এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > শিক্ষক নিয়োগের ওয়েটিং লিস্টে মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ের নাম ঘিরে তোলপাড় রাজনৈতিকমহল

শিক্ষক নিয়োগের ওয়েটিং লিস্টে মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ের নাম ঘিরে তোলপাড় রাজনৈতিকমহল


গতকাল স্কুল সার্ভিস কমিশনের রাষ্ট্রবিজ্ঞানে শিক্ষক নিয়োগের ওয়েটিং লিস্টে একেবারে সবার উপরে দেখা যায় অঙ্কিতা অধিকারী বলে একটি নাম। আর এই নিয়েই তোলপাড় হয়ে যায় রাজনৈতিকমহল থেকে শিক্ষামহল। খোঁজ শুরু হয়ে যায় যে কে এই অঙ্কিতা অধিকারী?

শেষে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে যায় পুরো ব্যাপারটি। আর সেখান থেকেই পাওয়া যায় যে অন্য কেউ নন – এই অঙ্কিতা অধিকারী আসলে প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে। যিনি সদ্য ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। সাথে সাথেই নানা ক্যাপশন এ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় ব্যাপারটি।

অভিযোগ ওঠে যে মেয়েকে চাকরি করে দেওয়ার জন্যই পরেশবাবু শাসকদলে যোগ দিয়েছেন। ফরওয়ার্ড ব্লকের কোচবিহার জেলা সভাপতি দীপক সরকার তীব্র আক্রমণ শানালেন পরেশবাবুকে। বাক্যবানে বিদ্ধ করে জানালেন, এক্ষেত্রে তো বোঝাই যাচ্ছে ওনার নৈতিক অধঃপতন হয়েছে। উন্নয়ন, আদর্শ কিছুই নয় – নিজের ছেলে-মেয়ের চাকরির সুবিধার জন্য দল ছাড়লেন উনি।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

পাশাপাশি এই নিয়ে উচ্চস্তরের তদন্তের দাবি করলেন। তিনি বললেন যে এই বিষয়টি নিয়ে অনেক জায়গায় আলোচনা হচ্ছে – এটি খুবই চিন্তার বিষয়। এরকম বেশ কয়েকটি বিষয়ে তো ইতিমধ্যেই হাইকোর্টগুলিতে অনেকগুলি মামলা হয়েছে। আমার মনে হয় উচ্চস্তরে এই নিয়েও তদন্ত হওয়া দরকার। হাইকোর্টের সিটিং জজকে দিয়ে এর তদন্ত করানো উচিত।

যদিও দীপকবাবুর এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে পরেশবাবু নিজে জানিয়েছেন, আমি জানি আমার মেয়ে অনেকদিন আগে পরীক্ষা দিয়েছিলো আর রেজাল্টও বেড়িয়েছে। যদিও আমি বিষয়টি জানতাম না সাংবাদিকদের মাধ্যমেই জানলাম। কিন্তু এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা যে আমি নিজের ছেলে-মেয়ের চাকরির সুবিধার জন্য দল ছেড়েছি।

সদ্য ফরোয়ার্ড ব্লক ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেওয়া দাপুটে নেতা আরো জানালেন যে, ‘ওরা কি বলল তার উত্তর দেওয়ার মানসিকতা আমার নেই। কারণ এরকম নীচ রাজনীতি আমি করি না’। যদিও এই নিয়ে এখনো স্কুল শিক্ষা দফতর থেকে কিছু জানানো হয়নি। কিন্তু জলঘোলা যে ভালোই হচ্ছে তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!