এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > পিএফের টাকা খাটানো নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্তের পথে কেন্দ্র সরকার, বাড়ছে জল্পনা

পিএফের টাকা খাটানো নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্তের পথে কেন্দ্র সরকার, বাড়ছে জল্পনা

কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ডে (ইপিএফ) গচ্ছিত টাকা যাতে আরো বেশি সময় ধরে শেয়ার মার্কেটে খাটানো যায়, তার জন্য নয়া উদ্যোগ নিতে দেখা গেল কেন্দ্রীয় সরকারকে। এতোদিন ধরে সবথেকে বেশি তিন বছরের স্কিমের মেয়াদে টাকা বিনিয়োগ করা হত ‘এক্সচেঞ্জ ট্রেডড ফান্ড’ (ইটিএফ)-এ – সেটারই মেয়াদ বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের আওতাধীন কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠন (ইপিএফও) পাঁচ থেকে দশ বছর করার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

নির্দিষ্ট স্কিমে টাকা বিনিয়োগের মেয়াদ বৃদ্ধি হলে স্বাভাবিকভাবেই ইপিএফও অনেক বেশি রিটার্ন পাবে। যার ফলে লাভবান হবে কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ডের আওতায় থাকা প্রায় ছ’কোটি গ্রাহক – এমনটাই জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের পক্ষ থেকে। যুক্তি, রিটার্ণ বেশি পেলে স্বাভাবিকভাবেই ইপিএফে সুদের হার বৃদ্ধির পাশাপাশি ইপিএফের অন্তর্ভুক্ত পেনশন-প্রাপকদের ন্যূনতম মাসিক পেনশনের পরিমাণও বাড়বে। যদিও এভাবে জমা টাকা দীর্ঘমেয়াদি স্কিমে লগ্নির ফলে ইপিএফ গ্রাহকদের টাকা তোলার সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে কি না, সেটা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।

তবে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক থেকে গ্রাহকদের আশ্বস্ত করে জানানো হয়েছে আশঙ্কার কোনওরকম কারণ নেই। তাই অকারণ চিন্তা না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে প্রশ্ন হল সত্যিই কি ইটিএফে বিনিয়োগের উপর ভিত্তি করে ইপিএফের সুদের হার বৃদ্ধি পাবে? পরিসংখ্যান বলছে,উল্লেখ্য, গত পাঁচ বছরের মধ্যে ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে ইপিএফে সুদের হার সর্বনিম্ন ৮.৫৫ % করেছে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক। এর পাশাপাশি, ৩ বছর ধরে এই হার ক্রমশ কমানো হয়েছে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

২০১৫-’১৬ সালে এর হার ছিল ৮.৮ % ২০১৬-’১৭ সালে তা কমে দাঁড়ায় ৮.৬৫ %-এ এবং ২০১৭-’১৮ আর্থিক বছরেও ইপিএফে সুদের হার আরও কমিয়ে দিয়ে ৮.৫৫ শতাংশ করেছে কেন্দ্র। অন্যদিকে, সংশ্লিষ্ট আর্থিক বছরেই ইটিএফ থেকে ১৬% অর্থাৎ প্রায় ১ হাজার ৫৪ কোটি টাকা অর্থ রিটার্ন পেয়েছে ইপিএফও। জানা গিয়েছে, বর্তমানে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা ইটিএফে বিনিয়োগ করে রেখেছে ইপিএফও।

ইপিএফও’র পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, কেন্দ্র এটিএফ ফান্ডে টাকা বিনিয়োগ করা শুরু করেছিল ২০১৫ সাল থেকে। সর্বাধিক তিন বছরের মেয়াদেরই টাকা লগ্নি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেরকমই চলছে এখন। তবে সম্প্রতি বিনিয়োগ সংক্রান্ত একটি বৈঠকে বসে কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ডের এক বিশেষজ্ঞ দল ‘ফিনান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কমিটি’ (এফআইসি) এবং তাতেই ইপিএফওকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, আরো বেশি রিটার্নের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দীর্ঘকালীন মেয়াদের টাকা বিনিয়োগ করতে, এর ফলে গ্রাহকদেরও স্বার্থরক্ষা হবে।

এ প্রসঙ্গে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইপিএফও’র কর্মকর্তা জানান, গ্রাহকদের প্রাপ্যের বেশি টাকা কোনোভাবেই তাঁদের দেওয়া যাবে না। কিন্তু ইটিএফ থেকে বেশি রিটার্ন পেলে সেই অতিরিক্ত টাকা গ্রাহকদের দেওয়া যাবে। এটা করলে ইটিএফের সুদের হার যেমন বৃদ্ধি পাবে, তেমনি মাসিক ন্যূনতম পেনশন বাড়ানোর সম্ভাবনাটাও থেকে যাচ্ছে। এর ফলে আখেরে লাভ গ্রাহকদেরই হবে। তবুও সুদের হার না বাড়ানোর ফলে কেন্দ্রের উপর পুরোপুরি ভরসা করতে পারছে না ইপিএফ গ্রাহকরা। এ নিয়ে কর্মচারীদের মধ্যে তীব্র চর্চা শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!