শুরু করেছে বলেও জানা গেছে।

এরই মধ্যে তারা এনামুল ঘনিষ্ঠ ১০জন বাংলাদেশির খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে বলে জানা গেছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, তারা এপারে এসে জালনোট পৌঁছে দিত। আর সেক্ষেত্রে মালদহ এবং মুর্শিদাবাদের বেশ কয়েকজন তাদের আশ্রয় দিত বলে জানতে পেরেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ওই বাংলাদেশিদের সঙ্গে এপারের কয়েকজনের খুব ভালো সম্পর্ক ছিল বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।

সেইসঙ্গে তাদের নামও ইতিমধ্যেই গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে বলেও জানা গেছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক আধিকারিকের কথায়, প্রয়োজনে গোয়েন্দারা বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা নেবে। সেইসঙ্গে বাংলাদেশে জালনোট কারবারিদের নামের তালিকা পাঠানো হবে বলেও জানা গেছে।

আর তাই, বাংলাদেশি পাচারকারীদের গ্রেপ্তার করতে মালদহ এবং মুর্শিদাবাদের বেশ কয়েকটি জায়গায় গোয়েন্দারা অনেক বেশি নজরদারি বাড়িয়েছেন বলেও জানা গেছে। গোয়েন্দা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এনামুলের দলে কাজ করা মহম্মদ মেহেবুব বৈয়গ, সৈয়দ ইমরান, তাজমুল শেখ, ফিরোজ শেখ ওরফে সাদ্দাম আগেই এনআইএর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল।

ইতিমধ্যে তাদের মধ্যে কয়েকজনের সাজাও ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। ২০১৮ সালে তাদের দু’জন ১০ লক্ষ ২০ হাজার টাকার জালনোট সহ গ্রেপ্তার হয়েছিল। ওই দু’জনের কাছ থেকেই এনামুল সহ বাকিদের নাম জানা গিয়েছিল। এরপরই এনামুলের খোঁজে গোয়েন্দারা তল্লাশি শুরু করেছিল বলে জানা গেছে।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!