এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > নিয়ম না মানায় গেছে পদ, তবুও বজায় সরকারি সুবিধা থেকে ঠাটবাট! প্রশ্ন উঠছে তৃণমূলের অন্দরেই!

নিয়ম না মানায় গেছে পদ, তবুও বজায় সরকারি সুবিধা থেকে ঠাটবাট! প্রশ্ন উঠছে তৃণমূলের অন্দরেই!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পদে নেই। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিরাপত্তারক্ষী রয়েছে কোচবিহার জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের প্রাক্তন চেয়ারপার্সন কল্যাণী পোদ্দারের। স্বাভাবিকভাবেই এই বিষয় নিয়ে এখন ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে জেলা তৃণমূলের অন্দরমহলে। বস্তুত, গত বুধবার রাজ্য সরকার কোচবিহার জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারপার্সন কল্যাণী পোদ্দারকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেয়।

জানা গেছে, তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগের কারণেই তাকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এর পরেই সরকারি পদ থেকে সরে যাওয়া সত্ত্বেও কেন চারদিন পেরিয়ে যাবার পরেও তার নিরাপত্তারক্ষী রয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে মাথাভাঙা শহরের তৃণমূলের শ্রমিক নেতা আলিজার রহমান প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে সেই কল্যাণীদেবীর নিরাপত্তারক্ষী তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে শাসকদলের অন্দরমহলে।

একাংশের প্রশ্ন, সত্যিই তো তাই! যেখানে তার সরকারী পদ নেই, সেখানে কেন তার নিরাপত্তারক্ষী থাকবে? জানা গেছে, এই কল্যাণী পোদ্দারের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন রাজ্য পুলিশের একজন কনস্টেবল। এছাড়াও রাতে তার বাড়িতে বেশ কয়েক জন সিভিক ভলেন্টিয়ার থাকেন। আর তার ব্যাপারেই এদিন প্রশ্ন তুলে দেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের অন্যতম নেতা আলিজার রহমান।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি বলেন, “এই ব্যাপারে প্রশাসনিক আধিকারিকদের মৌখিকভাবে জানিয়েছি। শীঘ্রই প্রশাসন ওর নিরাপত্তা রক্ষী সরিয়ে না দিলে আমরা আন্দোলনে নামব।” কেন এখনও নিরাপত্তারক্ষী সরানো হচ্ছে না? এদিন এই প্রসঙ্গে কল্যাণীদেবীর সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তা সম্ভব হয়নি। তবে তার স্বামী চন্দন দাস বলেন, “এখনও ওর নিরাপত্তারক্ষী রয়েছে। কবে তুলে নেওয়া হবে, সেটা আমাদের জানানো হয়নি।”

কিন্তু এই ব্যাপারে কি বলছে প্রশাসন? কেন এখনও পর্যন্ত নিরাপত্তারক্ষী তুলে নেওয়া হচ্ছে না? এদিন এই প্রসঙ্গে মাথাভাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিদ্ধার্থ দর্জি বলেন, “কল্যাণীদেবী নিরাপত্তারক্ষী সরানোর ব্যাপারে আমাদের কাছে উপরমহল থেকে এখনও কোনো নির্দেশ আসেনি। তাই এই ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না।” কিন্তু এই গোটা বিষয় নিয়ে যেভাবে তৃণমূলের একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন এবং আন্দোলনে নামার কথা বলছেন, তাতে যে শাসকদলের অন্দরমহলে টালমাটাল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে সরকারি পদ থেকে সরে যাওয়ার পর কল্যাণীদেবীর নিরাপত্তারক্ষী কবে সরিয়ে নেওয়া হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!