এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এক পা এগিয়েও দুই পা পিছিয়ে গেল তৃণমূল, জানুন বিস্তারিত

এক পা এগিয়েও দুই পা পিছিয়ে গেল তৃণমূল, জানুন বিস্তারিত

লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ফলাফল অত্যন্ত খারাপ হয়েছে। বিজেপির থেকে হাতেগোনা 4 টি আসন বেশি পেলেও গেরুয়া শিবিরের দখলে আসা 18 টি আসন তৃণমূলের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলতে শুরু করেছে। আর এরপরই সম্প্রতি রাজ্য বিধানসভায় উপস্থিত হয়ে বাম এবং কংগ্রেসের উদ্দেশ্যে জোট বার্তা দেন তৃনমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

যেখানে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান এবং বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর উদ্দেশ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মান্নানদা, সুজনদা আমাদের এবার একসঙ্গে আসা দরকার। সিপিএম ও কংগ্রেস আমার সঙ্গে ঝগড়া করতে পারে, কিন্তু ওরা দেশটা ভেঙে তছনছ করে দেবে আমি তা বিশ্বাস করি না। দেশের সংবিধান রক্ষা করার জন্য আমাদের একত্রিত হওয়া দরকার।” আর তৃণমূল নেত্রীর এই কথাতেই তীব্র বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এক সময় প্রবল বাম বিরোধিতার মধ্যে দিয়ে লড়াই করে আসা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে রুখতে সেই বামেদের পাশে চাওয়ায় সমালোচনার বন্যা বয়ে যায় বিভিন্ন মহলে। তবে বাম এবং কংগ্রেস অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যে গুরুত্ব দিতে নারাজ। আর এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্যকে বিকৃত করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে শাসক দল। এমনকি এই ব্যাপারে বেশ কয়েকটি সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে স্বাধীকার ভঙ্গের নোটিশ আনার কথাও জানিয়ে দেয় তারা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তৃণমূলের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী এই ধরনের কোনো বক্তব্য বিধানসভায় পেশ করেননি। তার বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী এই ধরনের বক্তব্য দিলেও কেন সংবাদপত্রগুলিতে সত্য খবর লিখলে তাদের বিরুদ্ধে স্বাধীকার বভঙ্গের নোটিশ আনা হবে, তা নিয়ে পাল্টা শাসকদলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে শুরু করে বাম এবং কংগ্রেস।

আর এবার পরিস্থিতি অত্যন্ত ঘোরালো হচ্ছে তা অনুভব করে কোনো সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে স্বাধীকার ভঙ্গের অভিযোগ দায়ের করা হবে না বলে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, শুক্রবার এই ব্যাপারে বিধানসভায় উপস্থিত হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা সংবাদমাধ্যমের কাজে হস্তক্ষেপ করি না। তবে বিধানসভার নথি নিয়ে কারও ছেলেখেলা করা যায় না। সংবাদমাধ্যম হাজারবার সমালোচনা করুক, কিন্তু প্রকৃত ঘটনা বলুক।”

এদিকে মুখ্যমন্ত্রী সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের নোটিশ তুলে নেওয়ার কথা জানালে বিরোধীদের একাংশ বলছেন, আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাম এবং কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করার কথা বলেছিলেন। আর সংবাদপত্র তথ্য বিকৃত করেছে বলে অভিযোগ তুলে তাদেরই বিপাকে পড়তে হত। তাই সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের নোটিশ আনতে পারল না তৃণমূল। সব মিলিয়ে প্রথমে সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে স্বাধীকারভঙ্গের নোটিশ আনার কথা জানালেও এবার তা থেকে পিছিয়ে গেল শাসকদল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!