একে করোনা কাঁটা, তার উপরে শুরু নতুন ‘প্রতীক’ সমস্যা! বিধানসভার আগে নাজেহাল নির্বাচন কমিশন? জাতীয় October 18, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ক্রমশই বাড়ছে রাজনৈতিক দলের সংখ্যা। নতুন নতুন দলগুলিকে দিতে হচ্ছে নতুন নতুন প্রতীক। এত নতুন প্রতীক দিতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা নির্বাচন কমিশনের। সম্প্রতি বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে বিভিন্ন রকম প্রতীক নিয়ে লড়াই করতে চলেছে ছোট ছোট রাজনৈতিক দলগুলি। প্রসঙ্গত বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতিনরাম মাঝি নীতিশ কুমারের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েছেন। লড়াই করবেন তাঁরা সাতটি আসনে। তাদের প্রতীক হলো কড়াই। দলের প্রতীক কড়াইকে জনপ্রিয় করে তুলতে জিতিনরাম মাঝি একদিন গোটা শহরে কড়াইতে হালুয়া রান্না করে, সেই হালুয়া রান্না সমস্ত মানুষকে বিতরণ করেছিলেন। তবে তাঁর দলের মুখপাত্র দানিশ রিজওয়ান জানিয়েছেন, দলের প্রতীক টেলিফোন এর কথা ভাবা হয়েছিল। তবে ভোটারেরা এই প্রতীককে ক্যালকুলেটর বা ট্রানজিস্টার বলে ভাবতে পারেন। তাই শেষ পর্যন্ত তারা দলের প্রতীক হিসেবে বেছে নেন কড়াইকে। বিজেপির একসময়ের জোটসঙ্গী মহারাষ্ট্রের শাসক দল শিবসেনা বিহারী নির্বাচনে লড়াই করছে। যাদের প্রতীক বিস্কুট। পাপ্পু যাদব এর দল ২০১৫ সালের বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করেছিল হকি স্টিক প্রতীকে। তবে, এবার তাদের প্রতীক হলো কাঁচি। জেএমএম দলের প্রতীক হলো লাঠি। লোক শক্তি পার্টি (এল)-এর প্রতীক হলো ডিশ অ্যান্টেনা। সমাজবাদী পার্টির প্রতীক সাইকেল। নতুন দল জনহিত দল এর প্রতীক ব্যাটসম্যান। রাষ্ট্রীয় জন জন পার্টির প্রতীক হলো ব্যাট। ভারতীয় আম আওয়াম পার্টির প্রতীক হলো ক্যাপসিকাম। রাষ্ট্রীয় জন শক্তি দলের প্রতীক আঙ্গুর। আমি আদমি পার্টির ঝাঁটা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আবার করোনা সংক্রমণ কালের দেশের প্রথম নির্বাচন হলো বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে। এ কারণে এই নির্বাচনে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করতে দেখা গেছে নির্বাচন কমিশনকে। যেমন মাস্ক পড়ে, সামাজিক দূরত্ব পালন করে প্রচারের কাজ করতে হবে। মিছিলে ২০০ জনের বেশী লোক রাখা যাবে না বলে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে মিছিলে যারা থাকবে তারা একে অপরকে জড়িয়ে বা হাত মিলিয়ে যেতে পারবেন না। একজন আরেকজনের থেকে ৬ ফুট দূরে থাকবেন। সেই সঙ্গে কোন জায়গায় মিছিল ও সভা করতে হলে অনুষ্ঠানের আগেই উদ্যোক্তাদের সেই স্থান স্যানিটেশন ব্যবস্থা করে দিতে হবে। অন্যদিকে এবারে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে রেডিও, টিভির মাধ্যমে প্রচার করা যাবে। এর সময় দ্বিগুণ করে দেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, বিহারে যে সমস্ত বৈধ রাজনৈতিক দল রয়েছে, তারা প্রত্যেকেই অল ইন্ডিয়া রেডিও ও দূরদর্শনের মাধ্যমে ভোটের প্রচার করতে পারবেন। এজন্য তাদের কোনো অর্থ দিতে হবে না। কিন্তু বিহারের মধ্যেই তারা এ কাজটি করতে পারবেন। সমস্ত দলগুলোকে প্রচারের জন্য দেড় ঘণ্টা করে সময় বরাদ্দ করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছে, ” বিহারের প্রতিটি বৈধ রাজনৈতিক দলের প্রচারের জন্য বিহারের অল ইন্ডিয়া রেডিও নেটওয়ার্ক ও দূরদর্শনে ৯০ মিনিট করে সময় বরাদ্দ করা হয়েছে। এর বাইরে প্রচারের জন্য অতিরিক্ত সময় ২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলে উপর নির্ভর করে দেওয়া হবে।” এভাবেই করোনা সংক্রমণ কালে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিহারের বিধানসভা নির্বাচন। আপনার মতামত জানান -