এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > গাড়ি গাড়ি চালডাল পঞ্চায়েতে এলেও পাচ্ছেন না গ্রামবাসীরা! বিদ্রোহী ৫ গ্রাম! খোদ বাংলার বুকে!

গাড়ি গাড়ি চালডাল পঞ্চায়েতে এলেও পাচ্ছেন না গ্রামবাসীরা! বিদ্রোহী ৫ গ্রাম! খোদ বাংলার বুকে!

করোনা ভাইরাসকে আটকাতে এখন গোটা দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। আর এই লকডাউনের সময় দিন আনা দিন খাওয়া মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। কর্মক্ষেত্রে না যাওয়ায় তাদের সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে সেই সমস্ত দিন আনা দিন খাওয়া মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলা হলেও, সাহায্য না পাওয়ার অভিযোগে প্রবল বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। একেই রোজগার নেই।

তারওপর পাচ্ছেন না সরকারী সাহায্য। যার ফলে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষদের এখন শাকপাতা খেয়েই পেট ভরাতে হচ্ছে। আর এবার আর্থিক সাহায্য না পেয়ে রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে, গাছ ফেলে বিক্ষোভ দেখালেন মথুরাপুর ওয়ান ব্লকের পাঁচটি গ্রামের বাসিন্দারা।

সূত্রের খবর, বুধবার সরকারি অনুদান না পেয়ে কালীতলার মস্তানমোড়ে বিক্ষোভ দেখানো হয় পাঁচটি গ্রামের বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে। যেখানে তাদের মূল অভিযোগ, সরকারের পক্ষ থেকে এই করোনা মোকাবিলার সময় বিন্দুমাত্র সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে না। যার ফলে কোনোরকমে দিন কাটাতে হচ্ছে তাদের। জানা যায়, এদিনের বিক্ষোভে মথুরাপুরের রাধাকান্তপুর, পানাপুকুর, কালীতলা, শম্ভুচন্দ্রপুর এবং সুদীরঘাট গ্রামের বাসিন্দারা অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে তো নানা জায়গায় সাহায্য করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে তারা কেন এই সাহায্য থেকে বঞ্চিত?

এদিন এই প্রসঙ্গে গ্রামবাসী ফিরোজা বিবি বলেন, “গাড়ি গাড়ি চালডাল পঞ্চায়েত অফিসে আসছে। কিন্তু আমাদের কিছুই দেওয়া হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে পুকুরপাড় থেকে শাকপাতা তুলে তা সেদ্ধ করে কোনোরকমে একবেলা খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে। ঝড়ে ঘরের চাল উড়ে গিয়েছে। ত্রিপল চাইলেও দিচ্ছে না পঞ্চায়েত।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে এই ব্যাপারে আর এক গ্রামবাসী জানে আলম জমাদার বলেন, “বাজারে কোনো কাজ নেই। আমরা খেতে পাচ্ছি না। পঞ্চায়েত অফিসে গেলে আমাদের পাত্তাই দেওয়া হয় না। যাদের প্রয়োজন নেই, তারাই সরকারি সাহায্য পাচ্ছেন। প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি, দুবেলা-দুমুঠো খাবার ব্যবস্থা করা হোক।” কিন্তু কেন এমনটা হচ্ছে? যেখানে সরকারের পক্ষ থেকে দীন দুঃখিদের সাহায্য করার জন্য সাহায্য আসছে, সেখানে কেন সেই গরীব মানুষেরা সাহায্য পাচ্ছেন না?

এদিন এই ব্যাপারে মথুরাপুর এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শকুন্তলা হালদারকে ফোন করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন। তবে শাসক দল হিসেবে এটা কি তৃণমূলের দেখবার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না? যেখানে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলকে খাবার দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছেন, সেখানে কেন এভাবে গ্রামবাসীরা শাকপাতা খেয়ে দিন কাটাবেন?

তৃণমূলের অবশ্য বক্তব্য যে, এই আন্দোলনের পেছনে বিরোধী রাজনৈতিক দলের হাত রয়েছে। তবে শাসক দল বা বিরোধীদলের পক্ষ থেকে যে দাবিই করা হোক না কেন, সাধারণ গরিব মানুষেরা চাইছেন, দুবেলা ভাত। বস্তা বস্তা চাল, ডাল তাদের চোখের সামনে দিয়ে পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকলেও, কেন সেটা তাদের হাঁড়িতে আসছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে যে বিক্ষোভ 5 গ্রামের বাসিন্দারা দেখালেন, তাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আদৌ কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয় কিনা, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!