এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপি ছেড়ে অনেক আশায় তৃণমূলে গিয়ে নিজের খাসতালুকেই কোনঠাসা হেভিওয়েট নেতা! জল্পনা শাসকদলে

বিজেপি ছেড়ে অনেক আশায় তৃণমূলে গিয়ে নিজের খাসতালুকেই কোনঠাসা হেভিওয়েট নেতা! জল্পনা শাসকদলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবার নিজের গড়েই কার্যত ব্রাত্য হয়ে থাকলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর। বঙ্গ রাজনীতিতে তিনি বর্তমানে বর্ণময় চরিত্র হিসেবে পরিচিত। কখনও কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে, আবার কখনও বা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। আবার কিছুদিন আগে বিজেপি ছেড়ে আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এসেছেন এই হুমায়ুন কবীর।

জানা গেছে, তৃণমূলে ফিরে এসেও দলের কর্মীসভায় ডাক পেলেন না এই নেতা। যার ফলে তাকে নিয়ে এবার ব্যাপক গুঞ্জন শুরু হয়েছে শাসকদলের অন্দরমহলে। সূত্রের খবর, রবিবার বিকেলে রেজিনগর বিধানসভার বুথ ভিত্তিক কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে প্রতি বুথ থেকে 6 থেকে 7 জন কর্মীকে ডাকা হয়েছিল। মূলত আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্যই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু সেখানে হুমায়ুন কবীরের আমন্ত্রিত না হওয়ার ঘটনা নিঃসন্দেহে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশ বলছেন, বারবার দল পরিবর্তনের ফলে হুমায়ুন কবীর তৃণমূলে যোগ দিলেও, তাকে অনেকেই ভালোমত মেনে নিতে পারেননি। যার ফলে দিনের কর্মীসভায় তাকে ডাকা হয়নি। কিন্তু এভাবেই যদি চলতে থাকে, তাহলে সামনের বিধানসভা নির্বাচনে এইরূপ দ্বন্দ্ব তৃণমূলকে আরও সমস্যার মুখে ফেলবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। কেন এই কর্মসূচিতে হুমায়ুন কবীরকে আমন্ত্রণ জানানো হল না? এদিন এই প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক রবিউল আলম বলেন, “এই সভায় জনাকয়েক কর্মীকে ডাকা হয়েছিল। বড় নেতাদের কাউকেই তো ডাকা হয়নি। এতে সমস্যার কি আছে।”

এদিকে রবিউল আলম নিজের লোকদের গুরুত্ব দিয়েছেন। তাই তার ডাক আসেনি বলে পাল্টা সরব হয়েছেন হুমায়ুন কবীর। জানা গেছে, এদিন হুমায়ুন কবীরকে “রথী-মহারথী কালিদাস” বলে কটাক্ষ করেছেন বেলডাঙ্গা 2 ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব। আর তার পাল্টা উত্তর দিয়েছেন হুমায়ুনবাবু। তিনি বলেন, “আমি দলের সাধারণ কর্মী হিসেবে দলে যোগ দিয়েছি। কিন্তু আমার বিধানসভা এলাকার কর্মী সম্মেলনে আমাকে বাইরে রাখা হল, এটা খারাপ।”

কিন্তু এভাবেই যদি চলতে থাকে, তাহলে সমস্যা মেটা তো দূর অস্ত, উল্টে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলই তৃণমূলকে ডুবিয়ে দেবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি আবু তাহের বলেন, “হুমায়ুন তো দলের বিভিন্ন জায়গায় সভার ডাক পাচ্ছেন। ওর নিজের এলাকায় কেন জানানো হল না, অবশ্যই খোঁজ নিয়ে দেখব।” সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!