এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > রথের চাকা থমকে যেতেই রুটি-রুজি হারানোর ভয়ে প্রাণ কাঁপছে হাজার হাজার মানুষের

রথের চাকা থমকে যেতেই রুটি-রুজি হারানোর ভয়ে প্রাণ কাঁপছে হাজার হাজার মানুষের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা ভাইরাসের কারণে এমনিতেই অর্থনৈতিক সংকট চলছে। আর এবার এই করোনা ভাইরাসে সামাজিক দূরত্বকে মান্যতা দিয়ে এবছর বন্ধ স্থগিত হতে চলেছে পুরীর ঐতিহ্যমন্ডিত রথযাত্রা। ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে সেই রথযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে ইসকন মন্দিরের পক্ষ থেকে ভিড় এড়াতে এবার যে তারা রথযাত্রা করছে না, তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

আর রথযাত্রা এবার না হওয়ায় রীতিমত রথের কারিগরদের মধ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। একে লকডাউনের কারণে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। তার মধ্যে এবার রথের মেলায় বরাত না মেলায় ভবিষ্যৎ দিন অত্যন্ত করুণ হতে চলেছে বলে আশঙ্কা করছেন সেই সমস্ত কারিগরেরা। জানা গেছে এই রথের কারিগরদের মধ্যে অনেকেই প্রতিবার এই সময়ে রথ বানিয়ে বাড়তি উপার্জনের জন্য নিজের সহধর্মিনীদের এই কাজে লাগিয়ে দেন।

এদিন এই প্রসঙ্গে এক রথ কারিগর বলেন, “রথের বিক্রির উপরে ভরসা ছিল। অন্যবার অন্তত 1,000 রথ তৈরির বায়না থাকে। এবার মোট 200 টি এসেছে। পাইকারি দরে একতলা রথের দাম 60 টাকা এবং দোতালার দাম 80 এবং তিনতালার দাম 110 টাকা। এবার বাজারে রথের অত চাহিদা নেই।” এদিকে রথ বড়াত পাওয়ার আশায় অনেকদিন আগেই কয়েক লক্ষ টাকার কাঁচামাল কিনে ফেলেছেন অনেক বিক্রেআ। কিন্তু এবার ঐতিহ্যমন্ডিত ইসকনের রথ ও পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের মাথায় হাত পড়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে এক ব্যবসায়ী বলেন, “রাতে ঘুম হয় না। এত টাকার কাঁচামাল নিয়ে কি করব! অন্যবার 16,000 রথ তৈরীর বরাত আসে। এবার মাত্র 4,000 পেয়েছি। সব দিক থেকেই আমাদের মেরে ফেলল।” তবে শুধু রথ বিক্রেতা নয়, রথের মেলায় বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে বসা ব্যবসায়ীরাও এখন আশঙ্কার মেঘ দেখতে শুরু করেছেন। বছরের নির্দিষ্ট কিছু মেলায় তারা বাড়তি কিছু রোজগার করেন। একেই লকডাউনের কারণে প্রবল সমস্যায় রয়েছেন সাধারণ মানুষ।

তার মধ্যে নুন আনতে পান্তা ফুরোনো সেই সমস্ত ব্যবসায়ীরাও আশায় ছিলেন যে এবার রথের সময় তারা বাড়তি কিছু রোজগার করে পরিবারের মুখে হাসি ফোটাবেন। কিন্তু করোনা ভাইরাস তাদের সমস্ত কিছু কেড়ে নিচ্ছে। রথের মেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেই মেলায় বসা বিভিন্ন দোকানীরা এখন প্রবল চিন্তায় পড়েছেন। রথের মেলা এই বছর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রুটি-রুজি নিয়ে তাদের কপালে দেখা দিচ্ছে শঙ্কার ভাজ। সকলে বলছেন, করোনা ভাইরাস সত্যিই বিপদজনক।

কিন্তু সকলকে তো বেঁচে থাকতে হবে। আর বেঁচে থাকলে তো পরিবারের মুখে অন্নের যোগান দিতে হবে। সেদিক থেকে যদি ব্যবসা-বাণিজ্য না থাকে, তাহলে কি করে দিন গুজরান হবে! মেলায় সামান্য দোকান দিয়ে এই সমস্ত মানুষরা বাড়তি রোজগার করেন, বছরের নির্দিষ্ট কটা মেলার মধ্যে অন্যতম রথের মেলা। কিন্তু সেখানেও এবার কোপ পড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন সকলে। ফলে, করোনা আবহে রথের চাকা স্তব্ধ হতেই – একদিকে যেমন ভক্তদের চোখে জল, অন্যদিকে মাথায় হাত এই সময়ে কিছু করে খাওয়া হাজার হাজার সাধারণ মানুষেরও।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!