এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > পরিকল্পনা তৈরি, এবার ‘দিল্লি চলো’, মহাজোট গঠনে বিরোধীদের তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

পরিকল্পনা তৈরি, এবার ‘দিল্লি চলো’, মহাজোট গঠনে বিরোধীদের তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্পূর্ণ পরিকল্পনামাফিক এবার দেশজয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে তৃণমূল। বিজেপির মতো সর্বভারতীয় দলকে পরাস্ত করতে গেলে, মহাজোট বাঁধা যে আবশ্যিক, তা বুঝতে পেরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই বিজেপি বিরোধী সমস্ত দলগুলিকে এক ছাতার তলে শামিল হতে একুশে জুলাই এর মঞ্চ থেকে আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। এবার সেই উদ্দেশ্যে আগামীকাল দিল্লি যাত্রা করতে চলেছেন তিনি। সমস্ত বিজেপি বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছেন তিনি দিল্লিতে।

প্রসঙ্গত একুশে জুলাই এর মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে, লোকসভা ভোটের পূর্বে এখনই বিজেপি বিরোধী জোট গড়ে তোলা প্রয়োজন। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর দিল্লি যাওয়ার সময় যদি কোন বিরোধী নেতা তাঁকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানান, তাহলে তিনি বৈঠকে যাবেন। তবে, এখনো পর্যন্ত সেভাবে কোনো বিরোধী দলের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানাতে দেখা যায়নি তাঁকে। তাই এবার বসে না থেকে নিজেই বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মহাজোট গঠনের কাজ নিজেই শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ২০১৯ এর লোকসভা ভোটের পূর্বে জোট গঠনের চেষ্টা করেও ব্যর্থতা, মুখ্যমন্ত্রীর অভিজ্ঞতা বাড়িয়েছে, আর এবার মুখ্যমন্ত্রীর পাশে রয়েছেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। যে কারণে তাঁর আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেশি। তৃনমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, নির্বিঘ্নে বিরোধীদের জোট গঠন করা হোক। যে রাজ্যে বিজেপি বিরোধী কোন দল শক্তিশালী আছে, সে রাজ্যে সেই দলকেই সমর্থন জানানো হোক। সে রাজ্যে যে দল বেশি শক্তিশালী, সেই দলকেই প্রার্থী করা হোক। আর কোন দল সেখানে প্রার্থী না দিলেও চলবে।

জানা গেছে, আগামী বুধবার বিকেলে সমস্ত বিরোধী নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর সঙ্গে সঙ্গেই সাম্প্রতিক বেশ কিছু কিছু নিয়ে তীব্রভাবে সরব হয়ে উঠেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। যার মধ্যে অন্যতম হলো পেগাসাস। এই স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে বহু সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, সমাজকর্মী ও ব্যবসায়ীদের ফোনে নজরদারি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশান্ত কিশোরের ফোনে পর্যন্ত নজরদারি করা হয়েছে। আর এই বিষয় নিয়ে প্রবল সরব হয়ে উঠেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুতে বিজেপিকে একেবারে কোণঠাসা করে দেবার পরিকল্পনা করেছেন তিনি।

তবে, তাঁর এই প্রচেষ্টা সম্পর্কে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন যে, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের পূর্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন, ব্রিগেডে সভা করেছিলেন। কিন্তু কিছুই তিনি করতে পারেননি। জোট হয়নি, জেতাও সম্ভব হয়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিরোধীরা নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে, তা দেখা যাচ্ছে। আর তৃণমূলে এখনতো খুনোখুনি শুরু হয়ে গেছে। সন্দেহ হচ্ছে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে তৃণমূল লড়াই করতে পারবে কিনা?

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!