এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তৃণমূলে ক্রমশ ফিরছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে কড়া শাস্তির মুখে একাধিক প্রভাবশালী?

তৃণমূলে ক্রমশ ফিরছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে কড়া শাস্তির মুখে একাধিক প্রভাবশালী?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলের সবথেকে বড় বিড়ম্বনার কারণ তাদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বারবার বার্তা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও নেতারা কোনমতেই দ্বন্দ্ব থেকে সরে আসছেন না। বিরোধীদলের সাথে রাজনৈতিক লড়াই করা যেখানে প্রধান লক্ষ্য রাখা উচিত, সেখানে বিরোধীদের মোকাবিলা করা অপেক্ষা নিজের দলের নেতাদের সঙ্গেই দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ছেন তৃণমূল নেতারা। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় বিরোধীরা নতুন করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অস্ত্র পেয়ে যাচ্ছে যা ভোট রাজনীতির ক্ষেত্রে কাজে লাগাচ্ছে তারা। যার ফলে আখেরে ক্ষতি হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের।

বহুবার এই কথা বিভিন্ন জেলা নেতৃত্বকে বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে। আর জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে নিচুতলার কর্মীদের সেকথা পৌঁছে দেওয়া হলেও কাজ হয়নি। তবে এবার সামনে বিধানসভা নির্বাচনের আগেই দলের গোষ্ঠী কোন্দল থামাতে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে মালদহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। এবার আর নির্দেশ দেওয়া নয়, দলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এলেই তাকে শোকজ বা সাসপেন্ড করে দেওয়া হবে বলে জেলার পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি মালদহ জেলায় রতুয়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসে। আগামী দিনে বিধানসভা নির্বাচনে এখানে বর্তমান বিধায়ককে যাতে না দাঁড় করানো হয়, তার ব্যাপারে সাংবাদিক বৈঠক থেকে মুখ খোলেন রতুয়া 1 ব্লকের প্রাক্তন সাংগঠনিক সভাপতি ফজলুল হক। যাকে নিয়ে চরম বিতর্ক ছড়ায়।

একইভাবে মালদহের বৈষ্ণবনগর বিধানসভা কেন্দ্রেও আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আর এখন থেকেই প্রার্থীর ব্যাপারে দলের নেতাকর্মীরা উত্তেজক মন্তব্য প্রেরণ করায় গোষ্ঠী কোন্দল বাড়বে বলেই আশঙ্কা করেছে শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এবারে বিদ্রোহী নেতাদের মুখে লাগাম টানতে জেলা নেতৃত্বকে কড়া পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী তথা সাংসদ মৌসম বেনজির নূর বলেন, “সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ব্লক থেকে দলের একাংশের বিভিন্ন কার্যকলাপ আমাদের নজরে এসেছে. এমন কিছু বক্তব্য রাখা হয়েছে বা আচরণ করা হয়েছে, যা আমাদের দলের নেতৃত্ব অনুমোদন করে না বলে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ অনুযায়ী সেই সমস্ত নেতা-নেত্রীদের মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে।

রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আমাদের কাছে প্রতিটি বিষয় নিয়ে পৃথক রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন। সেই রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে। দ্রুত রাজ্য নেতৃত্বকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তৃণমূলে কে প্রার্থী হবেন, তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করবেন। এই বিষয়ে কারো কোনো মন্তব্য করার এক্তিয়ার নেই। যারা দলবিরোধী কাজ করবে, প্রয়োজনে নির্দেশ অনুযায়ী তাকে‌ শোকজ, সাসপেন্ড বা বহিষ্কারের মত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জেলা নেতৃত্বের এই সতর্কবার্তার পরে যদি বিদ্রোহী নেতাদের কিছুটা হলেও হুঁশ ফেরে, তাহলে তা অত্যন্ত মঙ্গলদায়ক। কিন্তু যদি আবার আগের মত নেতারা নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বকে অব্যাহত রাখেন, তাহলে শত সতর্কবার্তা সত্ত্বেও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মিটবে না বলেই দাবি করছে সমালোচক মহল। জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে বিদ্রোহী নেতাদের মুখে লাগাম টানতে এবং গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করতে কড়া বার্তা দেওয়া হলেও, মালদহে তৃণমূল ঐক্যবদ্ধ হতে পারে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!