এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মদ্যপানের প্রতিবাদ করায় পুলিশই বেধড়ক পেটালো পুলিশকে! সমালোচনার ঝড় রাজ্যজুড়ে

মদ্যপানের প্রতিবাদ করায় পুলিশই বেধড়ক পেটালো পুলিশকে! সমালোচনার ঝড় রাজ্যজুড়ে


এবার রক্ষকের হাতেই আঘাতপ্রাপ্ত হলেন আরেক রক্ষক। এক মদ্যপানের প্রতিবাদ। আর এই ঘটনাকে ঘিরেই এক পুলিশ কর্মীকে বেদম প্রহার করলেন অপর পুলিসকর্মী। আর গত শুক্রবার দশমীর রাতে এই ঘটনায় চরম চাঞ্চল্য ছড়াল টালিগঞ্জ পুলিস লাইনের আবাসনে। জানা যায়, জখম সুখসাগর সিং নামে পুলিশ কর্মী অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্ট চন্দননগর পুলিস কমিশনারেটের কমিশনারের রক্ষী। মদ্যপানের প্রতিবাদ করায় তাঁর মুখে বেধড়ক কিল, চড় ও ঘুসি মারেন পুলিশেরই অপর এক কর্মী। আর এই ঘটনায় সেই সুখসাগর সিংয়ের চোখ ফুলে যাওয়ার পাশাপাশি জড়িত সন্দেহে কলকাতা পুলিসেরই এক হোমগার্ড সহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে যাদবপুর থানার পুলিস। বাকি আরও কেউ এর পেছনে রয়েছে কি না তা নিয়েও শুরু হয়েছে তদন্ত। কিন্তু এইভাবে এক পুলিশ কর্মীকে অপর পুলিশ কর্মী মারায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে উঠতে শুরু করেছে তীব্র সমালোচনার ঝড়। কিন্তু ঠিক কোন জায়গা থেকে এই বিবাদ ?

সূত্রের খবর, টালিগঞ্জ পুলিস আবাসনের বাসিন্দারা নিজেরাই প্রতিবারের ন্যায় এবারেও দূর্গাপুজোর আয়োজন করেছিলেন। গত শুক্রবার দশমীর রাতে সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করলে তা দেখতে জড়ো হন অনেক মানুষই। অভিযোগ, এই অনুষ্ঠানস্থলের অদূরেই পাচজন যুবক মদ্যপান করছিলেন। যারা এই আবাসনেরই বাসিন্দা। এমনকী সকলেই পুলিসেই চাকরি করেন। তবে শুধু মদ্যপান নয়, এইখান থেকে কিছু যুবক মহিলাদের কটূক্তিও করে। আর এইসব দেখে সেই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেন এএসআই সুখসাগর সিং। বিষয়টি তিনি পুজো কমিটির উদ্যোক্তা সহ আবাসনের অন্যদের জানালে তাঁরা ওই যুবকদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি আবাসনের মধ্যে মদ খেতে নিষেধ করে দেয়। কিন্তু কে কার কথা শোনে! এরপর সেই মদ্যপ পুলিসকর্মীদের মদ্যপান আরও বাড়তে থাকে। আর এরপর ব্যাক্তিগত কাজে বাইরে যাওয়া সেই সুখসাগর সিং রাত ১০টা নাগাদ আবাসনে এলে সেই সময় আচমকাই তাঁর উপর চড়াও হন কয়েকজন যুবক।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো  করুন এই লিঙ্কেখবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক

বাইক থেকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে বেধড়ক কিল, চড়, ঘুসি চলে সেই পুলিশ কর্মীর ওপর। এমনকী এই ঘটনায় চোখের নীচে গুরুতর আঘাত পান ওই এএসআই। আর এরপরই কোনওরকমে সেইখান থেকে পালিয়ে নিজের কোয়ার্টারে এসে পরিবারের সদস্যদের সমস্ত ঘটনার কথা জানান সেই সুখসাগর সিং। সাথে সাথেই হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। আর এরপরই তিনি যাদবপুর থানায় গিয়ে এই ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সূত্রের খবর, এএসআইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিস মারধর, জোর করে আটকে রাখা সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিসের হোমগার্ড শিবকুমার সিং ও দমকল বিভাগের কর্মী বুবাই সামন্তকে গ্রেপ্তার করে। তবে এই ঘটনার পেছনে বাকি কোনো অভিযুক্তদের ভূমিকা রয়েছে কি না তা নিয়েও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!