এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নির্বাচনের মুখে আবার বড়সড় দুঃসংবাদ তৃণমূলে, দল ছাড়তে চলেছেন হেভিওয়েট নেতা সহ অনেকেই

নির্বাচনের মুখে আবার বড়সড় দুঃসংবাদ তৃণমূলে, দল ছাড়তে চলেছেন হেভিওয়েট নেতা সহ অনেকেই

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই তৃনমূল শিবিরের বড়োসড়ো অসন্তোষ সামনে আসছে নিয়মিত। বিক্ষুব্ধ হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা ইতিমধ্যে যোগ দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। কিন্তু এই যোগদান থামার নয়। নতুন করে সামনে এসেছে তৃণমূল শিবিরে ভাঙনের খবর। শোনা যাচ্ছে, এবার তৃণমূলের একাধিক হেভিওয়েট নেতা দল ছাড়তে চলেছেন বিধানসভা নির্বাচনের আগে। আক্ষরিক অর্থেই তৃণমূল শিবিরকে বেশ কয়েক কদম পিছিয়ে দেবে এই ভাঙন বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, দক্ষিণ দমদম পুরসভার অন্যতম প্রশাসক প্রবীর পাল এবার দল ছাড়তে চলেছেন।

শুধু তিনি একা নন, তাঁর সাথে দক্ষিণ দমদম পুরসভার বেশ কয়েকজন তৃণমূল কাউন্সিলরও একই সাথে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে খবর। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রশাসক প্রবীর পালের কিন্তু এলাকায় বড়োসড়ো পরিচিতি রয়েছে। পাশাপাশি তাঁর মজবুত সংগঠন তৃণমূল শিবিরকে এতদিন ধরে শক্তি যোগাচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ করেই তাঁর বিজেপিতে যোগ দেবার খবর তৃণমূল শিবিরের কাছে যে বড় ধাক্কা সেকথা বলাইবাহুল্য। তবে কেন তিনি দলবদল করছেন, তা নিয়ে কিন্তু রাজনৈতিক জল্পনা তুঙ্গে। শুধু দক্ষিণ দমদম পুরসভাই নয়, তৃণমূল ছাড়ছেন রাজারহাট গোপালপুর পুরসভার বেশ কয়েকজন বিদায়ী কাউন্সিলর।

ভোটের আগেই যেভাবে বিজেপি তৃণমূল শাসিত পুরসভায় ভাঙন ধরাচ্ছে, তা কিন্তু যথেষ্ট চিন্তার। শোনা যাচ্ছে পানিহাটি পুরসভারও একাধিক কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগ দেবেন আজ। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পানিহাটিতে নির্মল ঘোষকে প্রার্থী করা হয়েছে। আর তাতেই তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিদায়ী কাউন্সিলরদের একাংশ। কাউন্সিলরদের অভিযোগ, নির্মল ঘোষের ঘনিষ্ঠরাই তৃণমূলের সমস্ত পদ দখল করে রয়েছে। সেক্ষেত্রে দলের কোনো কর্মসূচিতে ডাক পাননা বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলররা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেক্ষেত্রে দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা এবার। অন্যদিকে মালদায় তৃণমূলের ভাঙনের সুযোগে জেলা পরিষদ দখল করে নিয়েছে গেরুয়া শিবির।তবে মনে করা হচ্ছে, এ যাবৎকালে তৃণমূল শিবির সবথেকে অস্বস্তিতে পড়েছে ঘোষিত প্রার্থীর দল ছাড়ার ঘোষণায়। প্রসঙ্গত, হাবিবুরের প্রার্থী সরলা মুর্মুকে টিকিট দেওয়া হয়েছিল এবারের নির্বাচনে। কিন্তু তিনি উপযুক্ত জায়গা থেকে টিকিট না পাওয়ার অভিযোগ করে দল ছাড়েন রাতারাতি। অবশ্য রাজনৈতিক মহলে শোনা যাচ্ছে, সরলা মুর্মু প্রথম থেকেই শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ।

সেই সূত্রেই নির্বাচনের আগে তাঁর বিজেপিতে যোগদান। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে, শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ নেত্রীকে কোন সমীকরণে প্রার্থী টিকিট দেওয়া হয়েছিল? সব মিলিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই গেরুয়া শিবির কিন্তু তৃণমূলকে একের পর এক ধাক্কা দিয়ে চলেছে। কার্যত কোণঠাসা অবস্থা তৃণমূলের। পাশাপাশি একুশের বিধানসভা নির্বাচনী লড়াই জমে উঠেছে। এখন দেখার, গেরুয়া শিবিরের রাজনৈতিক ধাক্কা সামলে তৃণমূল নেত্রী রাজ্যজুড়ে ঘাস ফুল ফোটাতে পারেন কিনা!

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!