প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত ২৭ সে ফেব্রুয়ারি নিমতায় ৮৫ বছরের বৃদ্ধা মা শোভারানী দেবীকে প্রবল মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল সদস্যদের বিরুদ্ধে। বন্দুকের বাট দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল তাঁকে। হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় নিজের মুখেই সে কথা জানিয়েছিলেন শোভারানী দেবী। এরপর আজ সকালে তাঁর মৃত্যু ঘটেছে। তাঁর মৃত্যুর পর এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিজেপি।

অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে নিমতা থানা ঘেরাও করে বিজেপি শিবির। একাধিকবার বিক্ষোভ চলছে বিজেপির। ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছেন বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী। এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, বিজেপির আইটি সেলের সর্বভারতীয় প্রধান অমিত মালব্য, বিজেপি নেতা অরবিন্দ মেনন প্রমুখ টুইট করে শোক প্রকাশ করেছেন।

তবে তৃণমূলের বরাবরের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনোভাবেই জড়িত নয়। পারিবারিক কারণে মারধর করা হয়েছিল বৃদ্ধাকে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় জানান যে, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোন সম্পর্ক নেই। বয়স জনিত কারণে তাঁর মৃত্যু ঘটেছে। সব মৃত্যুই দুঃখজনক, কিন্তু সমস্ত কিছু নিয়ে রাজনীতি করার কোন প্রশ্ন থাকে না।

শোভারানী দেবীর মৃত্যু নিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের এই মন্তব্যের পর তাঁকে তীব্র ভাষায় হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। তিনি প্রশ্ন করেছেন বিজেপির লোকেরা যদি সৌগত রায়ের মত বৃদ্ধকে এভাবে মারধর করে, তবে তিনি কি বাঁচতে পারবেন? সায়ন্তন বসু জানিয়েছেন, তিনি তাহলে বাঁচতে পারবেন না, তখন কি কেস হবে?

সায়ন্তন বসুর এই বক্তব্য সম্পর্কে তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ জানালেন যে, এ ধরনের মন্তব্য করে সায়ন্তন বসু ভেসে থাকার চেষ্টা করছেন। মারব, কাটবো বলে ছিলেন, ভেবেছিলেন ২৯৪ টির মধ্যে তার দল তাঁকে হয়তো একটি আসন দেবে। টিকিট না পেয়ে মানসিক অবসাদে আছেন সায়ন্তন বসু।