এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > এনআরসি আর সিএএ নিয়ে বড়সড় মন্তব্য কৈলাশের, কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে সবুজ সংকেত পেয়েই এমন ঘোষণা?

এনআরসি আর সিএএ নিয়ে বড়সড় মন্তব্য কৈলাশের, কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে সবুজ সংকেত পেয়েই এমন ঘোষণা?


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলায় সরকার গড়তে নাগরিকত্ব বিল নিয়ে এবার বড়োসড়ো পদক্ষেপ নিতে বিজেপি যে আর দেরি করবে না সে কথাই মনে করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। বস্তুত, নাগরিকত্ব বিল হয়ে গেলেও এখনও যে তা কার্যকর হয়নি, সেটা প্রায় সকলেই জানেন। আর যা নিয়ে বিজেপির অন্দরে যে অনেকেই অসন্তুষ্ট সেকথাও জানেন অনেকেই।

বিশেষ করে সীমান্তবর্তী জেলাগুলির বিজেপি নেতারা এ নিয়ে দলের অন্দরে একাধিকবার কথা বলেছেন বলেও জানা গেছে। শুধু তাই নয়, অন্যদিকে হিন্দু উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়া যে বাংলায় বিজেপির ভোট প্রচারের অন্যতম বড় হাতিয়ার, সে কথা আলাদা করে বলে দিতে হয় না। তাই সেই সম্ভাবনাকে সত্যি করেই কৈলাশ বিজয়বর্গিয় জানিয়েছেন যে জানুয়ারির শেষে রাজ্যে লাগু হবে সিএএ বা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন।

তবে সেখানে চমক শেষ হয়নি এখনও। কারণ এদিন তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে সিএএ চালু হলেও বিজেপি এখনই এনআরসি চালু করতে চাইছে না। শনিবার একথা জানান, রাজ্যের বিজেপি পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। আর সেখানেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পেয়েই তিনি এমন ঘোষণা করেছেন।

আপনার মতামত জানান -

এদিন ঠাকুরনগরে গিয়ে মতুয়া সংঘের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরও ছিলেন বলে জানা যায়। তবে সেখানে তাঁর এই ঘোষণা রাজ্য রাজনীতিতে যে অসম্ভব তাত্‍পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, বিজেপি অসমে এনআরসি বলবত্‍ হওয়ার ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েই নির্বাচনের আগে এরকম একটা সময়ে পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি চালু করতে চাইছে না।

বস্তুত, দেখতে গেলে অসমে এনআরসি’র যে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয় তাতে দেখা যায় মুসলিমদের তুলনায় ১৩ লক্ষ হিন্দুদের নাম বাদ গিয়েছে। অথচ বিজেপি অসমে প্রচার করার সময় বলেছিল যে এনআরসি তালিকা থেকে একজন হিন্দুর নামও বাদ যাবে না। সেখানে এই ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই বিরোধীরা অভিযোগ করেছিল যে, বিজেপি বিশেষ একটি ধর্মের স্বার্থে এমন কথা বলতে পারে না।

এই বিষয়টি শেষ হতে না হতেই এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর দেখা যায়, উল্টে হিন্দুরাই বাদ পড়েছে তালিকা থেকে। সেখানে হিন্দুরাই বিজেপির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়। সেখানে যে নেতার হাত ধরে অসমসহ উত্তর-পূর্ব ভারতে বিজেপি নিজের প্রভাব ফেলেছিল, সেই হেমন্ত বিশ্ব শর্মাও এনআরসির বিরোধিতা করেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপরই সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেছিলেন যে পশ্চিমবঙ্গেও এনআরসি চালু হবে। যদিও পরে বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অন্য কথা বলেন। তাই পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি লাগু করার বিষয়টি নিয়ে একটা ধোঁয়াশা থেকেই যায়। তবে সম্প্রতি কৈলাশ বিজয়বর্গিয়ের কথায় নতুন দিশা পাওয়া গেছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

তবে এক্ষেত্রেও তাঁরা মনে করছেন, বিজেপি মনে করছে সিএএ চালু হলে তা নিয়ে সম্ভবত কারও আপত্তি থাকবে না। কারণ এই আইনে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তাঁদের মতে, বিজেপি এটা বেশ ভালমতই বুঝতে পেরেছে যে, এনআরসি চালু হলে তাদের হিন্দু এবং মুসলমান দুই সম্প্রদায়ের ভোটই হারাতে হবে।

যেটা নিয়ে গতবছর রাজ্যে হয়ে যাওয়া তিনটি বিধানসভা উপনির্বাচনেই প্রমাণ পেয়েছিলেন তাঁরা। সেখানে তিনটিতেই বিজেপিকে হার স্বীকার করতে হয়েছিল। তাই পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার বিধানসভা নির্বাচনের আগে আর ভুল চাল দিতে যে তারা রাজি নয়, তেমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!