এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > নির্বাচনী করোনা বিধি ভাঙলে কারাবাস অথবা জরিমানা, কড়া নির্দেশ কমিশনের!

নির্বাচনী করোনা বিধি ভাঙলে কারাবাস অথবা জরিমানা, কড়া নির্দেশ কমিশনের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নির্বাচনের প্রচার যখন চরমে, ঠিক তখনই করোনা ভাইরাস ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে গোটা বাংলায়। এমনিতেই ভারতবর্ষে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় কেউ প্রবেশ করার কারণে তা স্বাভাবিক নিয়মে বাংলাতেও প্রবেশ করেছে। তবে কমিশনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, যাতে সকলে সচেতনতা পালন করেন। কিন্তু তার পরেও বিন্দুমাত্র সচেতনতা রক্ষা করতে দেখা যায়নি।

পরবর্তীতে হাইকোর্টকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। এক্ষেত্রে কেন কমিশন শুধুমাত্র সার্কুলার দিয়ে ক্ষান্ত থাকছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে হাইকোর্ট। আর এই পরিস্থিতিতে কমিশনের পক্ষ থেকে রোড শো এবং মিছিল বন্ধ করার পর নির্বাচনে যাতে করোনা বিধি মেনে সকলে কাজ করেন, তার জন্য কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা শোনা গেল। যেখানে নির্বাচনে অতিমারি আইন মেনে না চললে কারাবাস এবং মোটা অঙ্কের জরিমানা করা হবে বলে জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন।

সূত্রের খবর, শুক্রবার ভিডিও কনফারেন্সে সপ্তম এবং অষ্টম দফায় যে সমস্ত জেলায় নির্বাচন রয়েছে, সেই জেলা প্রশাসনের সঙ্গে একটি বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন। আর সেখানেই স্পষ্টভাবেই ব্যাপারে কড়া বার্তা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, জেলা প্রশাসনকে অতিমারি আইনের 51 থেকে 60 নম্বর ধারা এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির 188 ধারা চূড়ান্তভাবে কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এই আইন যদি কেউ লঙ্ঘন করে, তাহলে কারাবাস এবং মোটা অঙ্কের জরিমানা হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

অর্থাৎ এতদিন নির্বাচনী প্রচার অবাধভাবে চলার কারণে করোনা ভাইরাস ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার এই ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টের ভৎসনার মুখে পড়তে হয় নির্বাচন কমিশনকে। আর তারপরই মুখ বাঁচাতে শুক্রবার বিকেলে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে এই ব্যাপারে কড়া নির্দেশিকা পাঠিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ কমিশনের এই নির্দেশের মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট যে, কোনোভাবেই করোনা ভাইরাসকে হালকাভাবে নিয়ে প্রচার প্রক্রিয়ায় শামিল হওয়া যাবে না।

এদিন এই প্রসঙ্গে কমিশনের এক কর্তা বলেন, “করোনা বিধি না মানলে সেই প্রার্থীর বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন যেন অবশ্যই এফআইআর করে। সেই রিপোর্ট পাঠাতে হবে কমিশনের অফিসে।” অর্থাৎ এখন থেকে আর কোনোভাবেই গা ঢিলেমি করে পরিস্থিতিকে হালকাভাবে নিতে চাইছে না কমিশন। কেননা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে ভর্ৎসনা হওয়ার পর কমিশন অনেকটাই চাপে রয়েছে।

তাই হাইকোর্ট যখন জানিয়ে দিয়েছে, কেন কমিশন শুধুমাত্র সার্কুলার জারি করে বসে রয়েছে, তখন রীতিমত কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের বার্তা দিয়ে পরবর্তী দফাগুলিতেও যাতে করোনা বিধি না মেনে প্রচার করে প্রতিটি রাজনৈতিক দল, সেই ব্যাপারে কড়া বার্তা দিয়ে দেওয়া হল। এক্ষেত্রে প্রার্থীদেরকেও যে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না, তা নিজেদের এই বার্তা র মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন।

অনেকে রসিকতা করে বলছেন, সোজা আঙ্গুলে ঘি না উঠলে আঙ্গুল বাঁকাতে হয়। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন এই পদ্ধতি পালন করল। কিন্তু অতীতে যে সমস্ত দফাগুলোতে নির্বাচন হয়ে গিয়েছে, যদি একটু আগে থেকে এই কড়া নিয়ম পালন করতে উদ্যত হত নির্বাচন কমিশন, তাহলে হয়ত বা করোনা ভাইরাস এতটা ভয়াবহ আকার ধারণ করত না। তবে “শেষ ভালো যার, সব ভালো তার” এখন দুই দফার নির্বাচন বাকি থাকার আগে কমিশনের এই কড়া পদক্ষেপ সকল রাজনৈতিক দলকে অতিমারি আইন ভাঙানোর রাস্তায় হাঁটা থেকে অনেকটাই দূরে সরিয়ে রাখবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!